হবিগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থী ও জনতার উপর হামলার মামলায় এক আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে হযরত শাহজালাল (রহঃ) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তিনি সৌদি আরব যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।

গ্রেপ্তার আমজাদ আলী (৭০) সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি। তিনি লস্করপুর ইউনিয়নের সুলতানশী গ্রামের মৃত আব্দুল মন্নাফের ছেলে।

সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবীর জানান, আমজাদ আলী আজ ভোরে সৌদি আরব পালানোর জন্য বিমানবন্দরে যান। সেখানেই ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশের একটি টিম তাকে আনতে ঢাকায় গেছে।

আরো পড়ুন:

উপজেলা পরিষদ থেকে ৪ ইউপি চেয়ারম্যান আটক

আ.

লীগ নেতা সুজাতুল কল্লোল কারাগারে 

ওসি আরো জানান, ২০২৪ সালের ২ আগস্ট হবিগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় আমজাদ আলী ছাত্র ও জনতার উপর হামলা চালান বলে তদন্তে উঠে এসেছে। আহত তাহির মিয়া ১৮ সেপ্টেম্বর সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন, যার ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় আমজাদ আলী আন্দোলনকারীদের উপর হামলার নেতৃত্ব দেন। তবে গত বছরের ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর তিনি আত্মগোপনে চলে যান। সুযোগ বুঝে তিনি সৌদি আরব পালানোর চেষ্টা করছিলেন।

ঢাকা/আজহারুল/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আওয় ম ল গ গ র প ত র কর

এছাড়াও পড়ুন:

বে টার্মিনাল প্রকল্পের উন্নয়নকাজ শুরু হবে শিগগিরই–বন্দর চেয়ারম্যান

চট্টগ্রাম বন্দরের বে টার্মিনাল প্রকল্পে নতুন করে গতি এসেছে বলে জানিয়েছেন বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান। আজ বৃহস্পতিবার বন্দরের শহীদ ফজলুর রহমান মুন্সী মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা জানান।

বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, আগামী মাসে বে টার্মিনালের উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) সরকারি অনুমোদন পেতে যাচ্ছে। প্রকল্প উন্নয়ন প্রস্তাব অনুমোদনের পর বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ঋণ চুক্তি সই হবে। এর মাধ্যমে প্রকল্পের মাঠপর্যায়ের কাজ শুরু হওয়ার পথ তৈরি হবে।

গত বছরের জুনে বে টার্মিনাল প্রকল্পের ব্রেক ওয়াটার বা স্রোত প্রতিরোধক তৈরি এবং জাহাজ চলাচলের পথ তৈরি তথা খননকাজের জন্য ৬৫ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ অনুমোদন করেছিল বিশ্বব্যাংকের নির্বাহী পর্ষদ। এখন সরকারি অনুমোদন পাওয়ার পর প্রায় এক যুগ আগে হাতে নেওয়া এই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। এরপর পরিকল্পনা অনুযায়ী টার্মিনাল নির্মাণ হবে।

বে টার্মিনালে মূলত জাহাজ থেকে কনটেইনার ও পণ্য ওঠানো-নামানো হবে। খোলা পণ্য সাগরে ওঠানো-নামানো গেলেও টার্মিনাল ছাড়া কনটেইনার ওঠানো-নামানো যায় না। রপ্তানি পণ্যের সিংহভাগ কনটেইনারে ভরে বিদেশে পাঠানো হয়। আবার শিল্পের কাঁচামালসহ মূল্যবান পণ্য কনটেইনারে করে আমদানি হয়।

এই প্রকল্প এলাকা চট্টগ্রাম বন্দরের বিদ্যমান টার্মিনাল এলাকার চেয়ে বড়। বন্দর জলসীমার শেষ প্রান্তে চট্টগ্রাম ইপিজেডের পেছনের সাগরপার থেকে শুরু হবে বে টার্মিনাল প্রকল্পের সীমানা, যা গিয়ে শেষ হবে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের অদূরে রাসমণি ঘাটে। বঙ্গোপসাগরের কোলঘেঁষা প্রকল্প এলাকাটি প্রায় ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার লম্বা।

সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, বে টার্মিনাল প্রকল্প দেশের অর্থনীতির জন্য একটি গেম চেঞ্জার। এই প্রকল্পের জন্য রেলপথ, সড়কপথ এবং নদী যোগাযোগব্যবস্থা নতুন করে নির্মাণের প্রয়োজন নেই। কারণ, সেগুলো ইতিমধ্যে বিদ্যমান।

এই প্রকল্পে মোট চারটি টার্মিনাল গড়ে তোলা হবে। এর মধ্যে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারির (পিপিপি) আওতায় দুটি বিদেশি প্রতিষ্ঠান দুটি টার্মিনাল নির্মাণ ও পরিচালনা করবে। প্রতিষ্ঠান দুটি হলো সিঙ্গাপুরের পিএসএ ইন্টারন্যাশনাল ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) ডিপি ওয়ার্ল্ড। দুই প্রতিষ্ঠান প্রায় ৩০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে। তাদের বিনিয়োগের প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে।

বাকি দুটি টার্মিনাল নির্মাণের প্রক্রিয়াও এখন চলছে। আবুধাবি পোর্টস মাল্টিপারপাস একটি টার্মিনাল নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছে, যেখানে ১০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ হতে পারে। এ ছাড়া গ্যাস ও তেল খালাসের টার্মিনাল নির্মাণ ও পরিচালনার প্রস্তাব দিয়েছে দেশীয় প্রতিষ্ঠান ইস্ট কোস্ট গ্রুপ। বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে ইস্ট কোস্ট গ্রুপ এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। তারা ৩৫০ কোটি ডলার বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