কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন সামিউল হক বীর। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ এলাকার সামিউলের দুটি কিডনিই বিকল হয়ে পড়েছে। দীর্ঘ দিন থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বর্তমানে সপ্তাহে ৩ তিন ডায়ালাইসিস করতে হচ্ছে। এজন্য খরচ হচ্ছে প্রায় ১০ হাজার টাকা। কিন্তু ডায়ালাইসিস চলমান রাখার পরেও শারীরিক অবস্থার তেমন উন্নতি না হওয়ায় সম্প্রতি চিকিৎসক কিডনি প্রতিস্থাপনের পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা করিয়ে এখন তার হাত শূন্য। কীভাবে চিকিৎসার ব্যয় বহন করবেন, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পরিবারের সদস্যরা।

৪৫ বছর বয়সী সামিউলের দুই ছেলে-মেয়ে। ওরা স্কুল ও কলেজে পড়াশোনা করছে। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি তিনি হওয়ায় আয়ের পথও দীর্ঘদিন থেকেই বন্ধ।  

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, কিডনি প্রতিস্থাপনে কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা খরচ হবে। কিন্তু এত টাকা খরচ করে কিডনি প্রতিস্থাপনের চিকিৎসা করানো তার পক্ষে সম্ভব না। বর্তমানে ধার-দেনা করে ডায়ালাইসিসের খরচ যোগাতে হচ্ছে। ফলে কিডনি প্রতিস্থাপনের চিকিৎসা ব্যয় তাদের পক্ষে বহন করা সম্ভব না।  

এমন অবস্থায় সামিউল সমাজের উচ্চবিত্ত ও দয়ালু মানুষদের কাছে আর্থিক সাহায্যের জন্য অনুরোধ করেছেন। তিনি তার সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে আরও কিছুদিন বাঁচতে চান, সন্তানদের মুখে হাসি ফুটাতে তার বেঁচে থাকা জরুরি। এজন্য সাধ্য অনুযায়ী সবাইকে পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ করেছেন সামিউল।

ব্যাংক-

অ্যাকাউন্ট নাম: সামিউল হক বীর (Md.

Samiul Haque Bir), ব্যাংক: সোনালী ব্যাংক, জেলা: লালমনিরহাট, ব্রাঞ্চ: হাতিবান্ধা, অ্যাকাউন্ট নম্বর: ৫২০৬৮০১০১৯৭০৪

অথবা 

বিকাশ- ০১৭১৮১১০৭১৭ (পারসোনাল), ০১৫১৮৬৮৪৭৬৪ (পারসোনাল), নগদ- ০১৫১৮৬৮৪৭৬৪ (পারসোনাল), রকেট- ০১৫১৮৬৮৪৭৬৪২ (পারসোনাল), উপায়- ০১৫১৮৬৮৪৭৬৪ (পারসোনাল)

বিস্তারিত জানতে-০১৭১৭২৫৫৪৫৫ 

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

৩৫০-৪০০ করে জিম্বাবুয়েকে ৩০০ রানের টার্গেট দিতে চায় বাংলাদেশ

ব্যাটিং ব্যর্থতায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম দিন ডুবেছিল বাংলাদেশ। বোলিংটাও হয়নি মনোঃপুত। তবে দ্বিতীয় দিন বোলারাই উদ্ধার করেছে বাংলাদেশকে। 

সোমবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় দিনের লড়াই শেষে দুই দলের কাউকেই এগিয়ে রাখার সুযোগ নেই। বাংলাদেশের করা ১৯১ রানের জবাবে ২৭৩ রান করে জিম্বাবুয়ে। ৮২ রানের লিড পায় তারা। জবাব দিতে নেমে ১ উইকেটে ৫৭ রান তুলেছে স্বাগতিকরা। হাতে ৯ উইকেট রেখে বাংলাদেশ কতদূর যাবে সেটাই দেখার। তবে ম্যাচের ভবিষ্যৎ নিজেদের পক্ষে আনতে দ্বিতীয় ইনিংসে ভালো ব্যাটিংয়ের বিকল্প নেই। 

