দীর্ঘ ৩৭ বছরের দাম্পত্য জীবনের অবসান ঘটাতে চলেছেন বলিউড অভিনেতা গোবিন্দ ও তাঁর স্ত্রী সুনীতা আহুজা। ভারতীয় গণমাধ্যমসূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক মাস ধরেই নানা ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করছিলেন সুনীতা। কখনও নিজের একাকিত্বের কথা জানিয়েছেন, কখনও আবার ছেলের প্রশংসা করে স্বামীকে দোষী করেছেন। এবার দাম্পত্যে ইতি টানার পথে তারা। যদিও তাদের পরিবারের সদস্য এবং ঘনিষ্ঠরা মানতে নারাজ গোবিন্দ-সুনীতার বিচ্ছেদের কথা।

এবার তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে কথা বললেন তাদের আইনজীবী ললিত বিন্দাল। তিনি বলিউডের ‘হিরো নং ওয়ান’-এর দীর্ঘদিনের পারিবারিক বন্ধুও। ললিত সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমের কাছে নিশ্চিত করেছেন যে, ‘ছয় মাস আগে সুনীতা এবং গোবিন্দ ডিভোর্স মামলা দায়ের করেছেন। তবে ওদের সম্পর্ক এখনও অটুট। আর ওরা একসঙ্গেই আজীবন থাকবেন।

সেই প্রেক্ষিতেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি ছয় মাস আগের চূড়ান্ত দাম্পত্য কলহের জেরেই গোবিন্দের পায়ে সেই সময়ে গুলি লাগে? যদিও অনেকে দুটো ঘটনাকে কাকতালীয় বলে দাবি করছেন!

আইনজীবী ললিতের দাবি, ‘নিউ ইয়ারের সময়ে তো একসঙ্গে আমরা নেপালে পশুপতিনাথ মন্দিরেও গেলাম। গোবিন্দ এবং সুনীতার মধ্যে সবকিছু ঠিকই আছে। তা ছাড়া, দাম্পত্য কলহের জেরে এসব তো সবার লেগেই থাকে। তবে ওদের সম্পর্ক এখনও অটুট। ভবিষ্যতেও একইসঙ্গে থাকবেন ওরা।’

সুনীতার ম্যানেজারও তাদের বিবাহ বিচ্ছেদের খবর উড়িয়ে দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে গোবিন্দ নিজেও জানান, আপাতত তাঁর কিছু ব্যবসার কাজ রয়েছে। আগামী দিনে একটি ছবির কাজেও ব্যস্ত থাকবেন তিনি। তাই অন্য কোনো দিকে নাকি মন দেওয়ার সময় নেই তাঁর।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মা-বাবা বেঁচে নেই এখনও জানে না আরাধ্যা 

আরাধ্যা বিশ্বাস। ঈদের ছুটিতে মা-বাবার সঙ্গে যাচ্ছিল কক্সবাজার। আশা ছিল স্বপ্নের কক্সবাজারে বেশ ক’দিন মা-বাবার সঙ্গে আনন্দ উল্লাসে কাটাবে সে। তবে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে তার স্থান হয়েছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে। দুর্ঘটনায় মাইক্রোবাসে থাকা তার বাবা দিলীপ বিশ্বাস আর মা সাধনা রাণী চলে গেছেন পরপারে। অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছে আরাধ্যা। তবে মা-বাবা যে আর বেঁচে নেই তা এখনও জানে না সে। জ্ঞান ফেরার পর থেকেই তাই মা-বাবাকেই খুঁজছে ছোট্ট আরাধ্যা। 

চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে বুধবার গুরুতর আহত হয় আরাধ্যা বিশ্বাসসহ আরও বেশ কয়েকজন। ঘটনার পর তাদের উদ্ধার করে মুমূর্ষু অবস্থায় চমেক হাসপাতালে আনা হয়। পরে আরাধ্যাকে হাসপাতালের ২৮ নম্বর নিউরো সার্জারি বিভাগে ভর্তি করা হয়। দুর্ঘটনায় তার দুই পায়ের হাড় ভেঙে গেছে। আঘাত পেয়েছে মাথা, হাতসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে। চিকিৎসকরা বলছেন, জ্ঞান ফিরলেও এখনও ঝুঁকিমুক্ত নয় আরাধ্যা। 

জানতে চাইলে চমেক হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. সাইফুল সমকালকে বলেন, শিশু আরাধ্যার পা ভেঙে গেছে। মাথা, হাত, চোখসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ মারাত্মকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। জ্ঞান ফিরলেও শঙ্কামুক্ত নয় সে।

চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. তসলিম উদ্দিন সমকালকে বলেন, চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় বুধবার হাসপাতালে পাঁচজনকে আনা হয়। এরমধ্যে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি তিনজনকে হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। মা-বাবার মৃত্যু হলেও শিশু আরাধ্য অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছে। মা-বাবা যে আর বেঁচে নেই তা এখনও জানে না শিশুটি। ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। তাকে সুস্থ করে তুলতে সবাই আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। 

এর আগে একমাত্র মেয়ে আরাধ্যা, স্ত্রী সাধনা রানীসহ কয়েকজন নিকট আত্মীয়কে নিয়ে কক্সবাজার যাচ্ছিলেন দিলীপ কুমার (৪২)। বুধবার ভোরে টঙ্গী থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দিলেও আনন্দের সেই যাত্রা থমকে যায় চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলা চুনতি জাঙ্গালিয়া এলাকায়। সেখানে নিয়ন্ত্রণ হারানো একটি বাসের সঙ্গে তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে মৃত্যু হয় দিলীপ কুমার, তার স্ত্রী সাধনা রানীসহ ১০ জনের।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মা-বাবা বেঁচে নেই এখনও জানে না আরাধ্যা 
  • দিলীপ-সাধনার মরদেহের অপেক্ষায় স্বজনরা
  • জাতীয় ঐক্য যে কারণে জরুরি
  • ড. ইউনূস যেভাবে আরও পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকতে পারেন
  • ম্যারাডোনাকে হত্যা করা হয়েছে
  • এপ্রিলে আসছে আইএমএফ দল, জুনে দুই কিস্তির অর্থ পাবে কি বাংলাদেশ
  • সেই মাহুত বললেন, ‘হাতির কাছে গেলে আমার কইলজা ফাইটা যায়’
  • ঢাকায় ঈদ জামাত শেষে আনন্দমিছিল, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
  • দুই পরিবার একসঙ্গে ঈদ করব: মেহজাবীন
  • পদ্মা সেতুতে সর্বমোট টোল আদায় ২ হাজার ২৭৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকা