ভ্যাসলিনের নতুন পণ্য ‘ভ্যাসলিন গ্লুটা হায়া’ সিরাম ইন লোশন
Published: 27th, February 2025 GMT
বিশ্ববিখ্যাত স্কিনকেয়ার ব্র্যান্ড ভ্যাসলিন নিয়ে এলো নতুন পণ্য ভ্যাসলিন গ্লুটা হায়া সিরাম ইন লোশন। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি জাঁকজমকপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ইউনিলিভার বাংলাদেশের স্কিন কেয়ারের এই নতুন সংযোজন ‘ভ্যাসলিন গ্লুটা হায়া’র লঞ্চিং ইভেন্ট দ্যা গ্লো সিটি। আর গ্লো সিটির হোস্ট হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশের স্বনামধন্য এবং ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম তারকা ও কোরিওগ্রাফার আজরা মাহমুদ। তার প্রাণবন্ত উপস্থাপনায় গ্লো সিটি ইভেন্ট হয়ে উঠেছিল আরও মনোমুগ্ধকর।
লোশন বলতে আমরা শুধু শীতকালে ব্যবহার করা যায় বুঝি। কিন্তু ভ্যাসলিন এবার নতুন পণ্য গ্লুটা হায়া সিরাম ইন লোশন, লঞ্চের মাধ্যমে স্কিন কেয়ার জগতে বিশেষ সাড়া ফেলে দিয়েছে। যা সব ধরনের আবহাওয়ায় এবং সারাবছর ত্বককে ময়েশ্চারাইজড ও গ্লোয়িং রাখতে সাহায্য করবে। ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে বিশেষভাবে তৈরি এই লোশনে আছে অনন্য সিরামের কম্বিনেশন যা মুখের সঙ্গে আপনার হাত-পায়ের ত্বকেরও যত্ন নেবে। এর ফর্মুলা দ্রুত শোষিত হয়ে ত্বকে ইনস্ট্যান্ট উজ্জ্বলতা নিয়ে এসে ত্বকের স্বাভাবিক সৌন্দর্যকে আরও বৃদ্ধি করবে।
সাধারণত সিরাম মুখের যত্নেই সীমাবদ্ধ থাকে। কিন্তু ভ্যাসলিনের আমদানিকৃত অথেন্টিক প্রিমিয়াম প্রোডাক্ট গ্লুটা হায়া সিরাম-ইন-লোশন ত্বকের প্রতি যত্নশীল কনজিউমারদের জন্যই তৈরি। যারা সিরামকে প্রাধান্য দিয়ে স্কিন কেয়ারে আগ্রহী এবং হাত-পায়ের যত্নে সিরামের গুরুত্ব অনুভব করে এমনভাবেই তৈরি করা হয়েছে, যা সারা শরীরে ব্যবহার করা যায়। এতে থাকা শক্তিশালী উপাদান ত্বকের গভীরে কাজ করে ময়েশ্চার লক করে এবং উজ্জ্বলতা বাড়ায়। গরম হোক বা শীত, এটি ত্বককে হাইড্রেট রেখে উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তোলে।
নতুন গ্লুটা হায়া রেঞ্জের দুটি ভ্যারিয়েন্ট। ডিউই রেডিয়েন্স ও ফ্ললেস গ্লো। যা গ্লুটা হায়া কনজিউমারদের ব্যক্তিগত পছন্দ ও প্রয়োজন অনুসারে তৈরি করা হয়েছে। এর ডিউই রেডিয়েন্সে আছে গ্লুটা গ্লো, হায়ালোরন এবং নায়াসিনামাইড, যা ভিটামিন সি’র তুলনায় ১০ গুণ বেশি শক্তিশালী। এটি ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে দেয় ইনস্ট্যান্ট উজ্জ্বলতা। যা প্রথম ব্যবহারেই দেখা যায় চোখে পড়ার মতো গ্লো।
আরেকটি ভ্যারিয়েন্স ফ্ললেস গ্লো, যাতে রয়েছে গ্লুটাথিয়ন, হায়ালোরন ও প্রো-রেটিনল, যা ময়েশ্চারাইজ করে ত্বকের দাগ কমিয়ে দেয় উজ্জ্বলতা। এই লোশনগুলোর লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে এটি নন-স্টিকি ও লাইটওয়েট ফর্মুলা যা সারাবছরই ব্যবহারযোগ্য।
ঢাকার অভিজাত আলোকি কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত আমেজিং গ্লুটা হায়ার এই গ্ল্যামারাস লঞ্চিং ইভেন্টে আরও উপস্থিত ছিলেন দেশের নামকরা ইনফ্লুয়েন্সার, বিউটি এক্সপার্ট, সেলিব্রিটি এবং মিডিয়া ব্যক্তিত্বরা। যাদের উপস্থিতিই ইভেন্টের শোভা বাড়িয়ে তোলে।
