‘সেনাপ্রধান দক্ষ-স্ট্রেট ফরোয়ার্ড লোক, তিনি না বুঝে কোনো কথা বলেননি’
Published: 27th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
সেনাপ্রধানের বক্তব্যের বিষয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, দেশ ও জাতির স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হওয়ার বিষয়ে সবাইকে সতর্ক করে সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বুঝে-শুনেই বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি অত্যন্ত দক্ষ এবং স্ট্রেট ফরোয়ার্ড লোক।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে বেক্সিমকো লিমিটেডের শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, সেনাপ্রধান আমার জন্য অনেক উঁচু স্তরের লোক। তিনি একটি বাহিনী চালাচ্ছেন এবং তিনি কোনো কথা না বুঝে বলেন নাই। আমি যতটুক ওনাকে চিনি, তিনি অনেক সোজাসাপ্টা লোক। যা বলার, মানুষের মুখের ওপর বলেন। তার ওপর আমার অনেক সম্মান আছে।
তবে বক্তব্যের ব্যাখ্যা কেবল সেনাপ্রধানই দিতে পারবেন বলে মনে করেন তিনি।
রাজধানীর রাওয়া কনভেনশন হলে গত মঙ্গলবার সকালে জাতীয় শহীদ সেনা দিবস-২০২৫ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান বলেন, নিজেরা হানাহানিতে, পরস্পরের বিরুদ্ধে বিষোদ্গারে ব্যস্ত থাকার সুযোগ নিচ্ছে অপরাধীরা।
তিনি সবাইকে সতর্ক করে হানাহানি পরিহার করে একসঙ্গে থাকার জন্য আহ্বান জানান।
বিএইচ
.উৎস: SunBD 24
এছাড়াও পড়ুন:
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তৈরি ‘মুজিব বর্ষ ১০০’ পঞ্জিকার এখন অস্তিত্বই নেই
‘মুজিব বর্ষ ১০০’ নামে একটি বিশেষ পঞ্জিকা যৌথভাবে তৈরি করেছিল শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ও কেন্দ্রীয় তহবিল। এতে ব্যয় করা হয়েছিল প্রায় তিন লাখ টাকা। মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে বানানো এই পঞ্জিকার প্রথম মাসের নাম ছিল ‘স্বাধীনতা’। আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন (১৭ মার্চ) ছিল এই মাসের প্রথম দিন। ইংরেজি ক্যালেন্ডারের মতো এটিরও গণনা করার কথা ছিল ৩৬৫ দিন ধরে। ২০২০ সালের ১৬ মার্চ পঞ্জিকাটির উদ্বোধন করেছিলেন তখনকার সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তবে পঞ্জিকাটি শেষ পর্যন্ত আর আলোর মুখ দেখেনি।
এই পঞ্জিকায় ১২টি মাস আছে। তবে কোনো অধিবর্ষ (ইংরেজি লিপইয়ার) নেই। ১২ মাসের নাম দেওয়া হয়েছিল—স্বাধীনতা, শপথ, বেতারযুদ্ধ, যুদ্ধ, শোক, কৌশলযুদ্ধ, আকাশযুদ্ধ, জেলহত্যা, বিজয়, ফিরে আসা, নবযাত্রা ও ভাষা। ২০২০ সালের ১৬ মার্চ শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন শ্রমসচিব কে এম আলী আজম পঞ্জিকাটির মোড়ক উন্মোচন করে গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, পঞ্জিকায় বেশ কিছু সংস্কার প্রয়োজন। সব অংশীজনের মতামত নিয়ে ক্যালেন্ডারটি চূড়ান্ত করে এরপর সরকারি সব দপ্তরে রাখার বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হবে।
মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে বানানো পঞ্জিকা