কু‌ষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বি‌বি ক‌রিমু‌ন্নেছার দ্রুত ক্ষমতা হস্তান্ত‌রের দাবিতে ঝাড়ু মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

সমাবেশ থেকে ইউএনওর বিরুদ্ধে উপ‌জেলা প্রশাস‌নের কা‌জে উদাসীনতা ও আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন করার মতো বিভিন্ন অভিযোগ তোলা হয়। দা‌বি না মান‌লে আগামী র‌বিবার (২ মার্চ) ইউএনও‌কে নিজ কার্যাল‌য়ে তালাবদ্ধ ক‌রে রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়। 

বৃহস্প‌তিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দি‌কে ‘মিরপুরের সর্বস্ত‌রের জনতা’র ব্যানারে শহ‌রের ঈগল চত্বর থে‌কে ঝাড়ু মি‌ছিল বের হ‌য়ে উপ‌জেলা প‌রিষদের সামনে বি‌ক্ষোভ সমা‌বেশ অনুষ্ঠিত হয়। 

এর আগে ঝাড়ু মিছিলে অংশ নেন এলাকার কয়েকশ’ নারী-পুরুষ। বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন মিরপুর পৌর যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রফিক, ধুবাইল ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মো.

যাহার হাজী, মিরপুর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদ ইসলাম ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লিমু। 

সমাবেশে বক্তারা বলেন, “ইউএনও বি‌বি ক‌রিমু‌ন্নেছা মিরপু‌রে যোগদানের পর থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার ক‌রে আস‌ছেন। সম্প্রতি আওয়ামী লী‌গের পদধারী‌দের নি‌য়ে উপ‌জেলা প‌রিষদ চত্ব‌রে মি‌টিং ক‌রে‌ছেন। তি‌নি আওয়ামী লীগ‌কে পুনর্বাসন করার চেষ্টা কর‌ছেন। তা‌কে মিরপুর থে‌কে বদলি করা হ‌য়ে‌ছে। তবু‌ও এখন পর্যন্ত ক্ষমতা হস্তান্তর ক‌রে‌নি।” 

উপ‌জেলা প্রশাসন সূ‌ত্রে জানা গে‌ছে, গত বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় মাঠ প্রশাসন-২ শাখার উপসচিব আমিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক‌টি প্রজ্ঞাপনে বিবি করিমুন্নেছাকে পদায়‌নের মাধ‌্যমে বদলি করা হয়েছে। তাকে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের অধীনে ন্যস্ত করা হয়েছে। সেখা‌নে তি‌নি এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন কর‌বেন। 

এর আগে ইউএনও বি‌বি ক‌রিমু‌ন্নেছার বিরু‌দ্ধে উপজেলা পরিষদের দুইটি প্রবেশদ্বার বন্ধ রাখার অভি‌যোগ ওঠে। এতে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ছাড়াও নামাজ আদায় করতে আসা মুসল্লিরা ভোগান্তিতে পড়েন। এছাড়া নিজ ক্ষমতায় উপ‌জেলা সাব রে‌জিষ্ট্রার অফি‌সের সীমানা প্রচীর নির্মা‌ণের কাজ বন্ধ ও আওয়ামী লীগ পদধারী চেয়ারম‌্যান‌দের‌ নি‌য়ে আইনশৃঙ্খলা সভা করায় আলোচনায় আসেন তি‌নি। 

এসব অভিযোগের বিষয়ে কথা বলার জন্য ইউএনও বি‌বি ক‌রিমু‌ন্নেছার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। 

এ ব্যাপারে কু‌ষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক তৌ‌ফিকুর রহমান বলেন, “বিষয়‌টি খতিয়ে ‌দেখা হ‌চ্ছে।”

ঢাকা/কাঞ্চন/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপ জ ল ক ষমত আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

আ’লীগ নেতাদের নিয়ে ঈদ উপহার বিতরণ ইউএনওর

ধর্মপাশায় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতাদের নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার ঈদ উপহার বিতরণ করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। এ নিয়ে নানা মহলে চলছে সমালোচনা।
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য পাঠানো ঈদ উপহার বিতরণ করেন ইউএনও জনি রায়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোজাম্মেল হক ও সেলবরষ ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক গোলাম ফরিদ খোকা। মোজাম্মেল হক পাইকুরাটি ইউপির ও গোলাম ফরিদ খোকা সেলবরষ ইউপির চেয়ারম্যান। এ অনুষ্ঠানে স্থানীয় বিএনপি বা অন্য রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতাদের নিয়ে শুধু এ উপহার বিতরণই নয়, উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত সরকারি প্রতিটি কর্মসূচিতে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতাকে রাখা হয়েছে সামনের সারিতে। এসব অনুষ্ঠানের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা বিতর্কের সৃষ্টি করে।
ধর্মপাশা উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর নারীদের জন্য ঈদ উপহার হিসেবে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে ৪৫০টি শাড়ি বরাদ্দ পায় উপজেলা প্রশাসন। শুক্রবার সকাল ১১টায় উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এসব শাড়ি আনুষ্ঠানিকভাবে বিতরণের আয়োজন করে প্রশাসন। ওই অনুষ্ঠানের অতিথি মঞ্চে ইউএনওর পাশাপাশি আসন গ্রহণ করেন উল্লিখিত আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতারা।
ধর্মপাশা উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল হক ও যুগ্ম আহ্বায়ক এসএম রহমত বলেন, ধর্মপাশায় গত ৪ আগস্ট যারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরোধিতা করেছে এবং নারকীয় তাণ্ডব চালিয়েছে তাদের প্রাধান্য দিয়ে উপজেলা প্রশাসন সরকারিসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে, যা দুঃখজনক। আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক জুলফিকার আলী ভুট্টো বলেন, যদি আওয়ামী ফ্যাসিস্টের দোসররা এখনও প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অগ্রাধিকার পায়, তাহলে জুলাই অভ্যুত্থানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ম্লান হবে।
ইউএনও জনি রায় বলেন, ওই আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতাদের দাওয়াত করে আনা হয়নি। তারা অনুষ্ঠান চলাকালে মঞ্চে চলে আসেন। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আ’লীগ নেতাদের নিয়ে ঈদ উপহার বিতরণ ইউএনওর