দেশেই তৈরি হচ্ছে বিশ্বমানের স্মার্টফোন, বাড়ছে কর্মসংস্থান
Published: 27th, February 2025 GMT
স্মার্টফোন তৈরিতে বাংলাদেশে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলেছে ‘ইনফিনিক্স’। ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে নারায়ণগঞ্জের মোগরাপাড়ায় চালু হওয়া ‘আইস্মার্টইউ টেকনোলজি বিডি লিমিটেড’ কারখানায় তৈরি হচ্ছে বিশ্বমানের স্মার্টফোন। যা দেশের বাজারের পাশাপাশি ভবিষ্যতে রপ্তানির সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আধুনিক প্রযুক্তি, কঠোর মাননিয়ন্ত্রণ এবং দক্ষ জনশক্তির সমন্বয়ে প্রতি মাসে কারখানাটিতে প্রায় সাড়ে সাত লাখ মোবাইল হ্যান্ডসেট তৈরি হয়। প্রযুক্তি খাতের বিকাশের পাশাপাশি দেশে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে প্রতিষ্ঠানটি।
কারখানার বিভিন্ন ইউনিট ঘুরে দেখা যায়, এখানে স্মার্টফোন তৈরির প্রতিটি ধাপে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করা হচ্ছে।
প্রতিষ্ঠানটির অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার (পিএমসি) মো.
অ্যাসিস্ট্যান্ট টিম লিডার (এসএমটি ইঞ্জিনিয়ারিং) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের এসএমটি ইউনিটে পিসিবির ওপর ছোট ছোট কম্পোনেন্ট মাউন্ট করা হয়, যা ‘‘সার্ফেস মাউন্ট টেকনোলজি’’ নামে পরিচিত। প্রতিটি কম্পোনেন্ট মেশিনে মাউন্ট করার পাশাপাশি দক্ষ কর্মীদের দ্বারাও পর্যবেক্ষণ করা হয়।’
মো. সাইফুল ইসলাম আরও বলেন, ‘প্রতিটি উপাদান কর্মীদের দ্বারা ওয়ান বাই ওয়ান চেক করা হয় এবং টেস্টিং লাইনের পিসিবিগুলো জিগ এবং দক্ষ কর্মীদের দ্বারা পরীক্ষা করা হয়, যাতে কাস্টমার ডিমান্ড ও কোয়ালিটি সঠিকভাবে নিশ্চিত করা যায়।’
এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটির তৈরি স্মার্টফোনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ, ব্যাটারি ও ডিসপ্লের মান যাচাইয়ের জন্য রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। এ বিষয়ে অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার (কোয়ালিটি) মো. সাজেদুর রহমান বলেন, ইনফিনিক্স সব সময় নিজেদের পণ্যের কোয়ালিটি উন্নত করতে ভালো মানের ম্যাটেরিয়াল ব্যবহার করে। ব্যাটারির পারফরম্যান্স, ক্যাপাসিটি টেস্ট, চার্জ-ডিসচার্জ সাইকেল, ইভ্যালুয়েশনসহ ওভারঅল প্রোটেকশন পরীক্ষা করা হয়।
মো. সাজেদুর রহমান জানান, ডিসপ্লের ক্ষেত্রে ইনফিনিক্স কালার অ্যাকুরেসি ও ব্রাইটনেস যাচাই করে। ডিসপ্লের রিলায়াবিলিটি নিশ্চিত করতে স্ট্রেস টেস্ট স্টিমুলেশন করা হয়। এ ছাড়া প্রসেসরের কার্যক্ষমতা পর্যালোচনায় রানিং বেঞ্চমার্ক, থার্মাল ইফিসিয়েন্সি ও লো-পাওয়ার অপারেশন ইফিসিয়েন্সির ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়।
