‘মেছো ভূতের কান্না’ ছোটদের গল্পের বই। গতানুগতিক ভূতের গল্প নয়। বাস্তব কাহিনী অবলম্বনে লেখা। তবে, বয়ানের ভাঁজে ভাঁজে লেখক খানিকটা কল্পনার রঙ ছিটিয়ে দিয়েছেন। যে কারণে বৈঠকি ঢঙে জমে ওঠে গল্পের আসর। এক মলাটে ৯টি ভিন্ন স্বাদের গল্পে গল্পকার চেষ্টা করেছেন শিশুকিশোরদের মনন ও বিনোদনের মেলবন্ধন ঘটাতে। প্রায় প্রতিটি গল্পে প্রাধান্য পেয়েছে শিশুমনের কল্পনা ও কৌতূহল। বিষয়বস্তুতে নজর দেওয়া হয়েছে শিক্ষণীয় দিক। যেন মানবিক হতে পারি আমরা। নতুন প্রজন্ম যেন বেড়ে ওঠে সম্প্রীতি ও সহনশীলতার চর্চা নিয়ে।

নাম শিরোনামের গল্প মেছোভূতের কান্নায় গল্পকার তুলে ধরেছেন গ্রামীণ এক গল্পের পটভূমি। ছায়াসুনিবিড় সেই গ্রাম এখন খানিকটা শহুরে আদল পেয়েছে। তবুও গল্পের সেই কাল এখনও সমান তালে প্রাসঙ্গিক। কাহিনী পর্বের খণ্ডচিত্রে দেখানো হয়েছে অখণ্ড সেই গ্রামীণ পরিবেশ। যেখানে দবির ও মতি ভাই নামে দুই বন্ধু চরিত্রকে কেন্দ্র করে গড়ে তোলা হয়েছে গল্পটি। প্রতিদিন ভোররাতে নদীতে মাছ শিকারে যান। একদিন ভরা পূর্ণিমায় দবির সেজে  মতি ভাইকে শ্মশানঘেরা নদীতে ডেকে নেয় মেছোভূত। মতি ভাই বুঝতে পারে না এখনও সকাল হয়নি। বরং দিনভর ক্লান্তির কারণে তার মনে হয় গাঢ় ঘুমে আচ্ছন্ন সে। বারবার দবির ডাক শুনে জাল-দড়ি নিয়ে বন্ধু দবিরের পেছন পেছন রওনা হয়। আকাশে তখন খণ্ড মেঘের ওড়াউড়ি। কাঁচা  জোছনার আলোয় পথঘাট স্পষ্ট দেখা যায়। দীর্ঘ পথ নানা গল্পগুজব। সেই তড়িৎ পায়ে গন্তব্যে যাত্রা। তবে সব কথাই মতি ভাইয়ের। দবির সমস্ত পথ নিশ্চুপ। একই সঙ্গে কোনোভাবেই তার নাগাল পায় না মতি ভাই। 

একপর্যায়ে পৌঁছে যায় সালতা নদীর বাঁকে। শ্মশানঘাটের পাশে ঝপ ঝপ করে দ্রুত জাল ছোড়ে দবির। জাল ভরে মাছ ওঠার শব্দ শোনে মতি ভাই। অথচ মতি ভাইয়ের মাছশূন্য জাল। কৌতূহল বেড়ে যায় তার। হঠাৎ দ্রুত পায়ে দবিরের আরো কাছাকাছি চলে যায়। দেখে এক অবাক কাণ্ড। দবির জাল থেকে মাছ ছাড়িয়ে পাত্রে না রেখে মুখে ভরছে। কাঁচামাছ চিবিয়ে কসমস করে গিলছে। দেখেই বেহুশ হয়ে পড়ে মতি ভাই। এরপর শুরু হয় মেছোভূত ও মতি ভাইয়ের সংলাপ। চলে দীর্ঘ সময় একে অপরকে পরাস্ত করার কসরত। পুরো গল্প পড়লে যেকোনো বয়সী পাঠকই নতুন এক স্বাদ অনুভব করতে পারবেন।

আরো পড়ুন:

বইমেলায় ‘ভূতের উপহার’

বইমেলায় রিদওয়ান আক্রামের ‘ম্যাওয়ের কত সাহস’

এ ছাড়াও, কালরাতে ফুলপরি এসেছিল, দুষ্টু ইঁদুরের কাণ্ড, একজন বাবার অভাবে এবং থ্যাংক ইউ মিসসহ চমৎকার চমৎকার ৯টি গল্প। যেখানে শুধু বিনোদন নয়- বরং মনন ও বিনোদনের সমন্বয়ে শিশুকিশোরদের মানসিক বিকাশ তৈরির রসদ রয়েছে।

