নতুন কর্মসংস্থান হলো ১০৮ নারীর, ঋণ পেলেন ২১ উদ্যোক্তা
Published: 27th, February 2025 GMT
গাজীপুরের কালীগঞ্জে বিকল্প শিক্ষা ও দক্ষতা কার্যক্রমের প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য চাকরি মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ১০৮ জন প্রশিক্ষিত নারীর কর্মসংস্থান হয়েছে। এছাড়াও ২১ প্রশিক্ষিত নারী উদ্যোক্তা হিসেবে সহযোগিতা পেয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বেসরকারি সংস্থা ইকো সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (ইএসডিও) আয়োজনে এবং ইউনিসেফ ও কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (কোইকা) অর্থায়নে উপজেলার তুমলিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ ভাদার্ত্তী গ্রামের ইএসডিও’র কার্যালয় প্রাঙ্গণে দুদিনব্যাপী এ চাকরি মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নূরী তাসমিন ঊর্মী।
এছাড়া অন্যদের মধ্যে ইউনিসেফের শিক্ষা কর্মকর্তা সাব্বির আহমেদ, ইএসডিও'র শাহরিয়ার মাহমুদ, এএসএম রাজিউল ইসলাম, কালীগঞ্জ উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শাহানাজ আক্তার, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা ঈসমাইল ভূঁইয়াসহ ইএসডিও’র অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী, গণমাধ্যমকর্মী, প্রশিক্ষিতপ্রাপ্ত সহস্রাধীক চাকরি প্রত্যাশী ও উদোক্তা নারী উপস্থিত ছিলেন।
ইএসডিও থেকে ৩২০ জন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চাকরি প্রত্যাশী ও ৫০ জন প্রশিক্ষিতপ্রাপ্ত উদ্যোক্তা হতে আগ্রহী নারী মেলায় নিবন্ধন করেন। নিবন্ধিত সকল নারী কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অধীনে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। পরে বিউটি কেয়ার লেভেল টু, কম্পিউটার অপারেশন লেভেল থ্রি ও সুইং অপারেশন লেভের ৩ ট্রেড্রে ১০৮ জন প্রশিক্ষিত নারীকে গাজীপুর ও নরসিংদী জেলার বিভিন্ন উপজেলার ১১টি প্রতিষ্ঠানে চাকরি প্রদান করা হয়।
অন্যদিকে বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ২১ জন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নারীকে ২০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হয়।
ঢাকা/রফিক/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর মকর ত অন ষ ঠ উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
এনবিআরকে প্রতিদিন গড়ে ২২৭৫ কোটি টাকা আদায় করতে হবে
চলতি অর্থবছরের শেষ তিন মাসে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) প্রতিদিন গড়ে ২ হাজার ২৭৫ কোটি টাকা আদায় করতে হবে। এ বছরের সংশোধিত লক্ষ্য অর্জনে শেষ তিন মাসে এমন চাপে থাকবে এনবিআর।
চলতি অর্থবছরের শেষ প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) এনবিআরকে ২ লাখ ৭ হাজার ১৩ কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্য আছে। চলতি অর্থবছরের পুরো সময়ের জন্য এনবিআরের সংশোধিত শুল্ক-কর আদায়ের লক্ষ্য হলো ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ৯ মাসের শুল্ক-কর আদায়ের হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে। এই সময়ের তথ্য বিশ্লেষণ করে অর্থবছরের শেষ তিন মাসের রাজস্ব আদায়ের চাপের চিত্রটি উঠে এসেছে।
ঋণের শর্ত হিসেবে শুল্ক-কর আদায় বাড়ানোর জন্য শর্ত দিয়ে আসছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, দেশের কর-জিডিপি অনুপাত ৭ দশমিক ৪ থেকে বাড়িয়ে চলতি অর্থবছরের মধ্যে ৭ দশমিক ৯-এ উন্নীত করার কথা বলেছে আইএমএফ। কিন্তু এনবিআর এ বছরও বড় ধরনের ঘাটতির মুখে পড়তে যাচ্ছে।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) ঘাটতি হয়েছে ৬৫ হাজার ৬৬৫ কোটি টাকা। এই সময়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আদায় করেছে ২ লাখ ৫৬ হাজার ৪৮৭ কোটি টাকা। এই সময়ে ৩ লাখ ২২ হাজার ১৫২ কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্য ছিল।
চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে গড়ে প্রতিদিন সাড়ে নয় শ কোটি টাকার মতো আদায় হয়। এখন পুরো বছরের লক্ষ্য অর্জনে প্রতিদিন আগের চেয়ে আড়াই গুণ বেশি শুল্ক কর আদায় করতে হবে।
চলতি অর্থবছরে এনবিআরে জন্য মূল লক্ষ্য ছিল ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত হারে রাজস্ব আদায় না হওয়ায় লক্ষ্য কমানো হয়।
এনবিআরের কর্মকর্তারা জানান, গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন ও রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রভাব পড়েছে রাজস্ব আদায়ে। এ ছাড়া অর্থনীতি তথা ব্যবসা-বাণিজ্য শ্লথগতিও রাজস্ব আদায়ে পিছিয়ে পড়ার কারণ। আমদানি শুল্ক ও ভ্যাট আদায় বিঘ্ন হয়েছে। আয়কর কর কম আদায় হয়েছে। তাঁরা আরও বলেন, প্রতিবছর এনবিআরের ওপর যৌক্তিকভাবে বিশাল লক্ষ্য দিয়েছে। এ জন্য লক্ষ্য অর্জিত হয় না।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, জুলাই-মার্চ মাসে আমদানি, ভ্যাট ও আয়কর—এই তিন খাতের মধ্যে কোনোটিতেই সাত মাসের লক্ষ্য পূরণ হয়নি।
পরিসংখ্যান
জুলাই-মার্চ সময়ে সবচেয়ে বেশি ঘাটতি আয়কর খাতে। এই খাতে লক্ষ্য ছিল ১ লাখ ১৬ হাজার ৬৭৬ কোটি টাকা। এই সময়ে আদায় হয়েছে ৮৬ হাজার ৯২১ কোটি টাকা। আয়করে ঘাটতি হয়েছে ২৯ হাজার ৭৫৫ কোটি টাকা।
অন্যদিকে ৯ মাসে আমদানি খাতে ৯০ হাজার ৭২৭ কোটি টাকার লক্ষ্যের বিপরীতে ৭৪ হাজার ২৫৫ কোটি টাকা আদায় হয়েছে। এই খাতে ঘাটতি হয়েছে ১৬ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা।
গত জুলাই-মার্চ সময়ে ভ্যাট খাতে আদায় হয়েছে ৯৫ হাজার ৩১১ কোটি টাকা। এই সময়ে এই খাতে লক্ষ্য ছিল ১ লাখ ১৪ হাজার ৭৪৯ কোটি টাকা। এ খাতে ঘাটতি হয়েছে সাড়ে ১৯ হাজার কোটি টাকা।