রাজবাড়ী সদরে পদ্মা ও যমুনা নদীর সংযোগস্থলে জালে ১০ কেজি ৬০০ গ্রাম ওজনের মহাবিপন্ন বাগাড় মাছ ধরা পড়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় মাছটি প্রায় সাড়ে ১৬ হাজার টাকায় কিনে নেন ফরিদপুরের এক ব্যবসায়ী।

এর আগে আজ ভোরে সদর উপজেলার বরাট অন্তারমোড় এলাকায় লতিফ মোল্লা নামের এক জেলের জালে ধরা পড়ে বাগাড়টি।

স্থানীয় জেলেরা জানান, গতকাল বুধবার মধ্যরাতের দিকে নদীতে জাল ফেলেন তিনি। পরে আজ ভোরের দিকে জাল টেনে বাগাড়টি দেখতে পান। সকাল সাতটার দিকে মাছটি বিক্রির জন্য নেন দৌলতদিয়া ঘাট মাছবাজারের এক আড়তদারের ঘরে।

দৌলতদিয়া ঘাট এলাকার মাছবাজারের আড়তদার রেজাউল মণ্ডল বলেন, প্রায় ১০ কেজি ৬০০ গ্রাম ওজনের বাগাড়টি আড়তে আনা হলে নিলামে তোলা হয়। এ সময় ফরিদপুরের মোমিনখার হাট এলাকার রাকিব নামের এক ব্যবসায়ী ১ হাজার ৫০০ টাকা কেজি দরে ১৬ হাজার ৫০০ টাকায় কিনে নেন। পরে আজ দুপুরের দিকে তিনি কেজিপ্রতি প্রায় ১০০ টাকা লাভে মোট ১৭ হাজার ৫০০ টাকায় মাছটি অন্যত্র বিক্রি করেছেন।

আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘের (আইইউসিএন) তালিকা অনুযায়ী, বাগাড় একটি মহাবিপন্ন প্রাণী। বন্য প্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন অনুযায়ী বাগাড় শিকার করা, ধরা ও বিক্রি আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। আইন থাকা সত্ত্বেও বাস্তবায়ন না থাকায় বাগাড় শিকার ও প্রকাশ্যে বিক্রি অব্যাহত আছে। এ ধরনের নিষিদ্ধ মহাবিপন্ন মাছ প্রকাশ্যে শিকার ও নিলামে বিক্রি হলেও এসব বন্ধে উপজেলা প্রশাসনের তেমন ভূমিকা দেখা যায় না।

এ প্রসঙ্গে গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘অতিসম্প্রতি বাগাড় ধরা পড়া বা বিক্রির বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

সৌদির সঙ্গে মিল রেখে পিরোজপুরে ঈদ উদযাপন

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ পালন করছেন পিরোজপুর নাজিরপুর উপজেলার অর্ধশত পরিবার। আজ রোববার সকাল ৮টায় উপজেলার শেখমাটিয়া ইউনিয়নের রঘুনাথপুর খেজুরতলা গ্রামের আল আমীন মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

শেখমাটিয়া ইউনিয়নের খেজুরতলা গ্রামের পল্লি চিকিৎসক মো. হুমায়ুন কবির জানান, তারা প্রায় অর্ধশত  পরিবারের ৬০ নারী ও পুরুষ স্থানীয় খেজুরতলা বাজারের আল-আমিন মসজিদে সকাল ৮টায় ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। ওই নামাজে ইমামতি করেন স্থানীয় স্কুলশিক্ষক মাওলানা মো. কামরুজ্জামান।  

তারা গত ১৭ বছর ধরে এ মসজিদে ঈদের নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করছেন। তিনি আরও জানান, তারা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা শুরু করেছিলেন। আর সে অনুযায়ী, শনিবার তাদের ২৯টি রোজা পূর্ণ হয়। আজ রোববার তারা সৌদির সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন।   

সরেজমিনে দেখা গেছে, মসজিদের সামনের অংশে নামাজ আদায় করছেন পুরুষ মুসল্লিরা। আর পেছনের অংশে (বারান্দায়) কাপড় দিয়ে আটকে পর্দাবেষ্টিত করে নামাজ আদায় করছেন নারীরা। 

নামাজে অংশ নেওয়া স্থানীয় নারীরা জানান, ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে সবাই একসঙ্গে নামাজ আদায় করছি। নামাজ শেষে ঈমামের নেতৃত্বে বিশ্বের সব নর-নারীর জন্য মঙ্গল কমনা করে দোয়া করা হয়।

প্রসঙ্গত, শুরেশ্বর পীরের অনুসারীরা প্রতি বছর সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দুই ঈদ পালন করে থাকেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