দেশের অন্যতম শীর্ষ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন হিসেবে আগামী দুই বছরের জন্য সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা বোর্ড সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী এপেক্স গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান। তিনি মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা এবং বর্তমান চেয়ারম্যান। ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারে দুবার উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাকালে তিনি অন্যতম সংগঠক ছিলেন এবং অবৈতনিক কোষাধ্যক্ষ হিসেবে কাজ করতেন।

আরও পড়ুনবুয়েটে ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ১৬ ঘণ্টা আগে

সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) চেয়ারম্যান, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সভাপতি এবং ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক ও বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের পরিচালক ছিলেন। শিল্প ও বাণিজ্যে অসামান্য অবদানের জন্য সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স (অ্যামচ্যাম), বাংলাদেশ থেকে ‘বিজনেস এক্সিকিউটিভ অব দ্য ইয়ার ২০০০’, ২১তম ডিএইচএল ও দ্য ডেইলি স্টার বিজনেস অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান থেকে ‘লাইফ টাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ২০২৩’ পুরস্কার লাভ করেন।

আরও পড়ুন সুইজারল্যান্ডের এক্সিলেন্স মাস্টার ফেলোশিপ, জিআরই–আইইএলটিএস–টোয়েফল স্কোরে করুন আবেদন৪ ঘণ্টা আগে

ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেন, সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর পুনর্নির্বাচন ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রগতির ধারাবাহিকতায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স ট ইউন ভ র স ট র

এছাড়াও পড়ুন:

সোনারগাঁয়ে ছিনতাইয়ের পর নারীকে গণধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ছিনতাইয়ের পর এক নারীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে পৌর এলাকার দৈলেরবাগ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভূক্তভোগী ওই নারী বাদী হয়ে ৮ জনকে আসামি করে বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে সোনারগাঁ থানায় মামলা করেন।

পুলিশ গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি মো. সজিবকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার সজিব হাবিবপুর গ্রামের মৃত সবুজ মিয়ার ছেলে। তাকে নারায়ণগঞ্জ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। গণধর্ষণের শিকার ওই নারীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা এজহার থেকে জানা যায়, মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দি এলাকার ৪০ বছর বয়সী ভূক্তভোগী নারী বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বাবুর্চির সহকারী হিসেবে কাজ করেন। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তার দেবর কামাল হোসেনকে নিয়ে মদনপুর এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বোনকে দেখতে যান। পরে তার দেবর ও ওই নারী রাতে সিএনজি অটোরিকশা যোগে কৃষ্ণপুরা এলাকায় তার খালাত ভাই ইমনের বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশে রওনা হন। পথে রাত সাড়ে ১১টার দিকে চিলারবাগ এলাকায় সজিবের নেতৃত্বে মো. হাসান, মো. আকাশ, মো. অয়ন, ফরিদ ওরফে বোম ফরিদ, সাকিব, সোহান ওরফে জঙ্গি সোহান ও সজিব ওরফে ব্লেড সজিব তাদের বহনকারী অটোরিকশার গতিরোধ করে। এক পর্যায়ে দেশীয় অস্ত্র ঠেকিয়ে তাদের দৈলেরবাগ এলাকার লাল মিয়ার পরিত্যক্ত টিনশেড বাড়িতে নিয়ে যান। তাদের মারধর করে নগদ ১৬ হাজার টাকা ও নারীর স্বর্ণের কানের দুল ছিনিয়ে নেন। পরে তারা অন্য একটি কক্ষে আটকে রেখে ভূক্তভোগী ওই নারীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। 

আরো পড়ুন:

ধর্ষণের প্রতিবাদে বরিশালে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ 

টাঙ্গাইলে ধর্ষণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কুয়েত প্রবাসীর গাড়িতে ছিনতাইকালে সজিবকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে সজিবের গ্রেপ্তারের খবরে ওই নারী থানায় এসে হাজতে তাকে দেখতে পেয়ে চিনতে পারেন। এ ঘটনায় নারী বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় রাতে সজিবকে প্রধান আসামি করে ৮ জনের নামে মামলা করেন।

সোনারগাঁ থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুল বারী জানান, গণধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ভূক্তভোগী ওই নারীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

ঢাকা/অনিক/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