সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ বলেছেন, নতুন নতুন স্কীম ও প্রকল্প চালুর মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম এখন জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করছে

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ইসলামী ব্যাংকের যশোর জোনের এজেন্ট ব্যাংকিং ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন এবং মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ বিষয়ক কর্মশালায় অতিথি হিসেবে বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোঃ মাকসুদুর রহমান ও ডেভেলপমেন্ট উইংপ্রধান এ কে এম মাহবুব মোরশেদ। এতে আরও বক্তব্য দেন যশোর জোনপ্রধান মোঃ শফিউল আজম, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ রেজাউল করিম ও আবুল লাইছ মোহাম্মদ খালেদ। সম্মেলনে যশোর জোনের অধীন শাখাপ্রধান ও এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটের স্বত্বাধিকারীগণ অংশগ্রহণ করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ বলেন, ইসলামী ব্যাংক সকল সংকট কাটিয়ে সাফল্য ও আস্থার সাথে ব্যাংকিং কর্মকান্ড পরিচালনা করছে। গ্রামীণ জনপদে ইসলামী ব্যাংকের কল্যাণমুখী আর্থিক সেবাসমূহ এজেন্ট ব্যাংকিং নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। নতুন নতুন স্কীম ও প্রকল্প চালুর মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম এখন জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করছে। ইতোমধ্যেই এজেন্ট ব্যাংকগুলোতে বিনিয়োগ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তিনি সততা,দক্ষতা ও নিষ্ঠার সাথে যথাযথ নিয়মাচার পরিপালন করে সেবা প্রদান করার জন্য এজেন্ট মালিকদের প্রতি আহবান জানান।

সভাপতির বক্তব্যে মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা বলেন, জাতীয় উন্নয়নে ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। কৃষি, মৎস্য, ক্ষুদ্রশিল্প এবং অঞ্চলভিত্তিক ব্যবসায় চাহিদা অনুসারে বিনিয়োগ প্রদান করে ইসলামী ব্যাংক দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছে। ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং ইসলামী শরী’আহ ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ম কানুন মেনে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে গ্রাহক সেবা দিয়ে যাচ্ছে। তিনি এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা দেন।

এএ

.

উৎস: SunBD 24

কীওয়ার্ড: ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

থানার ৫০০ গজ দূরে প্রবাসীর গাড়িতে হামলা করে ডাকাতি, সর্বস্ব লুট

দীর্ঘ ১৯ মাস পর কুয়েত থেকে দেশে আসেন নাইমুল ইসলাম। চট্টগ্রামের জোরারগঞ্জ থানার উত্তর সোনাপাহাড় গ্রামের এই প্রবাসী গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। পরে স্বজনদের সঙ্গে ভাড়া করা মাইক্রোবাসে চট্টগ্রামে বাড়িতে ফিরছিলেন। পথে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে তাঁর গাড়িতে হামলা করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সর্বস্ব লুট করে নেয় ডাকাত দল।

আজ বৃহস্পতিবার ভোরে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ফালগুনকরা মাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। যে স্থানে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে, সেখান থেকে মাত্র ৫০০ গজ দূরেই চৌদ্দগ্রাম থানা। কিন্তু ডাকাতদের হাত থেকে রক্ষা পাননি ওই প্রবাসী। ডাকাতেরা প্রবাসীকে বহন করা গাড়িও ভাঙচুর করেছে।

চৌদ্দগ্রাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গুলজার আলম প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার খবর পাওয়ার পরপরই থানা ও হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তবে এর আগেই ডাকাতেরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী প্রবাসী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আট থেকে ১০ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা করেছেন। পুলিশ ঘটনায় জড়িত ডাকাতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করার চেষ্টা করছে।

প্রবাসী নাইমুল ইসলাম জানান, ১৯ মাস পর গতকাল রাত ১১টায় কুয়েত থেকে বিমানে তিনি ঢাকায় নামেন। এরপর রাত পৌনে একটার দিকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ভাড়া করা মাইক্রোবাসে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। রাত দুইটার পর মেঘনা সেতু পার হয়ে একটি হোটেলে যাত্রাবিরতি দিয়ে আবার রওনা দেন। চৌদ্দগ্রামের ফালগুনকরা মাজার এলাকায় ভোরের দিকে পেছন থেকে একটি অজ্ঞাতনামা পিকআপ বাঁ দিক দিয়ে ঢুকে তাদের মাইক্রোবাসটিকে চাপা দেয়। মাইক্রোবাসের চালক গাড়ি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে মুখোশ পরা ৮ থেকে ১০ জনের ডাকাত দল ধারালো অস্ত্র নিয়ে মাইক্রোবাসের দরজা-জানালা ভাঙচুর করে। একপর্যায়ে অস্ত্রের মুখে তাঁকে, তাঁর বাবাকে ও এক স্বজনকে জিম্মি করে প্রবাস থেকে তিনটি কার্টনে আনা মালামাল, লাগেজে থাকা দুই ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা, কুয়েতি দিনার—সব লুট করে নিয়ে যায়। পরে তাঁর এক স্বজন জাতীয় জরুরি সেবা নম্বরে (৯৯৯) কল করলে হাইওয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে আসে। পরে তাঁদের থানায় নেওয়া হয়।

নাইমুল ইসলাম আক্ষেপ করে বলেন, ‘প্রবাসে এত কষ্টে অর্থ উপার্জন করে মালামাল নিয়ে বাড়িতে ফিরছিলাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনো রকমে প্রাণটা নিয়ে শূন্য হাতে ঘরে ফিরতে হচ্ছে।’ প্রবাসীর বাবা আবুল খায়ের বলেন, ডাকাত দলে ৮ থেকে ১০ জন ছিল। তাদের সবার মুখোশ পরা ও হাতে ধারালো দেশি অস্ত্র ছিল। ডাকাতেরা পিকআপে ত্রিপল মোড়ানো অবস্থায় আসায় তাঁরা বিষয়টি আঁচ করতে পারেননি। মুহূর্তেই ছেলের কষ্টের উপার্জন সব লুট করে নিয়ে যায়।

মাইক্রোবাসের চালক শাহাদাত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ডাকাতেরা পিকআপে ত্রিপল মুড়িয়ে এসে ডান দিকে অতর্কিতভাবে ঢুকে মাইক্রোবাসে ধাক্কা দেয়। এতে গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের পাশে খাদে পড়ার উপক্রম হয়েছিল। তিনি অনেক কষ্টে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ করেন। এরপর ডাকাতেরা পিকআপ থেকে নেমে গাড়িতে ভাঙচুর করে এবং অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সব মাল লুট করে নিয়ে যায়।

চৌদ্দগ্রামের মিয়ার বাজার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন বলেন, ৯৯৯-এর মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পোঁছানোর আগেই ডাকাতেরা পালিয়ে যায়। তাঁরা মহাসড়ক ও আশপাশের এলাকায় থাকা সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে ডাকাতদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছেন। ইতিমধ্যে এ নিয়ে কাজ শুরু করেছে হাইওয়ে পুলিশ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