অর্থ পাচার মামলায় বিসমিল্লাহ গ্রুপের এমডিসহ ৮ জনের ১২ বছর করে কারাদণ্ড
Published: 27th, February 2025 GMT
অর্থ পাচারের আরেকটি মামলায় বিসমিল্লাহ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) খাজা সোলেমান আনোয়ার চৌধুরী, তাঁর স্ত্রী ও গ্রুপের চেয়ারম্যান নওরীন হাবিবসহ আটজনকে ১২ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি আসামিদের প্রত্যেককে প্রায় ২৪৯ কোটি টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা একটি মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন আজ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী আরিফুল ইসলাম প্রথম আলোকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডিত অন্য আসামিরা হলেন খাজা সোলেমানের বাবা বিসমিল্লাহ গ্রুপের পরিচালক সফিকুল আনোয়ার চৌধুরী, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আকবর আজিজ মুতাক্কি, মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আবুল হোসেন চৌধুরী, ব্যবস্থাপক রিয়াজউদ্দিন আহম্মেদ, নেটওয়ার্ক ফ্রেইট সিস্টেম লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো.
আসামিরা পলাতক। আদালত তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। পাশাপাশি তাঁদের নামে থাকা সব স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনবিসমিল্লাহ গ্রুপের সোলেমানসহ ৯ জনের ১০ বছর করে কারাদণ্ড১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮মামলার কাগজপত্রের তথ্য অনুযায়ী, দুর্নীতি, প্রতারণা ও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে ভুয়া রপ্তানি করে ১০৫ কোটি ৩৯ লাখ ৮৫ হাজার টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগে ২০১৩ সালে সোলেমান আনোয়ার চৌধুরী ও তাঁর স্ত্রী নওরীন হাবিবসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
এর আগে ২০১৮ সালে অর্থ পাচারের আরেকটি মামলায় খাজা সোলেমান আনোয়ার চৌধুরী ও তাঁর স্ত্রীসহ ৯ জনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত।
আরও পড়ুনবিসমিল্লাহ গ্রুপের জালিয়াতি মামলায় দুদকের অভিযোগপত্র০৭ মার্চ ২০১৯দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিসমিল্লাহ গ্রুপ ও এর সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো মিলে মোট ১ হাজার ১৭৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে। এ ঘটনায় ২০১৩ সালে ১২টি মামলায় ৫৪ জনকে আসামি করা হয়। এর সব কটিতেই বিসমিল্লাহ গ্রুপের পরিচালক খাজা সোলেমান চৌধুরী আসামি।
আরও পড়ুনবিসমিল্লাহ গ্রুপের ৪১ কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ দুদকে০৩ মার্চ ২০১৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবস থ
এছাড়াও পড়ুন:
এস আলমের ১১ একর সম্পদ নিলামে বিক্রি করতে বিজ্ঞপ্তি
প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা পাওনা আদায়ে বিতর্কিত শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের কারখানা-গুদামসহ প্রায় ১১ একর সম্পত্তি নিলামে বিক্রির ঘোষণা দিয়েছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি। আজ রোববার চট্টগ্রামের স্থানীয় একটি সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ব্যাংকটির খাতুনগঞ্জ কর্পোরেট শাখা এস আলমের এসব সম্পদ নিলামে কিনতে আগ্রহীদের দরপত্রে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি খাতুনগঞ্জ কর্পোরেট শাখার বিনিয়োগ গ্রাহক এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল্লাহ হাছান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ সাইফুল আলমের কাছ থেকে ২০২৫ সালের ২৪ মার্চ পর্যন্ত লভ্যাংশসহ ব্যাংকের খেলাপি বিনিয়োগ বাবদ ৯ হাজার ৯৪৮ কোটি ৪২ লাখ ৭০ হাজার টাকা পাওনা রয়েছে। আদায়কাল পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ ও অন্যান্য খরচ আদায়ের নিমিত্তে অর্থঋণ আদালত আইন ২০০৩ এর ১২(৩) ধারা মোতাবেক বন্ধকী সম্পত্তি নিলামে বিক্রির জন্য আগ্রহী ক্রেতাদের কাছ থেকে দরপত্র আহ্বান করা হয়।
ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও শাখা প্রধানের দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়- তিনটি রেজিস্টার্ড মর্টগেজ চুক্তি অনুসারে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ইছানগর মৌজায় ১০ দশমিক ৯৩ একর জায়গা এবং এসব জায়গায় কারখানা-গুদাম ও ভবনসহ পুরো স্থাপনা নিলামে তোলার বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। এরমধ্যে ২০১৪ সালের ১৩ ও ১৬ মার্চের ৩৭৪৬ নম্বর, ২০১৩ সালের ২৮ ও ২৯ মের ৮০৫৭ নম্বর এবং ২০১৩ সালের ১৪ ও ১৫ জুলাইয়ের ৩৩২৭ নম্বর রেজিস্টার্ড মর্টগেজ চুক্তিবদ্ধ সম্পদ রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ইসলামী ব্যাংক ‘দখলে’ নিয়েছিল এস আলম গ্রুপ। ব্যাংকটির সিংহভাগ মালিকানায় তাদের নিয়ন্ত্রিত ছিল। এস আলমের বিরুদ্ধে ইসলামী ব্যাংক থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করে পাচারের অভিযোগও আছে।