বেক্সিমকো গ্রুপের ঋণের বিষয়ে রিটের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষ, রায় ১২ মার্চ
Published: 27th, February 2025 GMT
বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড ও বেক্সিমকো গ্রুপ অব কোম্পানিজের অন্য সব ব্যবসা-সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ঋণ, ঋণের অবস্থা ও পরিশোধ বিষয়ে রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষ হয়েছে। আগামী ১২ মার্চ রায়ের জন্য দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে রায়ের এ দিন ধার্য করেন।
আদালতে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ফিদা এম কামাল ও আইনজীবী আনিসুল হাসান এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে আইনজীবী মুনীরুজ্জামান শুনানিতে ছিলেন। রিটের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মাসুদ আর সোবহান ও আইনজীবী ফাতেমা এস চৌধুরী।
গত ২৫ বছরে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডসহ সংশ্লিষ্ট কোম্পানির অন্য সব ব্যবসার ক্ষেত্রে পরিশোধের পর ঋণ মওকুফ বিষয়ে তথ্যাদি সরবরাহসহ কয়েকটি বিষয় নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মাসুদ আর সোবহান গত সেপ্টেম্বরে হাইকোর্টে রিট করেন।
রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। এতে বেক্সিমকো গ্রুপের সব সম্পত্তি সংযুক্ত (অ্যাটাচ) করতে ও গ্রুপটির কোম্পানিগুলোর ব্যবস্থাপনায় ছয় মাসের জন্য ‘রিসিভার’ নিয়োগ দিতে বাংলাদেশ ব্যাংককে নির্দেশ দেওয়া হয়। আরেক নির্দেশনায় বিভিন্ন ব্যাংক থেকে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা সালমান এফ রহমানের নেওয়া অর্থ আদায় করতে ও বিদেশে পাঠানো অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ ব্যাংককে নির্দেশ দেওয়া হয়।
হাইকোর্টের আদেশ থেকে জানা যায়, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড ও সালমান এফ রহমানের বেক্সিমকো গ্রুপ অব কোম্পানিজের অন্য সব ব্যবসা-সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অপরিশোধিত ঋণের পরিমাণ, ঋণের বর্তমান অবস্থা ও রিপেমেন্টের (পরিশোধ) তথ্য দিতে এবং বেক্সিমকো গ্রুপের সব সম্পত্তি সংযুক্ত (অ্যাটাচ) করে সেসব ব্যবস্থাপনায় রিসিভার নিয়োগের বিষয়ে রুল দেওয়া হয়।
রুলের ওপর গত বছরের ২৭ নভেম্বর হাইকোর্টে শুনানি শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর শুনানিতে বেক্সিমকো গ্রুপের দায়ের পরিমাণ তুলে ধরেন বাংলাদেশ ব্যাংকের আইনজীবী মুনীরুজ্জামান। সেদিন তিনি বলেন, ১৬টি ব্যাংক ও সাতটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে বেক্সিমকো গ্রুপের ৭৮টি প্রতিষ্ঠানের দায়ের পরিমাণ ৫০ হাজার ৯৮ দশমিক ৩ কোটি টাকা। এ হিসাব ২০২৪ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সময়ের। আগের ধারাবাহিকতায় আজ বিষয়টি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় ৫ নম্বর ক্রমিকে ওঠে। শুনানি শেষে আজ আদালত রায়ের জন্য ১২ মার্চ দিন রাখেন।
শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বেক্সিমকো গ্রুপে ইতিমধ্যে ‘রিসিভার’ নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আদালতের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সব ব যবস আইনজ ব র জন য পর শ ধ
এছাড়াও পড়ুন:
সুপ্রিম কোর্টের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রুল হাইকোর্টের
সুপ্রিম কোর্টের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজী সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার এ রুল জারি করেন। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, ডিএমপি কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. মনির উদ্দিন। এর আগে তিনি গত ২৭ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্বরাষ্ট্র সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের বরাবর আবেদন করেন। যথাযথ সাড়া না পাওয়ায় হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করা হয়।
রিট আবেদনে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের নিরাপত্তা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে, যা বিভিন্ন মিডিয়ার প্রতিবেদনেও প্রকাশ পেয়েছে। হাইকোর্ট বিভাগ এবং আপিল বিভাগে প্রবেশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য বিধিনিষেধ উপেক্ষিত হচ্ছে।
রিটকারী আবেদনকারীর মতে, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও সহকারী ব্যতীত অন্য সকল প্রবেশকারীর জন্য আইডি কার্ড প্রদর্শন, ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর সংগ্রহ এবং যাচাই করা বাধ্যতামূলক করা প্রয়োজন। আবেদনকারী আরও আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে, অতীতে দেশের বিভিন্ন আদালতের প্রাঙ্গণে বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। সেজন্য সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় অভিনব কৌশলে নাশকতার ঝুঁকি রয়েছে। তাই, আইনজীবী ও সহকারীদের জন্য ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রবেশ নিশ্চিত করা এবং অন্যান্য ব্যক্তিদের রেজিস্ট্রারে এন্ট্রি করে প্রমাণপত্র যাচাই সাপেক্ষে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।