কিছু ব্যক্তি ও সংগঠন সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রণীত সাহ্‌রি ও ইফতারের সময়সূচি নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে এ সময়সূচি আলেম, ওলামা ও বিশেষজ্ঞদের তৈরি করা। এটি নিয়ে বিভ্রান্তির কোনো অবকাশ নেই।

আজ বৃহস্পতিবার ইসলামিক ফাউন্ডেশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে যে সাহ্‌রি ও ইফতারের সময়সূচি বের করা হয়েছে, তা আলেম, ওলামা ও বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত কমিটি প্রণয়ন করেছে। সেখানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি আবদুল মালেকসহ প্রখ্যাত ওলামায়ে কেরাম, আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষজ্ঞ, মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন কেন্দ্রের প্রতিনিধি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ের বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন।

সাহ্‌রি ও ইফতারের জন্য যুগ যুগ ধরে মানুষ প্রকৃতির ওপর নির্ভর করেছে। ঘড়ি আবিষ্কারের পর এর ওপর মানুষের নির্ভরশীলতা এসেছে। এখন যোগাযোগব্যবস্থা উন্নত হয়েছে। প্রতিটি বিষয়ে মিনিট, সেকেন্ড, মিলিসেকেন্ড, এমনকি ন্যানোসেকেন্ডের হিসাব বের করা সহজ হয়েছে। বর্তমানে যে সময়সূচি করা হয়েছে, তা সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম হিসাব করেই করা হয়েছে।

প্রায় ৩৩ বছর আগে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে যে সাহ্‌রি ও ইফতার এবং নামাজের সময়সূচি প্রণয়ন করা হয়েছিল, তা কয়েক যুগ ধরে চলছিল। সেখানে সাহ্‌রি, ফজরের আজান ও ইফতারের সময়ের সঙ্গে তিন মিনিট করে সতর্কতামূলক সময় রাখা হয়েছিল। সাহ্‌রির তিন মিনিট আগেই সময় শেষ করা ও ফজরের আজানের জন্য তিন মিনিট পর আজানের সময় নির্ধারণ করায় মাঝখানে ছয় মিনিট অলস সময় রাখা হয়েছিল। শরিয়তে এ ধরনের অলস সময়ের কোনো বিধান নেই।

‘সাহ্‌রির সময় শেষ, ফজরের সময় শুরু’—এটাই হলো শরিয়তের বিধান। আগের ক্যালেন্ডারে ফজরের আজান সতর্কতামূলকভাবে তিন মিনিট পর ধরায় অনেকের রোজা নষ্ট হচ্ছে। কারণ, সাধারণ মানুষ মনে করেন, আজান পর্যন্ত সাহ্‌রি খাওয়া যায়।

প্রায় ৩৩ বছর আগে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে যে সাহ্‌রি ও ইফতার এবং নামাজের সময়সূচি প্রণয়ন করা হয়েছিল, তা কয়েক যুগ ধরে চলছিল। সেখানে সাহ্‌রি, ফজরের আজান ও ইফতারের সময়ের সঙ্গে তিন মিনিট করে সতর্কতামূলক সময় রাখা হয়েছিল। সাহ্‌রির তিন মিনিট আগেই সময় শেষ করা এবং ফজরের আজানের জন্য তিন মিনিট পর আজানের সময় নির্ধারণ করায় মাঝখানে ছয় মিনিট অলস সময় রাখা হয়েছিল। শরিয়তে এ ধরনের অলস সময়ের কোনো বিধান নেই।

ইফতারের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। আগে ইফতারের সময়সূচি সতর্কতামূলকভাবে তিন মিনিট পর রাখা হয়েছিল। ব্যক্তিজীবনে অনেকে সতর্কতামূলকভাবে আরও তিন মিনিট পর ইফতার করেন। এতে করে ইফতারের সময় ক্রমে পিছিয়ে যাচ্ছে। অথচ শরিয়তের বিধান অনুযায়ী ‘শিগগিরই ইফতার করা উত্তম’।

সার্বিক দিক বিবেচনা করে কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে সাহ্‌রি, ফজরের আজান ও ইফতারের জন্য শুধু ‘সঠিক সময়’ ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রণয়ন করবে। কেউ চাইলে নিজ দায়িত্বে সতর্কতা অবলম্বন করতে পারেন। বর্তমান প্রণীত সময়সূচি অত্যন্ত সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম হিসাব করেই প্রণয়ন করা হয়েছে এবং তা সঠিক। এ নিয়ে বিভ্রান্তির কোনো অবকাশ নেই।

