যে শিক্ষার সাথে ধর্ম থাকবে, সে শিক্ষা পরকাল পর্যন্ত পৌছবে : ড. জাহাঙ্গীর
Published: 27th, February 2025 GMT
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সচিব প্রফেসর ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, যে শিক্ষার সাথে ধর্ম নাই সেই শিক্ষা পরকাল পর্যন্ত পৌছবেনা, আর যে শিক্ষার সাথে ধর্ম থাকবে সে শিক্ষা পরকাল পর্যন্ত পৌছবে, আল্লাহতালার কাছাকাছি নিয়ে যাবে। এই প্রতিষ্ঠান (গিয়াসউদ্দিন ইসলামিক মডেল কলেজ) দেখে আমার মনে হচ্ছে ধর্মটাকে কাছে রেখে শিক্ষাটাকে নিয়ে যাচ্ছে বহন করে, এরা সফল হবেই।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সিদ্ধিরগঞ্জের হিরাঝিলস্থ গিয়াসউদ্দিন এডুকেশন কমপ্লেক্স কনভেশন সেন্টারে গিয়াসউদ্দিন ইসলাম মডেল কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি একথা বলেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, তোমরা একদিন মা হবে, বাবা হবে, এমন একটা সন্তান তৈরি করে যাও যে বাবা তোমাকেত অনেক দিলাম কবরে আমি যখন যাবো,তোমার মা যাবে,আমি যাবো, রাব্বির হামহুমা কামা রব্বায়ানি সগিরা পরিও বাবা। সেইটাই আমার একমাত্র পাওয়া।
বাবা, মা কম দেন না, বাবা জামা না কিনে, আপনাকে পড়িয়েছে। বিয়ে করলেন বাবা,মা কে বৃদ্ধাশ্রম দিলেন জবাবদিহি করতে হবে পরকালে। যদি বাবা,মা বৃদ্ধাশ্রমে যায় কি জবাব দিবেন আল্লাহর কাছে, প্রস্তুুত থাকেন আল্লাহতালা নিজেই প্রশ্ন করবেন তোমার বাবা,মা বৃদ্ধাশ্রমে কেন, বাবা,মা দেখাশোনা ফরজে আইন সন্তানের জন্য।
তিনি আরো বলেন, আমার সেই শিক্ষা দরকার নাই, আমার সে শিক্ষা দরকার আমি যেন বলতে পারি আমার বাবা,মা কে। আমি যেন নামাজ পড়তে পারি, মুখে দোয়া করতে পারি, দোয়া পাওয়ার অধিকার আছে বাবা,মার। আমার মনে হয় এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (গিয়াসউদ্দিন ইসলামিক মডেল কলেজ) আমি যে কথা গুলো বললাম তা তারা বহন করতে পারবে আমার মনে হয়।
গিয়াসউদ্দিন ইসলামিক মডেল কলেজের অধ্যক্ষ মীর মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেনের সভাপতিত্বে উক্ত পুরস্কার বিতর অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, আবুল হোসেন, শিশির ঘোষ অমর, রাজিব আহমেদ, শিক্ষক আবু তাহের, আবু তালেব, উমর ফারুক ও ইমতিয়াজ রহমানসহ আরো অনেকে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ গ য় সউদ দ ন ইসল ম পরক ল
এছাড়াও পড়ুন:
‘গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ’ থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই প্রতিনিধির পদত্যাগ
নতুন ছাত্রসংগঠন ‘বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ’ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদ পাওয়া দুই প্রতিনিধি। আজ বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করে তাঁরা এ ঘোষণা দেন। কমিটিতে ঢাকা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক আধিপত্যের প্রতিবাদে তাঁরা পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
পদত্যাগ করা দুই নেতা হলেন সংগঠনটির যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদী সজীব এবং যুগ্ম সদস্যসচিব সালাহউদ্দিন আম্মার। তাঁরা দুজনই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ছিলেন।
গতকাল বুধবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাংশের নেতৃত্বে আত্মপ্রকাশ করে নতুন ছাত্রসংগঠন ‘বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ’। এতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদারকে আহ্বায়ক ও দপ্তর সম্পাদক জাহিদ আহসানকে সদস্যসচিব করে প্রাথমিকভাবে ছয় সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হয়। এরপর আজ বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে সংবাদ সম্মেলন করে ২০৫ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেন সংগঠনটির আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার। এতে ৬ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে মেহেদী সজীব ও ১ নম্বর যুগ্ম সদস্যসচিব হিসেবে সালাহউদ্দিন আম্মারের নাম ঘোষণা করেন তিনি। নাম ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে পদত্যাগের ঘোষণা দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই দুই সমন্বয়ক।
ফেসবুক স্ট্যাটাসে মেহেদী সজীব লেখেন, ‘আজ বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের কেন্দ্রীয় কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে আমার নাম বলা হয়েছে। গতকাল রাতেও এ নিয়ে আমি আমার স্ট্যান্ড ক্লিয়ার করেছি। এখনো বলছি, নতুন বন্দোবস্তের নামে ঢাকা ও ঢাবিকেন্দ্রিক নয়া ফ্যাসিবাদী মনোভাবের যে উত্থান লক্ষ করা যাচ্ছে, তার প্রতিবাদেই আমি এই প্ল্যাটফর্মে থাকতে রাজি নই।’
ইচ্ছার বাইরে তাঁকে সংগঠনে সম্পৃক্ত করার নিন্দা জানিয়ে মেহেদী সজীব আরও লেখেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্যই তিনি আজ মেহেদী সজীব হিসেবে গড়ে উঠতে পেরেছেন। তাঁর স্পষ্ট বার্তা, ঢাকা ও ঢাবিকেন্দ্রিক ফ্যাসিবাদী মনোভাব থেকে যত দিন না এই দলের অংশীজনেরা বেরিয়ে আসতে পারবেন, বিকেন্দ্রীকরণের দিকে মনোনিবেশ করবেন, তত দিন পর্যন্ত তিনি তাঁদের সঙ্গে কোনো ধরনের রাজনৈতিক বোঝাপড়ায় যাবেন না। এ জন্য তিনি ওই পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।
ফেসবুক স্ট্যাটাসে সালাহউদ্দিন আম্মার লিখেছেন, ‘আমাদের কাছে শিক্ষার্থীদের পালসটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। রাবি শিক্ষার্থীরা চাচ্ছে না এই ঢাবি আধিপত্যের পক্ষে থাকতে, তাই আমরাও চাচ্ছি না। শিক্ষার্থীরা না চাইলে আমরা কিছুই নই।’
পদত্যাগের বিষয়ে সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, নতুন ছাত্রসংগঠনটি সর্বজনীন হতে পারত। কিন্তু তাঁদের বর্তমান অবস্থানের কারণে সংগঠনটির প্রতি শিক্ষার্থীরা বিশ্বাস রাখতে পারছেন না। জুলাই অভ্যুত্থানের সবচেয়ে বড় শক্তি ছিলেন শিক্ষার্থীরা। সেই শিক্ষার্থীদের অনুভূতির বাইরে গিয়ে তাঁর রাজনীতি করা সম্ভব নয়।