সব ঠিক থাকলে দ্রুতই তিন বিদেশি কোচ পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশের সাঁতার। তিনজনের একজন সাঁতারের মূল ইভেন্টগুলোর জন্য, বাকি দুজন ওয়াটারপলো ও ডাইভিংয়ের জন্য।

বাংলাদেশের সাঁতারে অতীতে কখনো ওয়াটারপলো ও ডাইভিংয়ে বিদেশি কোচ আনা হয়নি। একসঙ্গে তিন বিদেশি কোচও কখনো ছিল না। প্রথমবারের মতো সব ধরনের সাঁতারে বিদেশি কোচ আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে বুধবার সাঁতার ফেডারেশনের অ্যাডহক কমিটির সভায়।

এ প্রসঙ্গে সাঁতার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান আজ প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘ফেডারেশনের সভায় তিনজন বিদেশি কোচ আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সাঁতার, ওয়াটারপলো, ডাইভিংয়ে কোচ আনছি। তিনজন বিদেশি কোচ এনে আমরা সাঁতারুদের অনুশীলনে রাখব। সাঁতারের মূল ইভেন্টগুলোর কোচ আগে আনা হবে। একই সময়ে ওয়াটারপলো ও ডাইভিং কোচ পেলেও নিয়ে আসব। এক মাসের মধ্যে কোচ পেলেও নিয়ে নেব। আজ থেকেই দ্রুত খোঁজা শুরু করছি। কোরিয়া আর চীনের কোচের দিকে নজর বেশি দেব।’

বুধবার এসএ গেমসের পরবর্তী আসরের সূচি চূড়ান্ত হয়েছে। পাকিস্তানের তিন শহরে দক্ষিণ এশিয়ান গেমসের আসর ২০২৬ সালের ২৩ জানুয়ারি জানুয়ারি শুরু হয়ে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে। সাঁতার ফেডারেশন মনে করছে, গেমসের জন্য প্রস্তুত হতে খুব বেশি সময় নেই হাতে। দ্রুত মাঠে নামতে হবে। সেই তাগিদ থেকে রোজার পর জাতীয় দলের ক্যাম্প শুরুর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

আরও পড়ুনসেমিফাইনালে না গিয়েও যেভাবে অনেক অর্জন পাকিস্তানের১১ মিনিট আগে

দেশের সাঁতারে সিনিয়র-জুনিয়র দুটি টুর্নামেন্ট হয় বছরে। আরেকটি টুর্নামেন্ট বাড়ানোর চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন ফেডারেশন সম্পাদক। তবে সেটা নির্ভর করবে পৃষ্ঠপোষক পাওয়ার ওপর।

নতুন কমিটির অধীনে প্রতিভা অন্বেষণের সিদ্ধান্ত হয়েছে জুলাই থেকে। বেশি উচ্চতার খেলোয়াড় নেওয়ার লক্ষ্য থাকবে এবারের অন্বেষণ–কার্যক্রমে। বয়সভিত্তিক সাঁতার আগে জুন-জুলাইয়ে হতো। এখন সেটি মে মাসে আয়োজনের পরিককল্পনা নিয়েছে সাঁতার ফেডারেশন।

আরও পড়ুনবাংলাদেশ–পাকিস্তান কেউই খালি হাতে ফিরল না৪৯ মিনিট আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র স দ ধ ন ত হয় ছ

এছাড়াও পড়ুন:

জি কে গউছের বাসায় হামলার মামলায় আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার

বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির (সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত) সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব জি কে গউছের বাসায় হামলার মামলায় আসামি আওয়ামী লীগ নেতা মো. রুহুল আমিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় নেওয়া হয়।

এর আগে দুপুরে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক সজল সরকারের নেতৃত্বে লাখাই থানার পুলিশের উপপরিদর্শক প্রনয় কুমার সরকার ও এএসআই আনোয়ারুল হকসহ একদল পুলিশ অভিযান পরিচালনা করেন। এ অভিযানে লাখাই উপজেলার বামৈ পশ্চিমবাগ গ্রাম থেকে মো. রুহুল আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ওই গ্রামের মৃত বালিস্টির মিয়ার ছেলে।

হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবির আসামি গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে শুক্রবার আদালতে প্রেরণ করা হবে।”

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ১৯ আগস্ট সন্ধ্যায় বিএনপি নেতা আলহাজ্ব জি কে গউছের বাসার বৈঠকখানায় শান্তিপূর্ণ সমাবেশ চলাকালে এসপি এসএম মুরাদ আলি ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খলিলুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বেপরোয়াভাবে লাঠিচার্জ, গুলিবর্ষণ এবং টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এতে অসংখ্য নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ ও আহত হন। 

এসময় বাদী বিএনপি নেতা আউয়ালের চোখে-মুখে ও শরীরে গুলি লাগে এবং তার চোখ নষ্ট হয়। এছাড়াও আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে পুলিশের সাথে মিলে বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর গুলি নিক্ষেপ করে।

এ ঘটনায় সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জেলা শহরের ইনাতাবাদ এলাকার মৃত হরমুজ আলীর ছেলে বিএনপি নেতা এসএম আব্দুল আউয়াল বাদী হয়ে হবিগঞ্জ সদর থানায় ৭৬ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। মো. রুহুল আমিন এ মামলার ২৩ নং আসামি।

ঢাকা/মামুন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