প্রতিটি স্মার্টফোন বাজারে ছাড়ার আগে একাধিক পর্যায়ে মান পরীক্ষা করা হয়। বিষয়টি নিয়ে অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার (প্রোডাকশন) মো. আবদুর রউফ বলেন, ইনফিনিক্সের সব ম্যাটেরিয়াল আন্তর্জাতিক মানের। এগুলো প্রথমে মেশিনের মাধ্যমে যাচাই করা হয়। এরপর সুদক্ষ কর্মীদের দ্বারাও পরীক্ষা চালানো হয়। আট ঘণ্টার রানিং টেস্টের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয় যে ফোনটি ত্রুটিমুক্ত।
কারখানাটির মাধ্যমে শুধু দেশের প্রযুক্তি খাতই উপকৃত হচ্ছে না, বিশাল কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছেন দেশের হাজারো মানুষউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: কর ম দ র দ ব র ন শ চ ত কর ইনফ ন ক স পর ক ষ
এছাড়াও পড়ুন:
পদ্মা সেতুতে সর্বমোট টোল আদায় ২ হাজার ২৭৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকা
পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের পর থেকে শনিবার পর্যন্ত উভয় প্রান্তের টোল প্লাজায় সর্বমোট টোল আদায় হয়েছে ২ হাজার ২৭৭ কোটি ৫৫ লাখ ৯১ হাজার ৪৫৯ টাকা। আর ঈদযাত্রার পাঁচ দিনে শনিবার পর্যন্ত পদ্মা সেতু হয়ে ১ লাখ ৫২ হাজার ৩২৭টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এ সময়ে ১৭ কোটি ৪২ লাখ ২১ হাজার ৭০০ টাকা টোল আদায় হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ।
সেতু কর্তৃপক্ষের পরিচালক আলতাফ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, শেষ মুহূর্তের ঈদযাত্রায় পদ্মা সেতু অতিক্রম করে বাড়ি ফিরছেন দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার লাখ লাখ মানুষ। তবে মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় পদ্মা সেতুর টোল প্লাজায় যানবাহন ও যাত্রীদের চাপ নেই। কখনও কখনও একেবারেই ফাঁকা থাকছে টোল প্লাজা।
শনিবার পদ্মা সেতু দিয়ে ৩৬ হাজার ৯২৪ যান পারাপার হয়। এর মধ্যে মোটরসাইকেল ছিল ৮ হাজার ৭৫০টি। টোল আদায় হয়েছে ৪ কোটি ৭ লাখ ৯২ হাজার ২০০ টাকা।
এছাড়া শনিবার পর্যন্ত ঈদযাত্রার পাঁচ দিনে পদ্মা সেতু হয়ে ১ লাখ ৫২ হাজার ৩২৭টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এ সময়ে টোল আদায় হয়েছে ১৭ কোটি ৪২ লাখ ২১ হাজার ৭০০ টাকা।
সেতু কর্তৃপক্ষের পরিচালক আলতাফ হোসেন আরও জানান, লম্বা ছুটির কারণে এবার ঈদযাত্রায় চাপ অপেক্ষাকৃত কম। রোববার ভোরেও টোল প্লাজা ঘিরে যানবাহনের লম্বা লাইন ছিল। কিন্তু বেলা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তা কমতে থাকে।
টোল আদায়ে সংশ্লিষ্টরা জানান, রাত পোহালেই ঈদ, কর্মজীবী ও ব্যবসায়ী অনেকে পরিবার পরিজন নিয়ে বাড়ি যাচ্ছেন। তাই রোববারও অস্থায়ী টোল বুথটি চালু রাখা হয়। এখন ৯টি লেনে টোল আদায় করা হচ্ছে। তবে অনেকেই গরম এবং যানজট এড়াতে সেহেরির পরপরই বেরিয়ে পড়েন। তাই সকালে কিছুটা চাপ থাকলেও বেলা গড়ানোর পর চাপ কমতে থাকে।
একই চিত্র দেখা গেছে জেলার অপর মহাসড়ক ঢাকা-চট্টগ্রামের পথেও। রোববার সকাল থেকে এ মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ১৩ কিলোমিটারে ছিল না কোনো যানজট।