ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের ‘কর্নেল অব দি রেজিমেন্ট’ হলেন সেনাপ্রধান
Published: 27th, February 2025 GMT
বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের সপ্তম কর্নেল অব দি রেজিমেন্ট হিসেবে অভিষিক্ত হলেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজশাহী সেনানিবাসে বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টাল সেন্টারে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সপ্তম কর্নেল অব দি রেজিমেন্ট হিসেবে অভিষিক্ত হন তিনি। সেখানে তাকে প্রচলিত রীতি অনুযায়ী রেজিমেন্টের কর্নেল র্যাংক পরিয়ে দেওয়া হয়।
পরবর্তীতে সেনাপ্রধান সকলের উদ্দেশ্য বক্তব্য দেন। রেজিমেন্টের সপ্তম কর্নেল অব দি রেজিমেন্ট হিসেবে নির্বাচিত করার জন্য এসময় তিনি সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্ট ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠা লাভের পর অতি অল্প সময়ের মধ্যেই কঠোর পরিশ্রম, সময়োপযোগী পরিকল্পনা এবং দেশ প্রেমের দৃঢ় অঙ্গীকারের মাধ্যমে আজকের এই মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে আসীন হয়েছে। এই রেজিমেন্ট কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ২০১১ সালে জাতীয় পতাকা লাভের দুর্লভ সম্মানে অধিষ্ঠিত হয়েছে।”
সেনাপ্রধান বলেন, “বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের কর্নেল অব দ্য রেজিমেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিতে পেরে আমি অত্যন্ত গর্বিত। এই রেজিমেন্ট ইতোমধ্যেই আধুনিকায়ন হয়েছে। এর মধ্যে নতুন নতুন ইউনিট প্রতিষ্ঠা, আধুনিক অস্ত্র-সরঞ্জামাদি সংযোজনসহ উন্নয়ন ও কল্যাণমুখী কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। আমি কর্নেল অব দি রেজিমেন্ট হিসেবে আধুনিক যুদ্ধাস্ত্র সংগ্রহ এবং এর চলমান প্রক্রিয়াকে আরো বেগবান করব।”
তিনি আরও বলেন, “রেজিমেন্টের প্রত্যেকটি সদস্যকে পেশাদার ও প্রশিক্ষিত হিসেবে গড়ে তুলতে আমি সর্বদা বদ্ধপরিকর। পেশাগত দক্ষতার পাশাপাশি একটি সুন্দর জীবনমানও আমাদের কাম্য। যে কোন কল্যাণমুখী কার্যক্রমের জন্য আমি সর্বদা সচেষ্ট থাকবো। এ ব্যাপারে আমি রেজিমেন্টের সকল সদস্য সহযোগিতা কামনা করছি।”
তিনি আশা প্রকাশ করেন, রেজিমেন্টের সকল সদস্য তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পেশাদারীত্বের সাথে পালন করবেন।
সেনাপ্রধান বলেন, “আমি আশা করব এই রেজিমেন্টের সকল সদস্য দেশের প্রয়োজনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে দায়িত্ব পালন করবে এবং প্রয়োজনে নিজের জীবন উৎসর্গ করতে প্রস্তুত থাকবে।”
এর আগে সেনাপ্রধান ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের সদস্যদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত এক প্যারেড পরিদর্শন করেন। অনুষ্ঠানে ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/কেয়া/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল দ শ ইনফ য ন ট র সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
‘শিগগিরই বিয়ে হবে, যদি দেন সালামি’
ইফতারের পর শরীরটা বিছানায় এলিয়ে দিয়ে মাত্রই ফোন স্ক্রল করতে শুরু করেছি। হুট করে একটা খবরের ফটোকার্ডে চোখ আটকে গেল। তাতে বড় হরফে লেখা ‘সালামি চেয়ে বারবার বিরক্ত করায় জুনিয়রকে পেটালেন সিনিয়র!’ দেখে মনটা খারাপ হয়ে যাচ্ছিল। এ কেমন নিষ্ঠুরতা! কিন্তু একটু পরই বুঝলাম, ফটোকার্ডটি ভুয়া। কেউ হয়তো মজা করার জন্য বানিয়েছে। ক্যাম্পাসের সিনিয়র-জুনিয়রদের মধ্যে সালামি নিয়ে এমন আরও নানা রঙ্গ-রসিকতাই হয়। কয়েকটা মজার ঘটনা কুড়িয়ে এনেছি আপনাদের জন্য।
শিগগিরই বিয়ে হবে, যদি দেন সালামিযাঁদের বিয়ে হচ্ছে না বা যাঁরা বিয়ের বয়স হলেও বাড়িতে বলতে পারছেন না, তাঁরা মন খুলে (পড়ুন ‘হাত খুলে’) সালামি দিন এবার। কেননা, আশিক নামের একজন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘গত বছর এক ভাই আমাকে সালামি দিয়েছিল, এই বছর সে বউ নিয়ে ঘুরছে। দেখেন যা ভালো মনে করেন!’ তো, আশিক ভাইয়ের সঙ্গে সুর মিলিয়ে বলতে চাই, দেখেন যা ভালো মনে করেন...
