যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) প্রথমবারের মতো সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ‘এ’ ও ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আগামীকাল শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে।

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) যবিপ্রবিসহ মোট পাঁচটি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনষ্ঠিত হবে। অন্যান্য কেন্দ্রগুলো হলো, শাবিপ্রবি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়।

সবগুলো কেন্দ্রে একযোগে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ‘বি’ ইউনিট (বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগ) এবং বিকাল ৩টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ‘এ-১’ ইউনিটের (বিজ্ঞান) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

আরো পড়ুন:

একই দিনে ঢাবি ও জবির ভর্তি পরীক্ষা, তীব্র যানজট

রুয়েটে প্রতি আসনের জন্য লড়বেন ১৬ শিক্ষার্থী

যবিপ্রবি কেন্দ্রে ‘বি’ ইউনিটে ৩ হাজার ১৪ জন এবং ‘এ-১’ ইউনিটে ৩ হাজার ৭৮০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন। 

এ বিষয়ে যবিপ্রবি কেন্দ্রের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড.

শিরিন নিগার বলেন, “শাবিপ্রবির ভর্তি পরীক্ষায় দুই ইউনিট মিলিয়ে প্রায় ৭ হাজার পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবেন। ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য আমরা সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। আশা করি, শাবিপ্রবির ইউনিট দুইটির ভর্তি পরীক্ষা আমরা সফলভাবে সম্পন্ন করতে পারব।”

ঢাকা/ইমদাদুল/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ক ষ ইউন ট

এছাড়াও পড়ুন:

জমজমাট নাটকের পর কিংসের শিরোপা উৎসব

সময়ের চেয়েও বেশি দীর্ঘ হলো অপেক্ষা। উত্তেজনার বাঁকে বাঁকে লুকিয়ে ছিল ফুটবলীয় রোমাঞ্চ। শেষ ১৫ মিনিট যেন পরিণত হলো রূপকথার উপসংহারে—যেখানে আবাহনীর স্বপ্ন থেমে যায়, আর বসুন্ধরা কিংস খুঁজে পায় চতুর্থ ফেডারেশন কাপের সোনালি মুহূর্ত।

বৃষ্টির ছন্দে বিভ্রান্ত হওয়া ফাইনাল আবার শুরু হলো এক সপ্তাহ পর। ১-১ সমতায় থাকা ম্যাচের বাকি অংশ গড়ালো ময়মনসিংহ জেলা স্টেডিয়ামে। যেখানে শুরু থেকেই ১০ জনের দল নিয়ে খেলতে নামে কিংস। অতিরিক্ত সময়ে কিছুই হল না। তবে অপেক্ষার পুরস্কার মিলল টাইব্রেকারে।

সেখানে বাজিমাত করলেন কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ। আবাহনীর দ্বিতীয় শট আটকে দিয়ে দলকে দিলেন এগিয়ে যাওয়ার আত্মবিশ্বাস। আর শেষ শটটি নেন ব্রাজিলিয়ান ড্যাসিয়েল, যা গোললাইন পার হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই উৎসবে ফেটে পড়ে কিংস শিবির।

আরো পড়ুন:

যে কারণে এবারের লিগ জয়কে এগিয়ে রাখছেন সালাহ

পাঁচ গোলের রোমাঞ্চকর ফাইনালে শেষ হাসি বার্সার

কিছুদিন আগেই আবাহনীর কাছে টাইব্রেকারে হেরেছিল কিংস। এবার সেই হারের উত্তরটা যেন মিলল একই মঞ্চে, একই কৌশলে— তবে ভিন্ন ফলাফলে। মোরসালিন, তপু, ইনসান, জোনাথন আর ড্যাসিয়েল— কেউই ভুল করেননি। আবাহনীর একমাত্র ব্যর্থ শটটি ছিল নাইজেরিয়ান এমেকার, যা ঠেকিয়ে দেন শ্রাবণ। আর মিরাজুলের চতুর্থ শট, যা প্রথমবার ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন শ্রাবণ। কিন্তু রেফারির সিদ্ধান্তে আবার নিতে হয়। তাতেও গোল হলেও ততক্ষণে কিংস হয়ে গেছে অপ্রতিরোধ্য।

এদিন মাত্র ১৫ মিনিট খেলা হলেও মাঠের উত্তাপ ছিল পূর্ণদৈর্ঘ্য নাটকের মতো। শুরুতেই হলুদ কার্ড দেখেন আবাহনীর সুমন রেজা ও অধিনায়ক হৃদয়। আগের ম্যাচেও হলুদ-লাল কার্ডে ভরা ছিল দৃশ্যপট। ফুটবল এখানে শুধু কৌশলের খেলা নয় তা যেন হয়ে ওঠে মানসিক স্থিতির পরীক্ষাও।

এই জয়ে বসুন্ধরা কিংস চতুর্থবারের মতো ফেডারেশন কাপ জয় করল। একই সঙ্গে আবাহনীকে প্রথমবার কোনো ফাইনালে হারানোর কৃতিত্বও অর্জন করল তারা। অতীতে দুই ফাইনালে পরাজিত হয়েছিল কিংস। এবার তারা সেই রেকর্ড মুছে দিল নির্ভার ফুটবলে।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জমজমাট নাটকের পর কিংসের শিরোপা উৎসব
  • বন্ধু রাশিয়াকে সাহায্য করতে সেনা পাঠায় উত্তর কোরিয়া
  • ন্যাশনাল অ্যানাটমি অলিম্পিয়াডে সালমান ও জেবুন্নেসা চ্যাম্পিয়ন