ব্যক্তিগত বা পেশাগত কাজে হোয়াটসঅ্যাপে লিখিত বার্তা পাঠানোর পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের ভয়েস মেসেজ পাঠান অনেকে। কিন্তু উচ্চারণ অস্পষ্ট বা আশপাশে শব্দ হলে ভয়েস মেসেজের সব তথ্য প্রাপক ভালোভাবে শুনতে পারেন না। এ সমস্যা সমাধানে পরীক্ষামূলকভাবে ভয়েস মেসেজ বার্তা আকারে পড়ার সুবিধা চালু করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। প্রাথমিকভাবে ভারতে বসবাসকারী অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারকারীরা সুবিধাটি ব্যবহার করতে পারবেন।

ভয়েস মেসেজ ট্রান্সক্রিপশন নামের এ সুবিধা কাজে লাগিয়ে ব্যবহারকারীরা সহজেই স্মার্টফোনে অন্যদের পাঠানো ভয়েস মেসেজ টেক্সটে রূপান্তর করে পড়তে পারবেন। এর ফলে পথচলার সময় অন্যদের পাঠানো ভয়েস মেসেজের তথ্য জানা যাবে। শুধু তা-ই নয়, ভয়েস মেসেজে থাকা গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো আলাদা করে লিখে সংরক্ষণ করতে হবে না।

হোয়াটসঅ্যাপ জানিয়েছে, ট্রান্সক্রিপশনের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণভাবে ব্যবহারকারীর যন্ত্রেই সম্পন্ন হবে। অর্থাৎ, ভয়েস মেসেজ ও বার্তা ব্যবহারকারীর যন্ত্রেই থাকবে এবং তৃতীয় কোনো পক্ষের কাছে তা সংরক্ষণ করা হবে না। ফলে ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।

বর্তমানে ইংরেজি, স্প্যানিশ, পর্তুগিজ ও রুশ ভাষায় ভয়েস মেসেজ ট্রান্সক্রিপশন সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে। হিন্দি ভাষা আনুষ্ঠানিক সমর্থন না করলেও কিছু ক্ষেত্রে হোয়াটসঅ্যাপে হিন্দি ভাষার ভয়েস মেসেজ বার্তা আকারে দেখা যাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, ভবিষ্যতে হিন্দিসহ আরও বেশ কয়েকটি ভাষা যুক্ত হবে।

সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: হ য় টসঅ য প ভয় স ম স জ ব যবহ র

এছাড়াও পড়ুন:

মিয়ানমারে নিহত বেড়ে ২০৫৬, এক সপ্তাহের শোক ঘোষণা

মিয়ানমারে মৃত মানুষের সংখ্যা বেড়ে ২ হাজার ৫৬ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত মানুষের সংখ্যা ৩ হাজার ৯০০। এখনো নিখোঁজ ২৭০ জন। এমন অবস্থায় দেশটিতে এক সপ্তাহের জাতীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার দেশটির জান্তা সরকারের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। জাতীয় শোকের অংশ হিসেবে দেশটিতে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে।

গত শুক্রবার মিয়ানমারে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। ওই কম্পন থাইল্যান্ডসহ প্রতিবেশী আরও সাতটি দেশে অনুভূত হয়েছে। এর মধ্যে থাইল্যান্ডেও বহুতল ভবন ধসে পড়াসহ প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।

ভূমিকম্পে মিয়ানমারে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মধ্যে দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয় রয়েছে। শহরটিকে ১৭ লাখ লোকের বসবাস। ভূমিকম্পে সেখানে এমন বিপর্যয় নেমে এসেছে যে সেখানে উদ্ধার তৎপরতা ও জরুরি সহায়তার কার্যক্রম থুবড়ে পড়েছে। মূলত সেখানকার এমন পরিস্থিতি সামনে আসার পর সরকারের পক্ষ থেকে এ শোকের ঘোষণা এল। মান্দালয়ের বাসিন্দারা শুক্রবার থেকে টানা দিনরাত সড়কে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছেন।

জাতিসংঘের আবেদন

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, সাহায্যকারী সংস্থাগুলো বলছে, গৃহযুদ্ধে নাকাল মিয়ানমারের অবস্থা ভূমিকম্পের ঘটনায় আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। সেখানে রাস্তাঘাটে লাশের দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে, হাসপাতালগুলো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে মিয়ানমারের জন্য জরুরি ভিত্তিতে ৮০ লাখ মার্কিন ডলারের তহবিল সহায়তা চেয়ে আবেদন জানিয়েছে জাতিসংঘ।

৬০ ঘণ্টা পর জীবিত উদ্ধার ৪

মিয়ানমারে ভূমিকম্পের প্রায় ৬০ ঘণ্টার পর ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে চারজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার সাগাইং অঞ্চলে ধসে পড়া একটি স্কুল ভবন থেকে তাঁদের উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে দেশটির ফায়ার সার্ভিস।

সম্পর্কিত নিবন্ধ