ডিজিটাল মার্কেটিং অ্যাওয়ার্ডে সর্বোচ্চ সংখ্যক পুরস্কার জিতল মিডিয়াকম
Published: 27th, February 2025 GMT
বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের ফ্ল্যাগশিপের আয়োজনে ডিজিটাল মার্কেটিং অ্যাওয়ার্ডের অষ্টম সংস্করণে একক বিজ্ঞাপনী সংস্থা হিসেবে এবার সবচেয়ে বেশি পুরস্কার অর্জন করেছে স্কয়ার গ্রুপের বিজ্ঞাপনী সংস্থা মিডিয়াকম লিমিটেড।
শনিবার রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে ছয়টি ক্যাটাগরিতে ১০টি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে এই বিজ্ঞাপনী সংস্থাটি। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
‘বেস্ট ইউজ অফ ডিসপ্লে’ ক্যাটেগরিতে ইস্পাহানি মির্জাপুর চায়ের জন্য দুটি এবং রাঁধুনীর জন্য একটি অ্যাওয়ার্ড জিতেছে মিডিয়াকম।
‘বেস্ট ইউজ অফ ডাটা অ্যান্ড অ্যানালিটিক্স’ ক্যাটেগরিতে স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডের স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্র্যান্ড সেনোরা এবং টফির জন্য একটি করে মোট দুটি পুরস্কার লাভ করেছে। এছাড়াও টফির জন্য ‘বেস্ট ডিজিটাল মার্কেটিং ফর ওটিটি প্ল্যাটফর্ম’ ক্যাটাগরিতে পেয়েছে আরও একটি।
বিকাশের কমিউনিটি বেইজড প্ল্যাটফর্ম আমার বিকাশের জন্য মিডিয়াকমের ‘প্রেমের বিকাশ’ ক্যাম্পেইনটিও তিনটি ভিন্ন ক্যাটাগরি ‘বেস্ট ইউজ অফ ইনফ্লুয়েন্সার’, ‘বেস্ট কন্টেন্ট মার্কেটিং’ এবং ‘বেস্ট ইউজ অফ টিকটক’-এ আলাদাভাবে তিনটি পুরস্কার জিতেছে।
ডিজিটাল বিজ্ঞাপনী প্রচারণায় মিডিয়াকমের এই সাফল্যে প্রতিষ্ঠানটির চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার অজয় কুমার কুন্ডু বলেন, ‘ডিজিটাল মার্কেটিং অ্যাওয়ার্ডে মিডিয়াকমের সর্বোচ্চ পুরস্কার প্রাপ্তি নিঃসন্দেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন, আশা করি সামনের দিনেও এই সাফল্য অব্যাহত থাকবে।’
প্রসঙ্গত, শর্ট লিস্টিং এবং গ্র্যান্ড জুরি এই দুই পর্যায়ে বাছাই শেষে ডিজিটাল মার্কেটিং অ্যাওয়ার্ডে ২৪টি ক্যাটেগরিতে ডিজিটাল বিজ্ঞাপন জগতের ৭৪টি সেরা কাজকে পুরস্কৃত করা হয়। এ বছর পুরস্কারের জন্য সর্বমোট ১ হাজার ৫৭টি মনোনয়ন জমা পড়ে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রাম্পের ‘স্বাধীনতা দিবস’ বুধবার, অধিকাংশ পণ্যে ২০% শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেবেন
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্প একের পর এক বিভিন্ন দেশের পণ্য আমদানিতে শুল্ক আরোপ করে আসছেন। চীন থেকে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ রাষ্ট্র কানাডা এবং যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের ঐতিহাসিক মিত্র দেশগুলোকেও ছাড়েননি। এ জন্য পাল্টাও খেয়ে চলেছেন। এ রকম পরিস্থিতিতে তিনি আবার নতুন একগুচ্ছ শুল্ক প্রস্তাবের ঘোষণা দিতে যাচ্ছেন। আগামীকাল বুধবার এই ঘোষণা দেবেন, যা আগেই ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন।
কিন্তু বুধবার ট্রাম্প কি ঘোষণা করতে পারেন তা নিয়ে যেন জল্পনাকল্পনার শেষ নেই। কারণ, তিনি এরই মধ্যে বলে দিয়েছেন যে ছোট–বড় নির্বিশেষ কোনো দেশকেই ছাড়বেন না। সেটি বুঝা যায়, ট্রাম্পের বক্তব্যে। তিনি এই বুধবারকে ‘লিবারেশন ডে’ বা ‘স্বাধীনতা দিবস’ বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী গণমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট আজ মঙ্গলবার জানিয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের কার্যালয় হোয়াইট হাউসের কর্মীরা নতুন করে শুল্ক আরোপের একটি প্রস্তাব তৈরি করেছেন। এতে যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি হয়, এ রকম পণ্যের বেশির ভাগের ওপরই প্রায় ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেওয়া হবে।
