অটোরিকশার ধাক্কায় মায়ের কোল থেকে পড়ে শিশুর মৃত্যু
Published: 27th, February 2025 GMT
জয়পুরহাটে রাস্তা পারাপারের সময় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় নারী পুলিশ সদস্যের কোল থেকে ছিটকে পড়ে ইসরা (২) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জয়পুরহাট-ধামুরহাট সড়কে খনজনপুর নেসকো কার্যালয়ের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ইসরার মা নাজমা মরিয়ম জয়পুরহাট সদর থানায় নারী পুলিশ সদস্য হিসেবে কর্মরত। তারা জয়পুরহাট পৌরশহরের খনজনপুর মহল্লায় ভাড়া বাসায় থাকেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর আলম সিদ্দিক।
পরিবারের বরাত দিয়ে ওসি নুর আলম সিদ্দিক জানান, নারী পুলিশ সদস্য নাজমা মরিয়ম তার শিশুকন্যা ইসরাকে নিয়ে খনজনপুর নেসকো কার্যালয়ের সামনে রাস্তা পার হচ্ছিলেন। এ সময় দ্রুতগামী ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা তাকে ধাক্কা দিলে কোল থেকে তার সন্তান ইসরা রাস্তায় ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা শিশুটিকে উদ্ধার করে জয়পুরহাট ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক উজ্জ্বল হোসেনকে আটক করেছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তৈরি ‘মুজিব বর্ষ ১০০’ পঞ্জিকার এখন অস্তিত্বই নেই
‘মুজিব বর্ষ ১০০’ নামে একটি বিশেষ পঞ্জিকা যৌথভাবে তৈরি করেছিল শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ও কেন্দ্রীয় তহবিল। এতে ব্যয় করা হয়েছিল প্রায় তিন লাখ টাকা। মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে বানানো এই পঞ্জিকার প্রথম মাসের নাম ছিল ‘স্বাধীনতা’। আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন (১৭ মার্চ) ছিল এই মাসের প্রথম দিন। ইংরেজি ক্যালেন্ডারের মতো এটিরও গণনা করার কথা ছিল ৩৬৫ দিন ধরে। ২০২০ সালের ১৬ মার্চ পঞ্জিকাটির উদ্বোধন করেছিলেন তখনকার সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তবে পঞ্জিকাটি শেষ পর্যন্ত আর আলোর মুখ দেখেনি।
এই পঞ্জিকায় ১২টি মাস আছে। তবে কোনো অধিবর্ষ (ইংরেজি লিপইয়ার) নেই। ১২ মাসের নাম দেওয়া হয়েছিল—স্বাধীনতা, শপথ, বেতারযুদ্ধ, যুদ্ধ, শোক, কৌশলযুদ্ধ, আকাশযুদ্ধ, জেলহত্যা, বিজয়, ফিরে আসা, নবযাত্রা ও ভাষা। ২০২০ সালের ১৬ মার্চ শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন শ্রমসচিব কে এম আলী আজম পঞ্জিকাটির মোড়ক উন্মোচন করে গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, পঞ্জিকায় বেশ কিছু সংস্কার প্রয়োজন। সব অংশীজনের মতামত নিয়ে ক্যালেন্ডারটি চূড়ান্ত করে এরপর সরকারি সব দপ্তরে রাখার বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হবে।
মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে বানানো পঞ্জিকা