এনআরবিসি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আদনান ইমামের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা
Published: 27th, February 2025 GMT
এনআরবিসি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আদনান ইমামকে বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন আজ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।
দুদকের পক্ষ থেকে আদালতকে জানানো হয়েছে, এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যানের পদে থেকে মোহাম্মদ আদনান ইমাম শেয়ার বাজারে কারসাজি ও অন্যান্য অপরাধের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করেছেন। একই সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। মোহাম্মদ আদনান ইমাম বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন বলে দুদক জানতে পেরেছে।
আদালত শুনানি নিয়ে মোহাম্মদ আদনান ইমামকে বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন।
গত ১৫ নভেম্বর সাবেক পরিচালক আদনান ইমামের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। তিনি বর্তমানে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি জেনেক্স ইনফোসিসের চেয়ারম্যান। তাঁদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের তথ্যও চাওয়া হয়।
২০১৭ সালের ১০ ডিসেম্বর ব্যাংকের পর্ষদ পুনর্গঠনের পর পরিচালক হিসেবে যুক্ত হন আদনান ইমাম। সম্প্রতি তিনি ব্যাংকের পরিচালক পদ ছাড়েন। ব্যাংক থেকে নামে-বেনামে অর্থ বের করার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুনএবার এনআরবিসি ব্যাংকের পারভেজ তমাল ও আদনান ইমামের ব্যাংক হিসাব জব্দ১৪ নভেম্বর ২০২৪.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এনআরব স
এছাড়াও পড়ুন:
এনআরবিসি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যানের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা
এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার ফরাছত আলী এবং সাবেক পরিচালক সরোয়ার জামান চৌধুরীর বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিব দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, দুদকের উপ-পরিচালক আফরোজা হক খান এ আবেদন করেছেন। আবেদনে বলা হয়েছে, ইঞ্জিনিয়ার ফরাছত আলী ও সরোয়ার জামান চৌধুরীর বিরুদ্ধে ভুয়া বিল-ভাউচার তৈরি করে ব্যাংকের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ, হুন্ডি ব্যবসা, ঋণ প্রদানে অনিয়মের মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং বিদেশে অর্থ পাচারসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে তিন সদস্যের দল গঠন করা হয়।
অনুসন্ধানকালে গোপন সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগ- সংশ্লিষ্টরা বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে অনুসন্ধান ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা আছে। তাদের বিদেশ গমন রহিত করা একান্ত প্রয়োজন।
ঢাকা/মামুন/রফিক