সোসিয়েদাদ দর্শকদের ‘অসহিষ্ণুতার’ ম্যাচের পার্থক্য গড়লেন এনদ্রিক
Published: 27th, February 2025 GMT
রিয়াল সোসিয়েদাদ দর্শকদের ‘অসহিষ্ণু আচরণ’ এমন পর্যায়ে চলে গিয়েছিল যে, রেফারি বাধ্য হলেন খেলা থামাতে। স্টেডিয়ামের বড় পর্দায় ভেসে উঠল একটি বার্তা, “বর্ণবাদী, জাতিগত–বিদ্বেষী ও অসহিষ্ণু স্লোগান দেওয়া যাবে না। দলকে সমর্থন দিন, প্রতিপক্ষকে সম্মান করুন।” স্বাগতিক দর্শকরা মূলত প্রতিপক্ষ রিয়াল মাদ্রিদের তরুণ ডিফেন্ডার রাউল আসেনসিওকে উদ্দেশ্য করে স্লোগান তুলেছিল, “আসেনসিও মরো”। এই হট্টগোলের মাঝেই অবশ্য বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) দিবাগত রাতে কোপা দেল রে’র সেমিফাইনালের প্রথম লেগে সোসিয়েদাদকে ১-০ ব্যবধানে পরাজিত করেছে রিয়াল।
রিয়ালের ২২ বছর বয়সী ডিফেন্ডার আসেনসিওর বিরুদ্ধে দর্শকদের ক্ষেপে উঠে মূলত, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটা ভিডিও শেয়ার দেওয়ায়। রিয়ালের বয়সভিত্তিক দলের দুজন খেলোয়াড় কিছুদিন আগে অপ্রাপ্তবয়স্ক এক মেয়ের আপত্তিকর ভিডিও করেছিলেন। সেটাই নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেন আসেনসিও। সেই অভিযোগে আসেনসিওর বিরুদ্ধে মামলা এবং তদন্তও চলছে।
আরো পড়ুন:
দুই গোলে এগিয়ে থেকেও বার্সার ড্র
দিস ইজ নট ফুটবল, দিস ইজ লা লিগা!
এদিকে সোসিয়েদাদের ঘরের মাঠ রিয়াল অ্যারেনায়, ম্যাচের ১৯ মিনিটে প্রতি–আক্রমণ থেকে মাদ্রিদের হয়ে গোল করেন ১৮ বছর বয়সী স্ট্রাইকার এনদ্রিক। জুড বেলিংহ্যামের দুর্দান্ত দূরপাল্লার পাস উরু দিয়ে থামিয়ে দার্শনীয় ফিনিশিংয়ে বল জালে জড়ান রিয়ালের উঠতি তারকা। এই ব্রাজিলিয়ান তারকার একমাত্র গোলটাই প্রথম লেগের পার্থক্য গড়ে দেয় দুদলের মাঝে। এনদ্রিক এই নিয়ে কোপা দেল রে’তে টানা তৃতীয় ম্যাচে গোল করলেন। ম্যাচ শেষে তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন রিয়াল বস কার্লো আনচেলত্তি।
তারকায় ঠাসা রিয়ালের আক্রমণভাগের কারণে লা লিগায় ও চ্যাম্পিয়নস লিগে খুব একটা সুযোগ হয় না এনদ্রিকের। সে কারণে তাকে কোপা দেল রের দিকেই তাকিয়ে থাকতে হয়। সংবাদ সম্মেলনে রিয়াল কোচ আনচেলত্তি বলেন, “সে দুর্দান্ত ও নান্দনিক। যখনই সুযোগ পেয়েছে, নিজের অসাধারণ দিকগুলো সে মেলে ধরেছে। তার নিশানা দারুণ, খুবই গতিময় সে। বল পায়ে অবশ্য এখনও অনেক উন্নতি করার জায়গা আছে। তবে তার ড্রিবলিং, দৌড়, পায়ে যে শট আছে, ওহ, দুর্দান্ত।”
ঢাকা/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স প য ন শ ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে কত টাকা পাচ্ছে বাংলাদেশ
শিরোপা জয়ের স্বপ্ন নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নবম আসরে অংশ নিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে ভারত ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পরপর দুই ম্যাচে পরাজয়ের ফলে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই বিদায় নিশ্চিত হয় টাইগারদের। এরপর পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে সান্ত্বনার জয় পাওয়ার সুযোগ থাকলেও বৃষ্টির কারণে সেটিও পরিত্যক্ত হয়। এই ম্যাচের পর ‘এ’ গ্রুপে এক পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে থেকে আসর শেষ করেছে বাংলাদেশ। সমান এক পয়েন্ট পেলেও নেট রানরেটে পিছিয়ে থাকায় পয়েন্ট তালিকার একেবারে তলানিতে অবস্থান করছে স্বাগতিক পাকিস্তান। অন্যদিকে, ভারত ও নিউজিল্যান্ড চার পয়েন্ট করে নিয়ে শীর্ষ দুইটি স্থান দখল করেছে।
টুর্নামেন্ট থেকে বিদায়ের পর বাংলাদেশ ঠিক কত অর্থ পাচ্ছে, সেটি নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই কৌতূহল তৈরি হয়েছে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য আইসিসি মোট ৬.৯ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ৮৪ কোটি টাকা) প্রাইজমানি বরাদ্দ করেছে। প্রতিটি দল অংশগ্রহণের জন্য পেয়েছে ১ লাখ ২৫ হাজার ডলার (প্রায় ১ কোটি ৫১ লাখ টাকা)। এছাড়া, গ্রুপপর্বে প্রতিটি ম্যাচ জয়ের জন্য বরাদ্দ ছিল ৩৪ হাজার ডলার (প্রায় ৪১ লাখ টাকা)। তবে বাংলাদেশ কোনো ম্যাচ না জেতায় জয়সংক্রান্ত বোনাস পায়নি।
বাংলাদেশ নিজেদের গ্রুপে তৃতীয় স্থানে থেকে আসর শেষ করায় সপ্তম কিংবা অষ্টম স্থানে অবস্থান করলে পাবে ১ লাখ ৪০ হাজার ডলার (প্রায় ১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা)। সব মিলিয়ে টাইগারদের আয় দাঁড়াতে পারে ৩-৫ কোটি টাকার মধ্যে। এর মধ্যে ইংল্যান্ড যদি দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরে যায় তাহলে বাংলাদেশ ছয়েও চলে আসতে পারে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের পুরস্কারের পরিমানও বেড়ে যাবে। প্রাইজমানি হিসেবে ৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার বা প্রায় ৪ কোটি ২২ লাখ ৮৮ হাজার টাকা পেতে পারে বাংলাদেশ।
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন দলের জন্য বরাদ্দ করেছে ২২ লাখ ৪০ হাজার ডলার (প্রায় ২৭ কোটি টাকা), আর রানার্সআপ দল পাবে ১১ লাখ ২০ হাজার ডলার (প্রায় ১৩ কোটি ৫৩ লাখ টাকা)। সেমিফাইনালে বিদায় নেওয়া দুই দল পাবে ৫ লাখ ৬০ হাজার ডলার (প্রায় ৬ কোটি ৭৬ লাখ টাকা) করে।