নতুন শুল্ক আরোপের প্রস্তাব তৈরির প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত এমন তিনজন ব্যক্তিকে উদ্ধৃত ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হোয়াইট হাউসের উপদেষ্টারা সতর্ক করে দিয়েছেন যে শুল্ক আরোপের বিষয়ে বেশ কয়েকটি বিকল্প রয়েছে; যার অর্থ ২০ শতাংশ শুল্ক কার্যকর না–ও হতে পারে। সংবাদ মাধ্যমটির মতে, এমন একটি বিকল্প পরিকল্পনার কথা বিবেচনা করা হচ্ছে যে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে পারস্পরিক সম্পর্কের ভিত্তিতে শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হতে পারে।
আগামীকাল ২ এপ্রিল বুধবার বিশ্ব বাণিজ্য নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি বৃহত্তর পরিকল্পনা ঘোষণা করতে চলেছেন। এই ঘোষণা অবশ্য আগেই দিয়ে রাখা হয়েছে। এতে ওয়াল স্ট্রিট তথা যুক্তরাষ্ট্রের পুঁজিবাজারে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। কারণ, শুল্ক বৃদ্ধির প্রভাবে বৃহৎ বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর বিক্রি ও মুনাফায় সরাসরি প্রভাব পড়বে, এমন আশঙ্কায় তাদের শেয়ারের দর কমছে। বিনিয়োগকারীরা ভয় ও আতঙ্কে এসব কোম্পানির শেয়ার ছেড়ে দিয়ে সেফ হ্যাভেন বা বিনিয়োগের জন্য ‘নিরাপদ স্বর্গ’ খ্যাত সোনায় বিনিয়োগ করছেন। ফলে সোনার দাম বেড়ে ইতিমধ্যে প্রতি আউন্স ৩ হাজার ১৪৮ মার্কিন ডলারে উঠেছে। এটি সোনার সর্বকালের সর্বোচ্চ দামের রেকর্ড। এই প্রবণতা বিশ্বে আবার মন্দার আশঙ্কা তৈরি করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
ট্রাম্প প্রশাসন ইতিমধ্যে শুল্ক আরোপ নিয়ে যেসব ঘোষণা দিয়েছেন, আগামীকাল সেগুলোকে নতুন পরিকল্পনায় আরও বিস্তৃত স্থায়ী করার কথা বলতে পারেন। তা অবশ্য নির্দিষ্ট কিছু দেশ বা শিল্পকে লক্ষ্য করে হবে না। ট্রাম্প ও তাঁর উপদেষ্টারা বলে আসছেন যে তাঁদের লক্ষ্য হলো, অন্যান্য দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যকে আরও ন্যায়সংগত তথা সামঞ্জস্যপূর্ণ করে তোলা; যাতে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল বা কেন্দ্রীয় সরকারের রাজস্ব আয় বাড়ে।
কতিপয় অর্থনীতিবিদ সতর্ক করে দিয়েছেন, নতুন শুল্ক আরোপের ফলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধীর হয়ে যেতে পারে। মূল্যস্ফীতিও বাড়তে পারে। আবার বিভিন্ন দেশও পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় প্রতিশোধমূলক শুল্ক আরোপের পদক্ষেপ নিতে পারে।
ক্রমবর্ধমান বাণিজ্যযুদ্ধ সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বিনিয়োগকারী, ভোক্তা ও ব্যবসায়ী নেতাদের আস্থাকে আঘাত করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। যেমন চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচক ৪ দশমিক ৬ শতাংশ পড়ে গেছে। নাসড্যাক সমন্বিত সূচক তো রীতিমতো ১০ দশমকি ৪ শতাংশ কমেছে। এ ছাড়া ভোক্তা ও ব্যবসায়ী নেতাদের ওপর পরিচালিত এক জরিপেও বলা হয়েছে, চলতি ২০২৫ সালের শুরু থেকে অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তা ক্রমে বাড়ছে।
হোয়াইট হাউসের একজন মুখপাত্রের সঙ্গে ওয়াশিংটন পোস্টের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলেও তিনি এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। সূত্র: সিএনবিসি, ডয়চে ভেলে, এএফপি ও বিবিসি।