গোপালগঞ্জে আ.লীগ-ছাত্রলীগের শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
Published: 27th, February 2025 GMT
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে গাছ কেটে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ওপর ফেলে প্রতিবন্ধকতা ও যানবাহন চলাচলে বাঁধা সৃষ্টি করার অভিযোগে আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এতে ৫০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ৫৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
গত শনিবার কাশিয়ানী থানার রামদিয়া তদন্তকেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে কাশিয়ানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
মামলার আসামির মধ্যে রয়েছেন- ঢাকা মহানগর (উত্তর) মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগের সভাপতি লেবু মোল্যা, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আজাদ হোসেন মৃধা, সাধারণ সম্পাদক মাসুম শেখ, মহেশপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান লুথু, কাশিয়ানী সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. মশিউর রহমান খানসহ আরও অনেকে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ্য করা হয়েছে, গত গেল ১৮ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের ঘোষিত হরতাল কর্মসূচিতে কাশিয়ানী থানার রামদিয়া পুলিশ ফাঁড়ির একদল পুলিশ উপজেলার ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের তিলছড়া এলাকায় দায়িত্ব পালন করছিলেন। ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে রাতইল হর্টিকালচার সেন্টার এলাকায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ওপর গাছ কেটে ফেলে ধারালো দা, করাত, লাঠিসোটা এবং দেশীয় অস্ত্র নিয়ে যানবাহন চলাচলে বাঁধা সৃষ্টি করে আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। জনমনে ভীতি সৃষ্টি করতে যানবাহন চলাচলে বাঁধা দেয় তারা। পরে খবর পেয়ে দায়িত্বরত পুলিশের ওই দল ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পালিয়ে যায় আসামিরা।
ওসি মো. শফিউদ্দিন খান জানান, গাছ কেটে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ওপর ফেলে প্রতিবন্ধকতা ও যানবাহন চলাচলে বাঁধা সৃষ্টি করায় ৫০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ৫৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের ধরতে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনায় থানার পাশেই ডাকাতি, মালামাল লুট
খুলনার বটিয়াঘাটা থানার পাশে একটি বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে।
সোমবার ভোর ৫টার দিকে থানাসংলগ্ন কিসমত ফুলতলা সিলিন্দামারী গ্রামের আলহাজ মোদাচ্ছের হোসেনের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় ডাকাতদল নগদ ৮২ হাজার টাকা, প্রায় ১০ ভরি স্বর্ণালংকারসহ ১৩ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। সকালে সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মোদাচ্ছের হোসেন ফজরের নামাজ আদায়ের জন্য ওজু করতে ঘুম থেকে ওঠেন। এ সময় তিনি দরজা খুলে বাইরে ১০-১২ জন লোককে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন। তারা দরজা ধাক্কা দিয়ে ঘরে প্রবেশ করেই মোদাচ্ছেরের গলায় অস্ত্র ঠেকিয়ে দোতলায় নিয়ে যান। এরপর ডাকাতদল পরিবারের সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আলমারি থেকে ১০ ভরি ওজনের স্বর্ণের অলংকার, নগদ ৮২ হাজার টাকা, দু’টি মোবাইল ফোন এবং আলমারিতে থাকা কাপড় লুট করে নিয়ে যায়। যার আনুমানিক মূল্য ১৩ লাখ টাকা।
মো. মোদাচ্ছের আলী জানান, ফজরের আজান দিলে তিনি নামাজের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় কয়েকজন লোক ঘরের ভেতর প্রবেশ করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ঘরে ঢুকে স্বর্ণালংকারসহ নগদ টাকা লুট করে পালিয়ে যায়। সকালে পুলিশকে খবর দেওয়া হলে তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
বটিয়াঘাটা থানার অফিসার ইনিচার্জ মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘‘পুলিশ সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ভুক্তভোগী মৌখিকভাবে থানায় বিষয়টি জানিয়েছেন। পুলিশের মোবাইল টিম লুট হওয়া মালামাল উদ্ধারের জন্য কাজ শুরু করছে।’’
নূরুজ্জামান//