চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে ইতিমধ্যে বাদ পড়ে গেছে আয়োজক পাকিস্তান ও বাংলাদেশ। এ গ্রুপ থেকে নিজেদের শেষ ম্যাচটি শুধু নিয়মরক্ষার। রাওয়ালপিন্ডিতে বৃষ্টির বাগড়ায় ম্যাচের টস হতে দেরি হচ্ছে। আবহাওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী ম্যাচটি পরিত্যাক্ত হওয়ার শঙ্কাও রয়েছে। 

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টায় খেলা শুরু হওয়ার কথা ছিল। তার আধঘণ্টা আগে টস হওয়ার কথা থাকলেও বৃষ্টির কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না। পুরো মাঠ ঢাকা রয়েছে কাভারে। ইএসপিএন ক্রিকইনফোর তথ্য অনুযায়ী এখন বৃষ্টি হচ্ছে না। ৩টায় পর্যবেক্ষণ করবেন ম্যাচ অফিসিয়ালরা। 

 

আরো পড়ুন:

নিয়ম রক্ষার ম্যাচে বাংলাদেশ যেখানে এগিয়ে!

সব হারিয়ে শূন্য থেকে শুরু করতে চায় পাকিস্তান

ঢাকা/রিয়াদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

১৩ বছর পর…

ড্রেসিংরুমে কি আলাপ চলছিল তা জানা মুশকিল। তবে টিভির পর্দায় নাজমুল হোসেন শান্তর হাস্যোজ্জ্বল মুখটা দেখে অন্তত আঁচ করা যাচ্ছিল, আনন্দেই আছেন তিনি। অবশ্য তার মুখে হাসি ফোটার জন্য কারণ লাগে কিনা সেটা বিরাট প্রশ্নের। দুবাইয়ে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের করুণ দশার সময়ও ড্রেসিংরুমে সহকারী কোচ সালাউদ্দিনের পাশে বসে হেসে মেতে থাকতে দেখা গেছে তাকে। তাতে সমস্যা নেই। বরং কঠিন পরিস্থিতিও যে তাকে দুশ্চিন্তায় ফেলে না এটা ভালো দিক।

তবে রাওয়ালপিণ্ডিতে আজকের পরিস্থিতিটা দুশ্চিন্তার ছিল না। আন্দন্দেরই। কেননা চ্যাম্পিয়নস ট্রফির শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে হারতে যে হয়নি! হ্যাঁ জয় পেতেও পারত বাংলাদেশ। কিন্তু বাংলাদেশ জিততেই পারবে, এমন বাজি ধরার লোক খুঁজলেও পাওয়া যাবে না। কেননা প্রথম দুই ম্যাচে পারফরম্যান্সের যে বেহাল দশা তাতে শেষ ম্যাচে লড়াইটা ছিল কেবল টিকে থাকার। সেই লড়াইয়ে মাঠে নামতে না পারাও স্বস্তির।

পাকিস্তানের সঙ্গে পয়েন্ট ভাগাভাগি করেছে বাংলাদেশ। বেরসিক বৃষ্টির বাগড়ায় দুই দল মাঠেই যে নামতে পারেনি। পাকিস্তানের জন্যও তা-ই। দুই দলেরই পয়েন্ট সমান সমান। তবে রান রেটে পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে তিনে অবস্থান নাজমুল হোসেন শান্ত অ্যান্ড কোংদের। এক পয়েন্ট পাওয়ায় স্বস্তি থাকলেও লম্বা সময় পর আইসিসি ইভেন্ট থেকে শূন্য হাতে ফিরছে বাংলাদেশ।

আরো পড়ুন:

‘আমরা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্যে যাচ্ছি’

চারে এসে সফল শান্ত-হৃদয়

২০১২ সালে শ্রীলঙ্কায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকে নিয়মিত আইসিসি ইভেন্টে জয় পেয়ে আসছিল। ১৩ বছর পর আইসিসি ইভেন্টে কোনো জয় নেই বাংলাদেশের। মাঝে নয়টি ইভেন্ট খেলেছে টাইগাররা। যেখানে ওয়ানডে বিশ্বকাপ আছে তিনটি। একটি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ও পাঁচটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সবকটি ইভেন্টেই বাংলাদেশের একটি হলেও জয় ছিল। এবার ভারত ও নিউ জিল্যান্ডের কাছে বাজেভাবে হেরে গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের সঙ্গে পয়েন্ট ভাগাভাগি।

২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ঘরের মাঠে বাংলাদেশ সুপার এইটে উঠলেও পরের রাউন্ডে কোনো জয় পায়নি। ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও একই পারফরম্যান্সের পুনরাবৃত্তি। প্রথম রাউন্ড কোনোমতে পার করলেও সুপার এইটে কোনো জয় নেই। সেবারই বেঙ্গালুরুতে মাত্র ১ রানে ম্যাচ হেরেছিল বাংলাদেশ। মাঝে ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ খেলেছিল কোয়ার্টার ফাইনাল। সেবার ইংল্যান্ডকে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশ নিউ জিল্যান্ডকে হারিয়ে এবং অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে সেমিফাইনাল খেলার সুযোগ পায়। ২০১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ৮ ম্যাচে ৩টিতে জয় পায়। হেরে যায় ৫ ম্যাচে।

২০২১ এবং ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ২টির বেশি জয় পায়নি। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ সবচেয়ে বাজে সময় কাটায়। ভারতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে ৯ ম্যাচে মাত্র ২ জয় পায়। সবশেষ ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৭ শ্যাচে ৩ জয়। সেবারই প্রথম সুপার এইটের ম্যাচে প্রথম জয় পায় বাংলাদেশ। এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ব্যর্থতা নিশ্চিতভাবেই সবকিছুকে ছাড়িয়ে গেল। দুয়েকটি ভালো মুহুর্ত বাদে দুবাই ও পাকিস্তান সফরে বলার মতো কিছুই নেই বাংলাদেশের।

ঢাকা/ইয়াসিন/নাভিদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