সোনারগাঁয়ে খেলাধূলার নামে আওয়ামী লীগ নেতাদের মিলনমেলা
Published: 27th, February 2025 GMT
সোনারগাঁয়ে একটি ক্রিকেট টূর্ণামেন্টের নামে আওয়ামী লীগ নেতাদের মিলনমেলার আয়োজন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীরা।
জানা গেছে, আগামী ১ লা মার্চ সোনারগাঁ ঈশাখাঁ একাদশ ক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত মাষ্টার্স কাপ টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা'কে কেন্দ্র করে একটি দাওয়াতি কার্ড করা হয়। যেখানে দেখা যায়, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাধিক হত্যা মামলার আসামী একাধিক আ'লীগ নেতাদের অতিথি হিসেবে নাম দাওয়ার করা হয়েছে৷
এর মধ্যে সাবেক কথিত যুবলীগ নেতা ও নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক রাজাকারের সন্তান হিসেবে খ্যাত আবু নাঈম ইকবাল ও তার বড় ভাই সোনারগাঁ উপজেলা আ'লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক আবু তাহের ফজলে রাব্বি, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ সভাপতি নাজমুল হাসান মানিক ওরফে কালা মানিক, পৌর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ তপন, পৌর আ'লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাসুম বিল্লাহ, আওয়ামী লীগ নেতা রফিকুল ইসলাম বিপ্লব, নীলৎপল রায়, শরীফসহ আরও কয়েকজন'কে বিশেষ অতিথি ও সম্মানিত অতিথি হিসেবে দাওয়াত করা হয়। এ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তৃণমূল নেতৃবৃন্দ।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একাধিক বিএনপি নেতা জানান, ৫ ই আগষ্টের পর স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর সারাদেশের ন্যায় উপরোক্ত নেতারা গাঁ-ডাকা দিয়ে আত্মগোপনে রয়েছে। বর্তমানে তাদেরকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সম্প্রতি দিতির মেয়ের উপর হামলায় অভিযুক্ত প্রধান মোশাররফ হোসেন খেলার নাম করে আর্থিক সুবিধা নিয়ে তাদেরকে পূনরায় পূর্নবাসনের জন্য পায়তারা করছে।
তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও বলেন, পুরো পৌরসভায় তিনি অঘোষিত সরকার হিসেবে একচ্ছত্র রাজত্ব করছেন। সম্প্রতি জমি দখলের অভিযোগ এনে অভিনেত্রী দিতির মেয়ে লামিয়া চৌধুরীকেও হত্যার উদ্দেশ্যে তার উপস্থিতিতে ৫০-৬০ জনের একটি দল সন্ত্রাসী হামলা করে।
বিষয়টি নিয়ে লামিয়া চৌধুরী তার ছবি দেখিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জন্য খেলার নাম করে এসব হেভিওয়েট আ'লীগ নেতাদের থেকে অর্থ নিয়ে প্রশাসনের গ্রেপ্তার এড়াতে মূলত এ পরিকল্পনা করেছেন তিনি। আমরা এ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে অবিলম্বে এসব নেতাদের গ্রেপ্তারের দাবী জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন জানান, সোনারগাঁয়ের ঈসাখাঁ ক্লাব কর্তৃক আয়োজিত টুর্নামেন্টের সভাপতি হিসেবে তাকে দাওয়াত করা হয়েছে। কার্ড করার পূর্বে দেখানো হলেও ব্যস্ততার কারণে তেমনভাবে যাচাই না করেই অনুমতি প্রদান করেছেন৷
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ আওয় ম ল গ কর ছ ন উপজ ল ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
লাউগাছের গোড়ায় মাটি দেওয়া নিয়ে ঝগড়া, বড় ভাইয়ের আঘাতে ছোট ভাইয়ের মৃত্যু
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় বড় ভাইয়ের কোদালের আঘাতে ছোট ভাইয়ের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত ব্যক্তির নাম আমিন উল্যাহ (৬০)। আজ বৃহস্পতিবার সকাল আনুমানিক ১০টার দিকে উপজেলার কাবিলপুর ইউনিয়নের পূর্ব কাবিলপুর গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে বেলা দুইটার দিকে সেনবাগ থানার পুলিশ নিহত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে। তবে এ ঘটনায় অভিযুক্ত বড় ভাই মো. মোতালেব (৬৬) পলাতক থাকায় তাঁকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। নিহত ব্যক্তির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ সকালে লাউগাছের গোড়ায় মাটি কেটে দেওয়া নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে ঝগড়া বাধে। যার একপর্যায়ে বড় ভাই মোতাবেল তাঁর হাতে থাকা কোদাল দিয়ে ছোট ভাই আমিন উল্যাহর বুকে আঘাত করেন। এতে তিনি ঘটনাস্থলে জ্ঞান হারান। পরে আশপাশের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ জানায়, চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করার পর পরিবারের সদস্যরা হাসপাতাল থেকে আমিন উল্যাহর লাশ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যান। পরে স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে বেলা দুইটার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে। নিহত ব্যক্তির বুকে আঘাতের দাগ দেখা গেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সেনবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হযরত আলী প্রথম আলোকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বলেন, লাউগাছের গোড়ায় মাটি দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই ভাইয়ের মধ্যকার ঝগড়ার সময় বড় ভাই হাতে থাকা কোদাল দিয়ে ছোট ভাইয়ের বুকে আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
হযরত আলী জানান, ঘটনাটি সকালের দিকে ঘটলেও বেলা একটার দিকে পুলিশ জানতে পারে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ গিয়ে নিহত ব্যক্তির সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে লাশ উদ্ধার করে। তিনি জানান, ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত বড় ভাই পালিয়ে যাওয়ায় তাঁকে আটক করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় থানায় মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।