আরও পড়ুনদেশের সব মসজিদে একই পদ্ধতিতে খতমে তারাবিহ পড়ার আহ্বান১ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ও ইফত র র সময় ত ন ম ন ট পর র আজ ন র সময় র খ র জন য হয় ছ ল সময় শ

এছাড়াও পড়ুন:

বিয়ে না করলে থাকবে না চাকরি

চাকরি করতে হলে প্রত্যেক কর্মীকে প্রাতিষ্ঠানিক কিছু নিয়মকানুন মেনে চলতে হয়। প্রতিষ্ঠান সচল রাখার জন্য এটা গুরুত্বপূর্ণ। তবে কর্মীদের ‘অদ্ভুত’ এক শর্ত দিয়ে আলোচনায় এসেছে চীনা একটি প্রতিষ্ঠান। সেই প্রতিষ্ঠান অবিবাহিত কর্মীদের সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বলেছে, এই সময়ের মধ্যে বিয়ে না করলে চাকরিচ্যুত করা হবে।

চীনের উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ শানদংয়ের ওই প্রতিষ্ঠানের নাম দ্য সুনতিয়ান কেমিক্যাল গ্রুপ। প্রতিষ্ঠানটিতে কাজ করেন ১ হাজার ২০০ জনের বেশি কর্মী। গত জানুয়ারিতে প্রতিষ্ঠানটি একটি ঘোষণা দিয়ে জানায়, কর্মীদের মধ্যে বিয়ের হার কম হওয়ায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে যেসব কর্মী বিয়ে করবেন না, তাঁদের ছাঁটাই করা হবে।

প্রতিষ্ঠানটি শুধু যে অবিবাহিত কর্মীদের এমন শর্ত দিয়েছে, তা নয়। নতুন ঘোষিত নীতিতে প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, বিয়ে হয়নি বা বিয়ে করলেও বিচ্ছেদ হয়েছে, এমন কর্মীদের মধ্যে যাঁদের বয়স ২৮ থেকে ৫৮ বছর, তাঁদের অবশ্যই সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিয়ে করতে হবে।

বিয়ের জন্য কর্মীদের সময়সীমা বেঁধে দিয়েই প্রতিষ্ঠানটি ক্ষান্ত দেয়নি। নতুন ঘোষিত নীতিতে আরও বলা হয়, আগামী মার্চের মধ্যে যাঁরা বিয়ে করবেন না, তাঁদের অবশ্যই আত্মসমালোচনামূলক একটি পত্র দিতে হবে। আর যাঁরা জুনের মধ্যে বিয়ে না করা কর্মীদের বিষয়ে একটি মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এরপর সেপ্টেম্বরের মধ্যেও যদি দেখা যায় বিয়ে করেননি, তাহলে চাকরিচ্যুত করা হবে।

বিয়ের বিষয়ে উৎসাহিত করতে চীন সরকার গৃহীত নীতির কারণেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানায় প্রতিষ্ঠানটি। নতুন ঘোষিত নীতিতে প্রতিষ্ঠানটি বলে, ‘বিয়ের হার বাড়াতে সরকারি আহ্বান উপেক্ষা রাজদ্রোহের শামিল।’

কর্মীদের অদ্ভুত এই শর্ত দিয়ে আলোচনায় আসার পর ১৩ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠানটি পরিদর্শনে যান চীনের মানবসম্পদ ও সামাজিক নিরাপত্ত ব্যুরোর কর্মকর্তারা। এরপর এক দিনের কম সময়ের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, বিয়ে না করলে চাকর‍ি থেকে বরখাস্ত করার যে নীতি নেওয়া হয়েছিল, তা প্রত্যাহার করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক’ সূত্র ব্যবহার করলে মামলার হুঁশিয়ারি
  • সাহরি-ইফতারের সময়সূচি আলেম ও বিশেষজ্ঞদের তৈরি, বিভ্রান্তির অবকাশ নেই
  • ২৫ বছর পর রুলের ওপর শুনানি শুরু, পরবর্তী শুনানি ৪ মার্চ
  • রমজানে চেক ক্লিয়ারিংয়ে নতুন সময়সূচি
  • রমজানে পুঁজিবাজারের লেনদেনে নতুন সময়সূচি
  • ডাকসু নির্বাচন কবে? যা বলছে ঢাবি প্রশাসন
  • রমজানে নতুন সময়সূচিতে চলবে আর্থিক প্রতিষ্ঠান
  • বিয়ে না করলে থাকবে না চাকরি
  • রমজানে ব্যাংকে লেনদেন আড়াইটা পর্যন্ত