কত রান হলে জিম্বাবুয়েকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়া যাবে? প্রশ্ন করা হয়েছিল, ৫ উইকেট পাওয়া মেহেদী হাসান মিরাজকে। দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসে মিরাজ জানালেন, অন্তত ৩০০ রানের টার্গেট জিম্বাবুয়েকে দিতে চান তারা। এজন্য স্কোরবোর্ডে ৩৫০-৪০০ রান লাগবেই। সেই লক্ষ্যেই ব্যাটসম্যানরা ব্যাটিং করবেন বলে জানালেন। 

তার ভাষ্য, ‘‘এখন যে উইকেট আছে, আমার কাছে মনে হয় যদি ভালো ব্যাটিং করতে পারি, যদি ৩৫০–৪০০ রান করতে পারি, এটা আমাদের দলের জন্য অনেক ভালো হবে। টেস্ট ক্রিকেটে যদি ৩০০ রান লক্ষ্য দেওয়া হয়, প্রতিপক্ষের জন্য অনেক কঠিন। কারণ উইকেটে অনেক পরিবর্তন আসবে। আমাদের ওই দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করতে হবে।’’ 

সিলেটের উইকেটে এখন পর্যন্ত পেসাররা বেশি সুবিধা পাচ্ছেন। স্পিনারদের সাফল্যের পাল্লা ভারী হলেও যতটুকু সুবিধা পেসাররাই পাচ্ছেন। নতুন বলে বল বেশ ভালো মুভমেন্ট পাচ্ছে। স্পিনাররা তেমন টার্ন পাচ্ছেন না। মিরাজও জানালেন, স্পিনাররা ছিলেন সাপোর্টিং রোলে। পেসাররাই তৈরি করেছেন আসল চাপ। 

আজ দিনের শুরুতে নাহিদ রানা গতির ঝড় তুলে ৩ উইকেট নেন। হাসান মাহমুদ পান ১ উইকেট। দ্বিতীয় সেশনে খালেদের পকেটে যায় ১ উইকেট। বাকি ৫ উইকেট পান মিরাজ। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জিম্বাবুয়েকে বেশিদূর যেতে দেয়নি বাংলাদেশ। 

বোলারদের পারফরম্যান্সে খুশি মিরাজ, ‘‘আমাদের বোলাররা খুব ভালো বল করেছি। গতকাল আমরা বোলাররা খুব ভালো করতে পারিনি। হয়তো আমাদের আরো ভালো করা উচিৎ ছিল। পেস বোলাররা খুব ভালো বল করেছে। হাসান, নাহিদ রানা এবং… খালেদ, তিনজন… খুবই ভালো বল করেছে। আমাদের স্পিনারদের ভূমিকা ছিল আমরা যেন সাপোর্ট করতে পারি। টেস্ট ম্যাচে প্রথম ইনিংসে নতুন বলে পেসারদের ভূমিকাটা গুরুত্বপূর্ণ। তারা সেই জিনিসটা মেইনটেইন করতে পেরেছে। এবং… আমার কাছে মনে হয়, তারা যেভাবে বল করেছে এটা আমাদের দলের জন্য অনেক সাহায্য করেছে ওদেরকে অলআউট করতে।’’ 

ম্যাচ এখন নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আছে বলে মনে করছেন মিরাজ, ‘‘এখন পর্যন্ত আমাদের নিয়ন্ত্রণেই আছে আমি মনে করি। আমাদের ১ উইকেট গিয়েছে। ব্যাটসম্যান আছে। আমরা যদি ভালো একটা স্কোর দিতে পারি তাদেরকে। চার নম্বর দিন ওদের জন্য অনেক কঠিন হবে এই উইকেটে।’’

তৃতীয় দিনের সকালের সেশনটাকেই মূল চ্যালেঞ্জ হিসেবে ধরছেন মিরাজ, ‘‘প্রথমে আমাদের লিড পার করতে হবে। আমাদের লক্ষ্য থাকবে লিডটা যেন ক্রস করতে পারি। তারপর আমাদের ব্যাটসম্যানরা যেন দায়িত্ব নিয়ে বড় একটা স্কোর করতে পারি।’’

সিলেট/ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