যেকোনো কল্যাণমুখী কার্যক্রমে সর্বদা সচেষ্ট থাকব: সেনাপ্রধান
Published: 27th, February 2025 GMT
বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের সপ্তম কর্নেল অব দ্য রেজিমেন্ট হিসেবে অভিষিক্ত হলেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। বৃহস্পতিবার সকালে রাজশাহী সেনানিবাসে বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টাল সেন্টারে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সপ্তম কর্নেল অব দ্য রেজিমেন্ট হিসেবে তিনি অভিষিক্ত হন। এ সময় প্রচলিত রীতি অনুযায়ী তাঁকে রেজিমেন্টের কর্নেল র্যাঙ্ক পরিয়ে দেওয়া হয়। পরে সবার উদ্দেশে বক্তব্য দেন সেনাপ্রধান।
রেজিমেন্টের সপ্তম কর্নেল অব দ্য রেজিমেন্ট হিসেবে নির্বাচিত করার জন্য এ সময় তিনি সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, ‘রেজিমেন্টের প্রত্যেকটি সদস্যকে পেশাদার ও প্রশিক্ষিত হিসেবে গড়ে তুলতে আমি সর্বদা বদ্ধপরিকর। পেশাগত দক্ষতার পাশাপাশি একটি সুন্দর জীবনমানও আমাদের কাম্য। যেকোনো কল্যাণমুখী কার্যক্রমের জন্য আমি সর্বদা সচেষ্ট থাকব। এ ব্যাপারে আমি রেজিমেন্টের সব সদস্যের সহযোগিতা কামনা করছি।’
সেনাপ্রধান বলেন, বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্ট ২০০১ সালের ১ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠা লাভের পর অতি অল্প সময়ের মধ্যেই কঠোর পরিশ্রম, সময়োপযোগী পরিকল্পনা এবং দেশপ্রেমের দৃঢ় অঙ্গীকারের মাধ্যমে আজকের এই মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে আসীন হয়েছে। এই রেজিমেন্ট কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১১ সালে জাতীয় পতাকা লাভের দুর্লভ সম্মানে অধিষ্ঠিত হয়েছে।
জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের কর্নেল অব দ্য রেজিমেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিতে পেরে আমি অত্যন্ত গর্বিত। এই রেজিমেন্ট ইতিমধ্যে আধুনিকায়ন হয়েছে। এর মধ্যে নতুন নতুন ইউনিট প্রতিষ্ঠা, আধুনিক অস্ত্র-সরঞ্জামাদি সংযোজনসহ উন্নয়ন ও কল্যাণমুখী কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। আমি কর্নেল অব দ্য রেজিমেন্ট হিসেবে আধুনিক যুদ্ধাস্ত্র সংগ্রহ এবং এর চলমান প্রক্রিয়াকে আরও বেগবান করব।’
সেনাপ্রধান আশা প্রকাশ করেন, রেজিমেন্টের সব সদস্য তাঁদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পেশাদারির সঙ্গে পালন করবেন। তিনি বলেন, ‘আমি আশা করব, এই রেজিমেন্টের সব সদস্য দেশের প্রয়োজনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে দায়িত্ব পালন করবে এবং প্রয়োজনে নিজের জীবন উৎসর্গ করতে প্রস্তুত থাকবে।’
এর আগে সেনাপ্রধান ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের সদস্যদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত এক প্যারেড পরিদর্শন করেন। অনুষ্ঠানে ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা ও আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ল দ শ ইনফ য ন ট র সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
শিক্ষক ও সাংবাদিক জগদীশ চন্দ্র ঘোষের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
ফরিদপুরের প্রবীণ শিক্ষক ও সাংবাদিক জগদীশ চন্দ্র ঘোষ ওরফে তারাপদ- এর চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী বুধবার পালিত হয়েছে। দিনটি স্মরণে তাঁর ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলীর বাসভবনে গীতাপাঠসহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এ ছাড়া দুপুরে স্থানীয় রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম ও ফরিদপুরে শ্রীঅঙ্গনে বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ২০২১ সালের ২ এপ্রিল ৯৩ বছর বয়সে তিনি মারা যান।
১৯২৮ সালের ৬ আগস্ট মানিকগঞ্জের কাঞ্চনপুর গ্রামে জন্ম হয় জগদীশ চন্দ্র ঘোষের। ১৯৭১ সালের ২ মে পাকিস্তানি বাহিনীর হত্যাকাণ্ডের শিকার হয় তাঁর পরিবার। ওই দিন তাঁর বাবা যোগেশ চন্দ্র ঘোষ, ভাই গৌরগোপাল ঘোষ ও কাকাতো ভাই বাবলু ঘোষ গণহত্যার শিকার হন।
জগদীশ চন্দ্র ঘোষ শিক্ষকতার পাশাপাশি সাংবাদিকতা করতেন। দীর্ঘ ৪০ বছর তিনি বাংলাদেশ অবজারভার পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া নাটকসহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন তিনি।