খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান এবং সদ্যবিদায়ী উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেনের মেয়াদে সব নিয়োগ ও পদোন্নতির তথ্য চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বুধবার এ চিঠি পাঠান দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় খুলনার উপপরিচালক মো. আবদুল ওয়াদুদ।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি অধ্যাপক ড.

মাহমুদ হোসেনের নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতি তদন্তের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। অধ্যাপক মাহমুদ হোসেন ৩ বছর উপাচার্যের দায়িত্বে ছিলেন। অন্যদিকে অধ্যাপক ফায়েক উজ্জামান ছিলেন ১০ বছর। তার সময়ই নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক ছিল বেশি। বিষয়টি নিয়ে বুধবার সমকালে সংবাদ প্রকাশ হলে দুদক কর্মকর্তারা সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে। বুধবার দুজনের সময়কার বিভিন্ন নিয়োগ ও পদোন্নতি তথ্য চেয়ে চিঠি দেয় দুদক।

প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগের ১৬ বছরে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৫ শতাধিক শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ হয়েছে। এর মধ্যে অধ্যাপক ফায়েক উজ্জামানের ১০ বছরে নিয়োগ হয়েছে প্রায় সাড়ে তিনশ’ জনের। অন্যদিকে অধ্যাপক মাহমুদ হোসেনের সময় নিয়োগ ও পদোন্নতি হয়েছে প্রায় শতাধিক জনের। অধিকাংশ নিয়োগেই ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ ওঠে। অবশ্য দুই উপাচার্য নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন বলেন, ইচ্ছে করলেই কাউকে নিয়োগ বা পদোন্নতি দেওয়া যায় না। প্রতিটি নিয়োগেই কমিটি ছিল, তারা যাচাই-বাছাই করেছে, পরীক্ষা নিয়েছে সব বিবেচনায় নিয়ে নিয়োগ দিয়েছে। এখানে কোনো অনিয়ম হয়নি।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উপ চ র য

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে দায়ের পিটিশন খারিজ

বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের বিশেষ করে হিন্দুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার দাবিতে দায়ের করা একটি জনস্বার্থ পিটিশনের শুনানি ভারতের আদালতে করা যাবে না বলে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। গত মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট এমন নির্দেশনা দেন।

সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চের পরামর্শে পিটিশনটি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। প্রধান বিচারপতি বলেছেন, এটা প্রতিবেশী দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়, ফলে তা কোনোভাবেই ভারতের শীর্ষ আদালতের বিচার্য হতে পারে না।

প্রধান বিচারপতি খান্না বলেন, ‘এটি কোনোভাবেই আমাদের বিষয় নয়। আপনাদের কি মনে হয়, সরকার এই বিষয়ে অবহিত নয়? এই বিষয়ে এই আদালত কী করতে পারেন?’

পিটিশনটি করেছিলেন ভারতে ইসকন মন্দির স্টিয়ারিং কমিটির উপসভাপতি এবং পাঞ্জাবের লুধিয়ানায় ‘ভগবান জগন্নাথ রথযাত্রা কমিটি’র প্রধান রাজেশ ঢানডা। পিটিশনের আবেদনকারীদের পক্ষে প্রধান আইনজীবী ছিলেন ভারতের সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল মুকুল রোহাতগি।

পিটিশনে অভিযোগ তোলা হয়েছিল, বাংলাদেশে হিন্দুসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা নির্যাতন ও হামলার শিকার হচ্ছেন। পিটিশনে আবেদন জানানো হয়, ভারত সরকার যেন বাংলাদেশে তাদের দূতাবাসের মাধ্যমে এর প্রতিকারের ব্যবস্থা নেয় এবং বাংলাদেশ সরকারকে সেটা করার জন্য চাপ দেয়। এই মর্মে আদালতের নির্দেশ চেয়েছিলেন আবেদনকারী। বিষয়টি নিয়ে আদালতে কোনো রকম প্রক্রিয়া চালানোর সম্ভাবনাই নেই বলে জানিয়ে দেন ভারতের সর্বোচ্চ আদালত।

প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না আরও বলেন, ‘এটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিষয়...আমরা কীভাবে তা নিয়ে মন্তব্য করব? প্রতিবেশী একটি দেশের নিজস্ব বিষয় নিয়ে আমাদের আদালত হস্তক্ষেপ করতে পারেন না।’

সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চের মনোভাব জানার পর আবেদনকারীর আইনজীবী পিটিশনটি প্রত্যাহার করে নেন। তবে তিনি জানান, তাঁর মক্কেল বিষয়টি নিয়ে ভারত সরকারের দ্বারস্থ হতে পারেন।

পিটিশনে নাগরিকত্ব (সংশোধন) আইন, ২০১৯-এর অধীনে ‘কাট-অফ ডেট’ বাড়ানোরও দাবি করা হয়েছে, যাতে সাম্প্রতিক সহিংসতার কারণে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে আসা হিন্দুরা ভারতীয় নাগরিকত্ব পেতে আবেদন করতে পারেন। বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশনের মাধ্যমে হিন্দু সংখ্যালঘুদের সাহায্য ও সহায়তা দিতে বিদেশ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেওয়ার আরজিও জানানো হয়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি আরজি হয়ে যাওয়ার কারণে আপাতত ভারতের আদালতে এ নিয়ে আর কোনো মামলা করা যাবে না।

সম্পর্কিত নিবন্ধ