‘সালামি না দিলে বন্ধু…’কোক স্টুডিও বাংলা সিজন টু-তে প্রকাশিত হয়েছিল ‘কথা কইয়ো না’ শিরোনামের একটি গান। ২০২৩ সালে প্রকাশিত গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছিলেন আরফান মৃধা ও আলেয়া বেগম। তখন থেকেই জনপ্রিয় গানটি অনেকের মুখে মুখে ফেরে। রোশনি নামের একজন এই গানেরই ‘দেখা না দিলে বন্ধু, কথা কইয়ো না’ অংশ জুড়ে দিয়ে একটি মজার ভিডিও বানিয়েছেন। ভিডিওতে গানের সঙ্গে ভেসে ওঠে লেখা—‘ঈদের সালামি না দিলে বন্ধু কথা কইয়ো না।’
উচ্চতা বেশি হলে সালামি পাওয়া যাবেফেসবুকে মিজানুর রহমান নামের এক শিক্ষার্থী পোস্ট করেছেন, ‘যাঁদের উচ্চতা আমার থেকে বেশি শুধু তাঁদেরই সালামি দেব।’ ঈদের সময় জুনিয়রদের পক্ষ থেকে বেশ ‘চাপ’ আসে সালামি দেওয়ার জন্য। সেই চাপে পড়ে সিনিয়রদের ভুগতেও হয় বেশ। মিজানুরের মতো চাইলে আপনিও এভাবে শর্ত জুড়ে দিতে পারেন।
হয় সালামি, নয় বয়কট!ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শিহাব ফেসবুকে সিনিয়রদের রীতিমতো হুমকিই দিয়ে বসেছেন। মজা করে তিনি লিখেছেন, ‘যেসব সিনিয়ররা এ বছর ঈদে আমাকে সালামি দেবেন না, তারা এই পোস্টে রিঅ্যাক্ট দেন। চিনে রাখি আপনাদের। পরে বয়কট করতে সুবিধা হবে।’ সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, শিহাবের সিনিয়ররা এই পোস্ট দেখার পর মহা দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছেন। তাঁদের উদ্দেশ্যে বলি, বয়কটের শিকার না হতে চাইলে সালামি দেওয়াই হয়তো ভালো!
ফোন নম্বর বলে দেবে আপনি কত সালামি পাবেনআরেক শিক্ষার্থী জয়নাল উদ্দিন সালামি দেওয়ার নতুন এক ফর্মুলা আবিষ্কার করেছেন। লিখেছেন, ‘ফোন নম্বরের লাস্ট দুই অঙ্কের যোগফল দিয়ে আপনার ঈদ সালামি নির্ধারণ করা হবে। কে কত পাবেন?’ অভিনব এই ফর্মুলা আবিষ্কারের জন্য জয়নালকে কোনো পুরস্কার দেওয়া যা কি না, সে চিন্তা আপনাদের ওপরে ছেড়ে দিলাম।
শুধু ছবি থাকলেই মিলবে সালামিসালামি চাইলেই হবে না, থাকতে হবে ছবি—এমন শর্ত জুড়ে দিয়েছেন এক শিক্ষার্থী। ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘যাঁদের সঙ্গে আমার ছবি আছে, সেসব জুনিয়ররাই সালামি চাইবেন।’
প্রতিবছর দুই ঈদের আগে সালামি নিয়ে ফেসবুক পাড়ায় এমন মজার মজার পোস্ট দেখা যায়। সালামি না দিলে ‘সিনিয়রদের বয়কট করতে চাওয়া’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সামসুল আলমের কাছে তার ফেসবুক পোস্ট সম্পর্কে জানতে চাইলাম। তিনি হেসে বললেন, ‘মজা করেই পোস্টটি দিয়েছি। সালামি পাওয়া জুনিয়রদের অধিকার। বৈষম্যহীন সমাজে আমাদের এই অধিকার হরণ হতে পারে না!’ সামসুল আলমের জুনিয়ররাও একই দাবি করে বসলে তাঁর বক্তব্য কী হবে, তা অবশ্য জানা হয়নি।
আরও পড়ুনবিবিএ নিয়ে ৬ ভুল ধারণা০৪ আগস্ট ২০২২