সিলেটের সিলেটি নাগরী লিপিতে উইকিপিডিয়ার নতুন এক সংস্করণ যাত্রা শুরু করেছে। সিলেটি ভাষা বাংলাদেশের সিলেট বিভাগ, ভারতের আসামের বরাক ভ্যালি ও ত্রিপুরার উত্তর অংশে বেশি ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া মেঘালয়, মণিপুর ও নাগাল্যান্ডে অনেক মানুষ সিলেটি ভাষা ব্যবহার করেন।

সিলেটি নাগরি লিপির বিকাশ ১৫ শতকে শুরু হয়। ১৯৭০–এর দশকে বিভিন্ন প্রিন্টিং প্রেসেও ব্যবহার করা হয়েছে ভাষাটি। আর ২০০০–এর দশকে ইউনিকোডে সিলেটি নাগরি লিপি লেখা শুরু হয়। এরপর আলাদা উইকিপিডিয়া হিসেবে ২০১৪ সালের ৫ জুলাই ইনকিউবেটরে এই ভাষা চালু হয়। এরপর যাচাই–বাছাই শেষে ২৫ ফেব্রুয়ারি সিলেটি নাগরি লিপিতে চালু করা হয়েছে উইকিপিডিয়া।

কম্পিউটারে সিলেটি নাগরি লিপি ভাষায় উইকিপিডিয়া দেখতে সিলেটি ফন্ট ইনস্টল করতে হবে বলে এক ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছে বাংলা উইকিপিডিয়া। এখন পর্যন্ত সিলেটি নাগরি লিপিতে এক হাজারেরও বেশি নিবন্ধ তৈরি করা হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে এরই মধ্যে বাংলা ও সাঁওতালি ভাষায় আলাদা উইকিপিডিয়া চালু রয়েছে। সিলেটি নাগরি লিপির উইকিপিডিয়া এই ঠিকানা থেকে ব্যবহার করা যাবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব যবহ র কর উইক প ড য়

এছাড়াও পড়ুন:

মোটরসাইকেলের জন্য ডেকে নিয়ে হত্যা, যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

নড়াইলে ইয়াছিন মোল্যা হত্যা মামলায় হোসাইন মোল্যা ওরফে হামজা (২১) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) বিকালে নড়াইলের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শারমিন নিগার এ রায় ঘোষণা করেন। 

রায় ঘোষনার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হোসাইন মোল্যা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তিনি নড়াইল সদর উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের কুদ্দুস মোল্যার ছেলে।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০২৩ সালের ১৬ জানুয়ারি রাত ৯টার দিকে ইয়াছিন মোল্যা একটি লাল রঙের পালসার মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও কোনো সন্ধান না মেলায় দুই দিন পর ১৮ জানুয়ারি ইয়াছিনের বোন নড়াইল সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। 

এরপর ২২ জানুয়ারি দুপুরে পুলিশ জানায়, আলোকদিয়া ঈদগাহগামী ইটের রাস্তাার পাশে ইয়াছিনের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। পরে পুলিশ মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে এবং ময়না তদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে পাঠায়।

এ ঘটনার তদন্তকালে পুলিশ হোসাইন মোল্যা ও মো. হাসিব খান নামে দুইজনকে গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, মেলা দেখার কথা বলে কৌশলে ইয়াছিনকে বাড়ি থেকে ডেকে এনে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করে। মধ্যরাতে আলোকদিয়া গ্রামে গিয়ে আগুন জ্বালিয়ে আগুন পোহায়। একপর্যায়ে পূর্বপরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করে। হত্যার পর মরদেহ গোপন করতে খেজুর গাছের শুকনা পাতার নিচে ঢেকে রাখা হয় এবং তারা মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। ২৩ জানুয়ারি ইয়াছিনের বাবা বাদী হয়ে নড়াইল সদর থানায় ৭ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক বুধবার বিকালে রায় ঘোষণা করেন। এতে হোসাইন মোল্যার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রামাণিত হওয়ায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড প্রদান করেন। তবে বাকি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাদের খালাস দেন।

নড়াইল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আব্দুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

ঢাকা/শরিফুল/টিপু  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পাকিস্তানের কাছেও হেরে আরও অপেক্ষায় বাংলাদেশের মেয়েরা
  • নিজ ঘরে মিলল যুবদল নেতার অর্ধগলিত মরদেহ
  • ‘ও’ পজিটিভের বদলে ‘বি’ পজিটিভি রক্ত পুশ, রোগীর মৃত্যু
  • গাজীপুরে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে কারখানাতেই শ্রমিকের ‘আত্মহত্যা’, ছুটি ঘোষণা
  • বাগদান সারলেন ঋতাভরী
  • মোহামেডানের হোঁচটের দিনে আবাহনীর জয় 
  • হ্যাটট্রিক জয়ের পর মিলল হারের স্বাদ
  • ‘ফেসবুক গল্পের’ উৎস খুঁজতে গিয়ে বেরিয়ে এল আসল ঘটনা
  • শারমিন-ফারজানায় টাইগ্রেসদের চ্যালেঞ্জিং স্কোর
  • মোটরসাইকেলের জন্য ডেকে নিয়ে হত্যা, যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড