দুদকের সাবেক প্রসিকিউটর খুরশিদ আলম খানের জামিন
Published: 27th, February 2025 GMT
রাজধানীর শেরে বাংলা নগর থানার হত্যাচেষ্টা মামলায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবং দুদকের সাবেক প্রসিকিউটর খুরশিদ আলম খানকে জামিন দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত শুনানি শেষে জামিনের আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, এ মামলায় খুরশিদ আলম উচ্চ আদালত থেকে আট সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। সেই জামিনের মেয়াদ শেষ হয়েছে। এজন্য তিনি বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। তার পক্ষে আমিনুল গণি টিটো জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিনের আদেশ দেন।
গত ৬ জানুয়ারি জামায়াত কর্মী মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া বাদী হয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক কয়েকজন মন্ত্রী, আইনজীবী, পুলিশ কর্মকর্তা ও সাংবাদিকসহ মোট ৯০ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা করেন। আদালত শেরেবাংলা নগর থানাকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, বাদী মোহাম্মদ আলমগীর হোসাইন ভূঁইয়া ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৬টায় ব্যক্তিগত কাজে মিরপুর যাওয়ার উদ্দেশ্যে ফার্মগেটের তেজগাঁও কলেজের সামনে যান। ওইদিন হরতালের সমর্থনে বিরোধী দল বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা একটি মিছিল বের করে। এসময় শেরে বাংলা নগর থানা পুলিশ, আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিলকারী ও পথচারী লোকজনদের ওপর নির্বিচারে গুলি বর্ষণ করেছিল। একপর্যায়ে মিছিলকারীরা ছোটাছুটি শুরু করলে পুলিশ পথচারী ও মিছিলকারীদের হত্যার উদ্দেশ্যে বেধড়ক মারধর করে আটক করেছিল।
এরপর পুলিশ প্রায় ১১ জন পথচারীকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়। যাদের মধ্যে মামলার বাদী মোহাম্মদ আলমগীর হোসাইন, মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ ফাহাদ, মাইন উদ্দিন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া ছাত্র ইসমাইল, রাফাত, আব্দুস শহীদ ও আব্দুল বাসেতসহ ছয়-সাতজনকে পুলিশ হাত-পা বেঁধে নির্বিচারে গুলি করে।
এর মধ্যে বাদী মোহাম্মদ আলমগীর হোসেইন ভূঁইয়া (৫৫) এবং অপর ভুক্তভোগী মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ ফাহাদ (৩০) পুলিশের গুলিতে চিরতরে পঙ্গু হয়ে যান। অপরজন মহিন উদ্দিন ওরফে মাঈন উদ্দিন (২২) পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত অবস্থায় দীর্ঘদিন চিকিৎসারত ছিলেন।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, তাদের মধ্যে কয়েকজনকে পুলিশ আহত অবস্থায় গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেলেও চিকিৎসার ব্যবস্থা না করে উল্টো বাদী আলমগীরসহ ১১ জনসহ এজাহার নামীয় ও ১৫০/১৬০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে শেরে বাংলা নগর থানায় নাশকতার পৃথক তিনটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখায়। ঘটনার দিন বিক্ষোভস্থল থেকে গ্রেপ্তার করে ভুক্তভোগী আলমগীরকে শেরে বাংলা নগর থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
সেদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আসামি শেরে বাংলা নগর থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মু.
এরপর পুলিশ আলমগীরকে প্রথমে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিউিট ও হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে ২ মার্চ উন্নত চিকিৎসার জন্য জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান নিটোরে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
এরপর বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের পরামর্শে ভুক্তভোগী আলমগীরের বাম পা কেটে ফেলা হয়। ফলে তিনি আজীবন পঙ্গুত্ব বরণ করেন।
ঢাকা/মামুন/এনএইচ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর নগর থ ন ত কর ম
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দর ইউনিয়ন যুবদলের কর্মীসভাকে সফল করতে প্রস্তুতিসভা
নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আওতাধীন বন্দর উপজেলার বন্দর ইউনিয়ন যুবদলের কর্মীসভাকে সফল করতে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল।
সভাপতিত্ব করেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদ। এছাড়াও মহানগর যুবদলের পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত থাকবেন।
মঙ্গলবার ( ২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে বন্দর ইউনিয়ন যুবদলের কর্মীসভাকে সফল করতে প্রস্তুতিসভা করা হয়। এর আগে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মিয়া শাকিল, সদস্য কামরুল হাসান রনি, পারভেজ খান, অদুদ সাগর কর্মী সভার মাঠ ও মঞ্চ পরিদর্শন করেন।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন, বন্দর ইউনিয়ন যুবদল নেতা মো: আলমগীর, মো: রহিম, মোহাম্মদ আলী রিপন, মোঃ মহিন, মোঃ মোশারফ, মোঃ রাসেল, মোঃ আমজাদ, মো: হিরন, মো: বাতেন, মো: শুকুর, মো: শাহাবুদ্দিন, মো: সাগর, মো: মোক্তার, মো: হাকিম, মো: নুরুল হক, মো: আলমগীর, মামুন আহামেদ, মো: সাব্বির, মো: সজিবসহ অনেকেই।
উল্লেখ,্য আগামীকাল বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল তিনটায় বন্দর ইউনিয়নে এই কর্সমীভা অনুষ্ঠিত হবে।