সোনারগাঁয়ে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই বন্ধু নিহত
Published: 27th, February 2025 GMT
সোনারগাঁয়ে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই বন্ধু নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন- ঢাকার নন্দীপাড়া এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান টুটুল (৪১) ও একই এলাকার ফিনল্যান্ড প্রবাসী মো. হাবিব (৩৯) ৷
বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি ওয়াহিদ মোরশেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এরআগে বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার টিপুরদী এলাকার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে ঘটে বলে জানান |
নিহতদের পরিবারের সদস্যদের বরাতে ওসি ওয়াহিদ বলেন, টুটুল ও হাবিব দুই বন্ধু। তারা মোটরসাইকেলে করে সোনারগাঁয়ে বেড়াতে আসেন। মেঘনা নদীতে গোসল করে লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন (সোনারগাঁ জাদুঘর) ও পানাম নগরে যান।
ঘোরাফেরা শেষে রাতে বাড়ি ফেরার পথে টিপুরদী এলাকায় ইউটার্ন নেওয়ার সময় পেছন থেকে আসা একটি যাত্রীবাহী বাস তাদের ধাক্কা দেয়। আহত অবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।”
ঘটনার পর বাসসহ চালক পালিয়ে গেছে জানিয়ে এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, গাড়িটি শনাক্ত করতে পুলিশ কাজ করছেন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
গরমে লোডশেডিং হলে প্রথমে ঢাকা শহরেই হবে
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, গ্রীষ্ম মৌসুমে যাতে লোডশেডিং কম হয়, সে জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে সরকার। যদি হয় তাহলে প্রথমে ঢাকা শহরেই হবে, এরপর দেশের অন্য কোথাও হবে। আগের মতো প্রথমে গ্রামে হবে না।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরের সিআরবিতে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের সদর দপ্তরের সম্মেলনকক্ষে সাংবাদিকদের এই মন্তব্য করেন জ্বালানি উপদেষ্টা। চট্টগ্রাম নগরের জলাবদ্ধতা নিরসন নিয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভার আগে সাংবাদিকদের বিভিন্ন বিষয়ে ব্রিফিং করেন তিনি।
পবিত্র রমজান মাসে লোডশেডিং না হওয়ায় বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ধন্যবাদ জানান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, বেশ কিছু ফ্যাক্টরের ওপর লোডশেডিং হওয়া না হওয়া নির্ভর করে। বিশেষ করে তাপমাত্রা বাড়লে চাহিদা বাড়বে। তবে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রিতে রাখলে এক থেকে দুই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে। কিন্তু অনেকেই এটি করছেন না। জনগণকে সচেতন হতে হবে।
চট্টগ্রাম নগরের জলাবদ্ধতা এবার আগের তুলনায় অনেকাংশে কমবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেন, ‘জলাবদ্ধতা অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করে। বৃষ্টির পরিমাণ কেমন হবে তা একটু বড় ফ্যাক্টর। তবে এই দুর্ভোগ এবার অনেকটা লাঘব হবে। নগরের জলাবদ্ধতা নিরসন কাজের কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে। তবে একটি জিনিস দেখে খারাপ লাগছে, কিছুদিন আগে খাল পরিষ্কার করা হলেও সেখানে এখন আবার ময়লা-আবর্জনা ফেলা হয়েছে। এতে মনে হচ্ছে এই কাজে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে পারিনি। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হবে। মানুষকে সচেতন করা হবে। ময়লা রাখার বিন দেওয়া হবে। এরপরও যদি ময়লা-আবর্জনা ফেলা হয়, তাহলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জেল-জরিমানাসহ শাস্তি দেওয়া হবে।’
ছয় লেন হবে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক
দুর্ঘটনাপ্রবণ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক প্রশস্ত করা নিয়ে আশার কথা শুনিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেন, এই মহাসড়ক ছয় লেন করা হবে। তবে তা সময়সাপেক্ষ। কেননা এখানে জমি অধিগ্রহণ ও ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। সব মিলিয়ে দুই-তিন বছরের আগে হবে না। তবে এই সময় সড়কে দুর্ঘটনা রোধে কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ অংশে সড়ক প্রশস্ত করা হয়েছে। সতর্ক করে সাইন পোস্ট দেওয়া হয়েছে। জনসচেতনতা বাড়ানো হবে। চালকদের সচেতন করা হবে।
এই সময় সড়ক ও জনপথ বিভাগের এক ঊর্ধ্বতন প্রকৌশলী জানান, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীত করার জন্য সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ চলছে। আগামী সেপ্টেম্বরে শেষ হবে। এরপর ডিসেম্বরে ডিপিপি প্রণয়ন করা হবে। আগামী জানুয়ারিতে জাপানের দাতা সংস্থা জাইকার সঙ্গে ঋণ চুক্তি করার কথা রয়েছে।
‘রেলের শত্রু রেলের কর্মীরা’
রেলওয়ে প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, রেলের শত্রু রেলের কর্মীরা। সিটি করপোরেশন রাস্তা করতে চাইলে, ওয়াসা পানি দিতে চাইলেও রেল নিতে চায় না। তবে এখন থেকে তা হবে না। সিটি করপোরেশন সিআরবিতে রাস্তা করে দেবে। ওয়াসা পানি সরবরাহ করবে। রেলের কাজ হচ্ছে ট্রেন পরিচালনা করা। প্রতিনিয়ত সেবার মান বাড়ানোর কাজ করতে হবে। রাস্তা করা ও পানি সরবরাহ করা রেলের কাজ নয়। এসব করতে গিয়ে রেলের দক্ষতা নষ্ট হয়। অর্থের অপচয় হয়।
রেল উপদেষ্টা বলেন, রেলের এক টাকা আয় করতে আড়াই টাকা খরচ হয়। এভাবে হলে চলবে না। এটি দুই টাকার নিচে নিয়ে আসতে হবে। আর ট্রেনের ইঞ্জিন ও কোচের সংকটে সরকার কাজ করছে।
সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ের সময় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র শাহাদাত হোসেন উপদেষ্টার কাছে রেলওয়ের কাছ থেকে তিনটি দিঘি চান। এগুলোকে পর্যটন স্পট হিসেবে করার পরিকল্পনার কথা জানান তিনি। উপদেষ্টা এ সময় রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো. সবুক্তগীনকে নির্দেশনা দেন। এগুলো সিটি করপোরেশনকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।