মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যেসব গণমাধ্যম বা লেখক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্র ব্যবহার করবে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। এমনকি তিনি এ বিষয়ে নতুন আইন প্রণয়নের ইঙ্গিতও দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি মার্কিন সাংবাদিক মাইকেল উলফের নতুন বই ‘অল অর নাথিং: হাউ ট্রাম্প রিক্যাপটেড আমেরিকা’ প্রকাশের পর ট্রাম্প এই মন্তব্য করেছেন।

আরো পড়ুন:

ইউক্রেনকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প

আরো বেশি ফেডারেল কর্মী ছাঁটাইয়ের নির্দেশ ট্রাম্পের

উলফ এর আগেও ট্রাম্পের প্রশাসন নিয়ে ‘ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি: ইনসাইড দ্য ট্রাম্প হোয়াইট হাউজ’ নামে আলোচিত বই লিখেছিলেন। যা ২০১৮ সালে বেস্টসেলার হয়।

নতুন বইটির প্রকাশক ক্রাউন পাবলিশিং জানিয়েছে, এটি ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচনী প্রচারের ১৮ মাসজুড়ে লেখা হয়েছে। এতে ট্রাম্প কীভাবে আবার ক্ষমতায় ফিরলেন, তার নানা দিক তুলে ধরা হয়েছে।

এ নিয়ে নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সোশ্যাল ট্রুথে দেয়া এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, ‘বেনামি’ বা ‘অব দ্য রেকর্ড’ উদ্ধৃতিসহ জাল বই এবং গল্পগুলো বের হচ্ছে। এগুলোর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
 
উলফের সর্বশেষ কাজকে ‘মানহানিকর কল্পকাহিনী’ আখ্যা দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, এই নির্লজ্জ অসততার জন্য বড় মূল্য দিতে হবে। আমি এটা আমাদের দেশের সেবা হিসেবে করব। কে জানে, হয়তো আমরা কিছু সুন্দর নতুন আইন প্রণয়ন করব।

বুধবার ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকের খবর সংগ্রহে এপি, রয়টার্স ও ব্লুমবার্গসহ কয়েকটি সংবাদ সংস্থার সাংবাদিকদের প্রবেশ করতে দেয়নি হোয়াইট হাউস। বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্প প্রশাসনের মিডিয়া কভারেজ সম্পর্কিত নতুন নীতি অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ডাকসু নির্বাচন কবে? যা বলছে ঢাবি প্রশাসন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন নিয়ে ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর আলাপ-আলোচনার মধ্যে প্রশাসন বলছে, এ বিষয়ে গঠন করা তিন কমিটির চূড়ান্ত সুপারিশ পাওয়ার পর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হবে। 

সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করার আগে ডাকসু নির্বাচন নিয়ে আগাম তারিখ ঘোষণার সুযোগ নেই বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ দপ্তর।

বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে জনসংযোগ দপ্তর বলেছে, ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন আয়োজন, নির্বাচনের আচরণবিধি প্রণয়ন বা সংশোধন এবং ডাকসু ও হল সংসদের গঠনতন্ত্র সংশোধন বা পরিমার্জনের বিষয়ে দায়িত্ব দেওয়া তিনটি কমিটি নিরলসভাবে কাজ করছে। এসব কমিটি প্রতিনিয়ত ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠন, সাধারণ ছাত্র-ছাত্রী, সাংবাদিকসহ সব অংশীজনের মতামত নিচ্ছে। তারা কয়েক দফা বৈঠক করে লিখিত মতামতও নিয়েছে।

আরো পড়ুন:

ধর্ষকদের ফাঁসির দাবিতে কুমিল্লায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

হল ছাড়ছেন কুয়েট শিক্ষার্থীরা

দেশে ক্ষমতার পালাবদলের মধ্যে ক্যাম্পাস ছাড়া হওয়ার পর নিষিদ্ধ হয়েছে ছাত্রলীগ। এই সংগঠন বাদে অন্যান্য ছাত্র সংগঠন ডাকসু নির্বাচন নিয়ে কথা বলছে, মাঝেমধ্যে শোরগোলও শোনা যাচ্ছে। কয়েকটি সংগঠন জাতীয় নির্বাচনের আগে ডাকসু নির্বাচন দেওয়ার দাবি তুলেছে। তবে নির্বাচনের নির্দিষ্ট দিনক্ষণ না দিয়ে আগে পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতির জন্য কমিটি করে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অবশ্য বলেছিল, ফেব্রুয়ারির মধ্যে এই নির্বাচন করার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে প্রস্তুতি চূড়ান্ত করতে তারা এখন কমিটির সুপারিশের দিকে তাকিয়ে আছে।

তিন কমিটির মধ্যে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন সফলভাবে আয়োজনে পরামর্শ দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশাকে আহ্বায়ক করে ছয় সদস্যের একটি কমিটি করে দেওয়া হয়। তারা কাজ করছে। 

ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের আচরণবিধি প্রণয়ন বা সংশোধনের কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মামুন আহমেদের নেতৃত্বে সাত সদস্যের আহ্বায়ক কমিটিকে।

আর ডাকসু ও হল সংসদের গঠনতন্ত্র সংশোধন বা পরিমার্জনের বিষয়ে সুপারিশ প্রণয়নের দায়িত্ব পড়েছে আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ ইকরামুল হকের নেতৃত্বাধীন আহ্বায়ক কমিটির ওপর। 

ডাকসুর যত নির্বাচন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার শতবর্ষ পার করেছে। এই পুরো সময়ে সেখানে ৩৭ বার ছাত্র সংসদের ভোট হয়েছে। ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলের ৫০ বছরে ২৯ বার আর স্বাধীন দেশে ৫৩ বছরে মাত্র আটবার নির্বাচন হয়েছে। সবশেষ ভোট আয়োজন করা হয় ২০১৯ সালে। তাতে ভিপি নির্বাচিত হন নুরুল হক নুর।

১৯৭৩ সালের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ অনুযায়ী প্রতিবছর ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা। নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত ছাত্র সংসদের মনোনয়নে পাঁচজন শিক্ষার্থী-প্রতিনিধি বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিনেটের সদস্য হিসেবে ভূমিকা পালন করে থাকেন। তারা পুরো ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের সমস্যা ও সুযোগের বিষয়গুলো উত্থাপন করেন সিনেটে। এখন সংকট এখানেই। নির্বাচিত ছাত্র সংসদ না থাকায় সিনেটে থাকছেন না শিক্ষার্থী প্রতিনিধি।

ঢাকা/সৌরভ/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাহ্‌রি-ইফতারের সময়সূচি আলেম–ওলামা ও বিশেষজ্ঞদের তৈরি, এ নিয়ে বিভ্রান্তির অবকাশ নেই
  • সাহরি-ইফতারের সময়সূচি আলেম ও বিশেষজ্ঞদের তৈরি, বিভ্রান্তির অবকাশ নেই
  • ২৫ বছর পর রুলের ওপর শুনানি শুরু, পরবর্তী শুনানি ৪ মার্চ
  • ডাকসু নির্বাচন কবে? যা বলছে ঢাবি প্রশাসন