ভূমিকম্প ঘটে গেছে ইংলিশ ক্রিকেটে। তাতে জস বাটলারের পায়ের তলায় মাটি থাকবে কি না, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। মাইকেল ভন এরই মধ্যে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফে লেখা কলামে এ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তাঁর মতে, ইংল্যান্ডের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে বাটলার টিকতে পারবেন না। ইংল্যান্ডের আরেক সাবেক অধিনায়ক নাসের হুসেইনও মনে করেন, সবকিছু বিবেচনা করে বাটলারের অধিনায়কত্ব ছাড়ার সময়টা এখনই।

আরও পড়ুন‘আফগানিস্তানকে কেউ আর হালকাভাবে নেবে না’৩ ঘণ্টা আগে

কিন্তু আফগানিস্তানের কাছে কাল রাতে হারের পর বাটলারের নিজের ভাবনা কী? লাহোরে ৮ রানের হারে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকে ছিটকে পড়েছে ইংল্যান্ড। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব ও ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল থেকে বাদ পড়ে ইংল্যান্ড। এবার বাদ পড়ল চ্যাম্পিয়নস ট্রফির গ্রুপ পর্ব থেকেও। পাশাপাশি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে ওয়ানডেতে সর্বশেষ চারটি দ্বিপক্ষীয় সিরিজেও হেরেছে বাটলারের দল। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর অধিনায়কত্ব নিয়ে তাই প্রশ্ন ওঠাই স্বাভাবিক।

কাল চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে আফগানিস্তানের কাছে হেরে বাদ পড়েছে ইংল্যান্ড.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আফগ ন

এছাড়াও পড়ুন:

কাঁদতে কাঁদতে গাজার বাসিন্দা বললেন, ‘আমরা তো সব হারিয়েছি, ঈদটা কষ্টের’

ফিলিস্তিনের গাজায় রোববার পালিত হয়েছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। তবে ইসরায়েলের নৃশংস হামলায় বিধ্বস্ত উপত্যকাটিতে এ দিন ছিল না উৎসবের আমেজ। ঈদের দিনও সেখানে নির্বিচারে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। মুসলিমদের কাছে খুশির এ দিনটিতেও গাজায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৩৫ ফিলিস্তিনি।

দীর্ঘ ১৭ মাস ধরে চলা হামলায় গাজায় আর কোনো মসজিদ অবশিষ্ট নেই বললেই চলে। রোববার তাই উপত্যকাটির বাসিন্দাদের ঈদের নামাজ আদায় করতে হয়েছে ধ্বংস হয়ে যাওয়া মসজিদের বাইরে। আগের দিনে গাজার যেসব শিশু নতুন পোশাক পরে আনন্দ করত, তারা এখন ক্ষুধায়-আতঙ্কে কাতর। ঈদ উপলক্ষে নেই তেমন রান্নার আয়োজন।

ইসরায়েলের হামলা শুরুর আগে গাজার ফিলিস্তিনিরা ঈদের সকালে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে উদ্‌যাপন করতেন। তবে এখনকার চিত্র ভিন্ন। বহু গাজাবাসী তাঁদের পরিবারের সদস্যকে হারিয়েছেন। রোববার অনেককে দেখা যায় প্রিয়জনের কবরের পাশে। অনেকে হাজির হন হাসপাতালের মর্গে—শেষবারের মতো কাছের মানুষের মরদেহটি দেখতে।

ইসরায়েলের হামলায় গাজার বাসিন্দা আদেল আল-শায়ের তাঁর পরিবারের ২০ সদস্যকে হারিয়েছেন। মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ এলাকায় ঈদের নামাজ শেষে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। বলেন, ‘এই ঈদটা কষ্টের। আমরা আমাদের ভালোবাসার মানুষগুলোকে হারিয়েছি। আমাদের সন্তান, আমাদের জীবন, আমাদের ভবিষ্যৎ—সবকিছু... আমরা তো সব হারিয়েছি।’

ঈদের দিন স্বজনের কবরের পাশে গাজা নগরীর এক নারী

সম্পর্কিত নিবন্ধ