ইভেন্টের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ ছিল এর বিভিন্ন জোন। এর মধ্যে ইন্টারেক্টিভ গ্লুটা গ্লো জোন ছিল যেখানে গেস্টরা প্রোডাক্টটি ব্যবহার করে এর ইন্সট্যান্ট রেজাল্ট বুঝতে পারেন এবং এই বিষয়ে মতামত শেয়ার করেন। এছাড়া আরও ছিল গ্লো ক্যাফে, গ্লো ফ্রেম, গ্লো রানওয়ে। শ্যাম্পেইন এবং রোজ গোল্ডের আবহে পুরো ইভেন্ট ছিল ইন্সটা ফ্রেন্ডলি, ফলে ইনফ্লুয়েন্সাররা তাদের কন্টেন্ট তৈরিতে আরও বেশি উৎসাহী হয়ে ওঠেন। এ যেন ছিল সেলিব্রিটি ও বিউটি ইনফ্লুয়েন্সারদের মিলন মেলা। জনপ্রিয় মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এবং সৌন্দর্য জগতের পরিচিত মুখরা এই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে ভ্যাসলিন গ্লুটা হায়া সিরাম-ইন-লোশনের প্রশংসা করেন। ইভেন্টে অতিথিরা শুধু নতুন প্রোডাক্টের অভিজ্ঞতাই লাভ করেননি, বরং অনুষ্ঠানের শেষে তাদের জন্য ছিল এক্সক্লুসিভ গুডি ব্যাগ, যাতে ছিল ভ্যাসলিন গ্লুটা হায়ার বিশেষ গিফট প্যাক।
প্রোগ্রামে হোস্টসহ ট্রেন্ডসেটার এবং গর্জিয়াস গেস্টরা কন্টেন্ট ক্রিয়েশনের পাশাপাশি গ্রুপ ফটো সেশন করেন। সঙ্গে ছিল আরও অনেক আয়োজন। ফলে ইভেন্টটি আরও উপভোগ্য হয়ে ওঠে। সবশেষে হোস্ট আজরা মাহমুদ ইউনিলিভার বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সবাইকে ইভেন্টে আসার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে গ্লুটা হায়া’র চমকপ্রদ মোড়ক উন্মোচন ইভেন্টটি শেষ করেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স ক নক য় র র পচর চ ব যবহ র
এছাড়াও পড়ুন:
পদ্মা সেতুতে সর্বমোট টোল আদায় ২ হাজার ২৭৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকা
পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের পর থেকে শনিবার পর্যন্ত উভয় প্রান্তের টোল প্লাজায় সর্বমোট টোল আদায় হয়েছে ২ হাজার ২৭৭ কোটি ৫৫ লাখ ৯১ হাজার ৪৫৯ টাকা। আর ঈদযাত্রার পাঁচ দিনে শনিবার পর্যন্ত পদ্মা সেতু হয়ে ১ লাখ ৫২ হাজার ৩২৭টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এ সময়ে ১৭ কোটি ৪২ লাখ ২১ হাজার ৭০০ টাকা টোল আদায় হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ।
সেতু কর্তৃপক্ষের পরিচালক আলতাফ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, শেষ মুহূর্তের ঈদযাত্রায় পদ্মা সেতু অতিক্রম করে বাড়ি ফিরছেন দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার লাখ লাখ মানুষ। তবে মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় পদ্মা সেতুর টোল প্লাজায় যানবাহন ও যাত্রীদের চাপ নেই। কখনও কখনও একেবারেই ফাঁকা থাকছে টোল প্লাজা।
শনিবার পদ্মা সেতু দিয়ে ৩৬ হাজার ৯২৪ যান পারাপার হয়। এর মধ্যে মোটরসাইকেল ছিল ৮ হাজার ৭৫০টি। টোল আদায় হয়েছে ৪ কোটি ৭ লাখ ৯২ হাজার ২০০ টাকা।
এছাড়া শনিবার পর্যন্ত ঈদযাত্রার পাঁচ দিনে পদ্মা সেতু হয়ে ১ লাখ ৫২ হাজার ৩২৭টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এ সময়ে টোল আদায় হয়েছে ১৭ কোটি ৪২ লাখ ২১ হাজার ৭০০ টাকা।
সেতু কর্তৃপক্ষের পরিচালক আলতাফ হোসেন আরও জানান, লম্বা ছুটির কারণে এবার ঈদযাত্রায় চাপ অপেক্ষাকৃত কম। রোববার ভোরেও টোল প্লাজা ঘিরে যানবাহনের লম্বা লাইন ছিল। কিন্তু বেলা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তা কমতে থাকে।
টোল আদায়ে সংশ্লিষ্টরা জানান, রাত পোহালেই ঈদ, কর্মজীবী ও ব্যবসায়ী অনেকে পরিবার পরিজন নিয়ে বাড়ি যাচ্ছেন। তাই রোববারও অস্থায়ী টোল বুথটি চালু রাখা হয়। এখন ৯টি লেনে টোল আদায় করা হচ্ছে। তবে অনেকেই গরম এবং যানজট এড়াতে সেহেরির পরপরই বেরিয়ে পড়েন। তাই সকালে কিছুটা চাপ থাকলেও বেলা গড়ানোর পর চাপ কমতে থাকে।
একই চিত্র দেখা গেছে জেলার অপর মহাসড়ক ঢাকা-চট্টগ্রামের পথেও। রোববার সকাল থেকে এ মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ১৩ কিলোমিটারে ছিল না কোনো যানজট।