রাঙামাটির রাজস্থলী উপজেলায় বন্য হাতির আক্রমণে উসচিং মারমা (৪৫) নামের এক খামারির মৃত্যু হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজস্থলী উপজেলার গাইন্দ্যা ইউনিয়নের কাইতাক পাড়া গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত উসচিং মারমা একই গ্রামের প্রয়াত ক্যাও মারমার ছেলে। 

উসচিং মারমার ছেলে মংছাই মারমা জানিয়েছেন, কাইতাক পাড়ায় তাদের কলাবাগানে কাজ চলছে। সকালে বাসা থেকে বের হয়ে বাগানে যাওয়ার পথে হাতির আক্রমণের শিকার হন তার বাবা। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

গাইন্দ্যা ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য লামুচিং মারমা জানিয়েছেন, খাবারের সন্ধানে বন্য হাতির দল প্রায়ই লোকালয়ে আসছে। আজ সকালে বন্য হাতির দল কলাগাছ খেতে আসে। এ সময় হাতির আক্রমণে কৃষক উসাচিং মারমার মৃত্যু হয়। 

রাজস্থলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইকবাল বাহার চৌধুরী জানিয়েছেন, হাতির পায়ের চাপে পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই উসচিং মারমার মৃত্যু হয়েছে।

ঢাকা/শংকর/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বন য হ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

কাঁদতে কাঁদতে গাজার বাসিন্দা বললেন, ‘আমরা তো সব হারিয়েছি, ঈদটা কষ্টের’

ফিলিস্তিনের গাজায় রোববার পালিত হয়েছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। তবে ইসরায়েলের নৃশংস হামলায় বিধ্বস্ত উপত্যকাটিতে এ দিন ছিল না উৎসবের আমেজ। ঈদের দিনও সেখানে নির্বিচারে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। মুসলিমদের কাছে খুশির এ দিনটিতেও গাজায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৩৫ ফিলিস্তিনি।

দীর্ঘ ১৭ মাস ধরে চলা হামলায় গাজায় আর কোনো মসজিদ অবশিষ্ট নেই বললেই চলে। রোববার তাই উপত্যকাটির বাসিন্দাদের ঈদের নামাজ আদায় করতে হয়েছে ধ্বংস হয়ে যাওয়া মসজিদের বাইরে। আগের দিনে গাজার যেসব শিশু নতুন পোশাক পরে আনন্দ করত, তারা এখন ক্ষুধায়-আতঙ্কে কাতর। ঈদ উপলক্ষে নেই তেমন রান্নার আয়োজন।

ইসরায়েলের হামলা শুরুর আগে গাজার ফিলিস্তিনিরা ঈদের সকালে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে উদ্‌যাপন করতেন। তবে এখনকার চিত্র ভিন্ন। বহু গাজাবাসী তাঁদের পরিবারের সদস্যকে হারিয়েছেন। রোববার অনেককে দেখা যায় প্রিয়জনের কবরের পাশে। অনেকে হাজির হন হাসপাতালের মর্গে—শেষবারের মতো কাছের মানুষের মরদেহটি দেখতে।

ইসরায়েলের হামলায় গাজার বাসিন্দা আদেল আল-শায়ের তাঁর পরিবারের ২০ সদস্যকে হারিয়েছেন। মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ এলাকায় ঈদের নামাজ শেষে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। বলেন, ‘এই ঈদটা কষ্টের। আমরা আমাদের ভালোবাসার মানুষগুলোকে হারিয়েছি। আমাদের সন্তান, আমাদের জীবন, আমাদের ভবিষ্যৎ—সবকিছু... আমরা তো সব হারিয়েছি।’

ঈদের দিন স্বজনের কবরের পাশে গাজা নগরীর এক নারী

সম্পর্কিত নিবন্ধ