৪ কালারের প্রচ্ছদে বইটি প্রকাশ করেছে পুথিনিলয় প্রকাশনী। মেলার ১৬ নম্বর প্যাভিলিয়নসহ দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে অনলাইনেও বইটি সংগ্রহ করতে পারবেন। 

ঢাকা/এনএইচ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

এখনও খেলছেন মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ, অবাক কার্তিক

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ। আগের আসরের সেমিফাইনালিস্ট দলটি এবারের আসরে প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ৬ উইকেটে হেরে যায়। দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৫ উইকেটে হেরে বিদায় নেয় টুর্নামেন্ট থেকে। দলের ব্যর্থতার বড় কারণ হিসেবে মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের বাজে পারফরম্যান্সকে দায়ী করেছেন সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার দীনেশ কার্তিক।

ক্রিকবাজের এক টকশোতে কার্তিক বলেন, 'আমি ভেবেছিলাম ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পরই মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ অবসর নেবে। কিন্তু তারা এখনো খেলছে, যা দেখে আমি অবাক হয়েছি। তারা ১৬-১৭ বছর ধরে জাতীয় দলে আছে, কিন্তু দেশের জন্য কোনো বড় শিরোপা জিততে পারেনি।'

বাংলাদেশের ক্রিকেটে নতুনদের সুযোগ না পাওয়া নিয়েও হতাশা প্রকাশ করেছেন কার্তিক। তার মতে, সিনিয়র খেলোয়াড়দের দীর্ঘদিন ধরে খেলানোয় তরুণরা পর্যাপ্ত সুযোগ পাচ্ছে না। যদি ব্যর্থ খেলোয়াড়দেরই বারবার সুযোগ দেওয়া হয়, তাহলে জুনিয়রদের মনোবল ভাঙা ছাড়া আর কিছুই হবে না, বলেন তিনি।

বিসিবির ক্রিকেট নীতিরও কঠোর সমালোচনা করেছেন কার্তিক। বিশেষ করে দেশের মাটিতে স্পিন সহায়ক উইকেট বানিয়ে সাফল্য পাওয়ার প্রবণতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। নিউজিল্যান্ড কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে স্পিন নির্ভর উইকেট বানিয়ে জেতার চেষ্টা করে বাংলাদেশ। কিন্তু বিদেশে গেলেই তারা বিপদে পড়ে, বলেন সাবেক এই ভারতীয় ক্রিকেটার।

বিসিবির আর্থিক সক্ষমতার প্রসঙ্গ টেনে কার্তিক বলেন, 'ভারতের পর বাংলাদেশেরই একমাত্র বোর্ড, যারা ঋণমুক্ত। তাদের কোনো অর্থনৈতিক সমস্যা নেই। অথচ তারা আন্তর্জাতিক সাফল্য পাচ্ছে না, যা একদমই গ্রহণযোগ্য নয়।'

প্রসঙ্গত, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম ম্যাচে ইনজুরির কারণে মাহমুদউল্লাহ খেলতে পারেননি। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে একাদশে ফিরেও ভালো করতে পারেননি, ১৪ বলে মাত্র ৪ রান করে আউট হয়েছেন। অন্যদিকে, মুশফিক প্রথম ম্যাচে শূন্য রানে আউট হওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে করেছেন মাত্র ২ রান। সর্বশেষ তিন ওয়ানডেতে তার সংগ্রহ মাত্র ৩ রান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘প্রশাসনকে চাপ দাও, প্রক্টর অফিস ঘেরাও করো’
  • ইসরায়েলের হামলায় পশ্চিম তীরে ৫ সপ্তাহে ৫০ ফিলিস্তিনি নিহত: জাতিসংঘ
  • সেরাটা দিয়েছি বলেই নিমার্তারা আমার কাছে আসেন: ভূমি
  • ২০১২ সালের শিক্ষাক্রমে ফিরে গেলেও শিখন শূন্যতা পূরণে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়নি সরকার
  • শেষ সময়েও নতুন দলের নেতৃত্বে টানাপোড়েন
  • সাজেক পুড়ে শতকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি
  • সাজেক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার 
  • মান্নাকে নির্বাচনী এলাকায় ঢুকতে না দেওয়ার ঘোষণা
  • এখনও খেলছেন মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ, অবাক কার্তিক