খাদ্য এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার জানিয়েছেন, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় আগামী মার্চ ও এপ্রিল মাসে ৫০ লাখ পরিবারকে ১৫ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপহার হিসেবে ঈদ উপলক্ষে ১ কোটি নিম্নবিত্ত পরিবারকে বিনামূল্যে ১০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির বিষয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব তথ্য জানান।

ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় খাদ্য সচিব মো.

মাসুদুল হাসান, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ঢাকা বিভাগের সব জেলা প্রশাসকসহ খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

রমজান মাসে নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে বিতরণের জন্য বরাদ্দ করা চাল যাতে সঠিকভাবে বিতরণ করা হয়, সে বিষয়টি নিবিড়ভাবে মনিটরিং করার জন্য ঢাকা বিভাগের সব জেলা প্রশাসককে নির্দেশনা দেন উপদেষ্টা।

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি এবং ওএমএসের মাধ্যমে চাল বিতরণে স্থানীয় পর্যায়ে যেসব সমস্যা আছে, সেসব বিষয়ে জেলা প্রশাসকগণ উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। উপদেষ্টা  কিছু সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধান দেন এবং অবশিষ্ট সমস্যাগুলো দ্রুতই সমাধানের আশ্বাস দেন।

খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, “দেশে যথেষ্ট পরিমাণ খাদ্য মজুদ আছে। খাদ্যের কোনো ঘাটতি নেই। তবে, খাদ্যশস্য বিতরণে কিছুটা শৃঙ্খলার অভাব আছে। এজন্য নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে হবে।” 

সরকারের সুলভ এবং বিনামূল্যে দেওয়া খাদ্যশস্য সঠিক উপকারভোগীর কাছে সঠিক পরিমাণে পৌঁছানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন আলী ইমাম মজুমদার।

ঢাকা/এএএম/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট ব তরণ

এছাড়াও পড়ুন:

ফেসবুকের বন্ধুতালিকা ‘রিসেট’ করার ভাবনা ছিল জাকারবার্গের

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিযোগিতা নস্যাৎ করে একচেটিয়া আধিপত্য বজায় রাখার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে চলছে মেটার বিরুদ্ধে বহুল আলোচিত মামলার বিচার। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মার্ক জাকারবার্গ সোমবার এই মামলায় সাক্ষ্য দেন। শুনানিতে আদালতে উপস্থাপন করা হয় মেটার অভ্যন্তরীণ কিছু ই–মেইল, যেখানে উঠে আসে এক সময় সবাইকে ফেসবুকে বন্ধু তালিকা ‘শূন্য’ থেকে শুরু করতে বাধ্য করার এক অভিনব প্রস্তাব।

২০২২ সালে পাঠানো একটি ই–মেইলে জাকারবার্গ লেখেন, বন্ধু তৈরিতে দ্বিগুণ জোর। সবাইকে তাঁদের বন্ধুতালিকা (গ্রাফ) মুছে দিয়ে নতুন করে শুরু করতে দেওয়ার কথা ভাবা যেতে পারে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, কিশোর-তরুণ ব্যবহারকারীদের মধ্যে ইনস্টাগ্রামের জনপ্রিয়তা দ্রুত বাড়ায় ফেসবুকের ব্যবহার কমছিল। এই প্রেক্ষাপটে ফেসবুকে ব্যবহারকারীদের সক্রিয়তা বাড়াতে নতুন কিছু ভাবনার অংশ হিসেবেই জাকারবার্গ ওই প্রস্তাব দেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তবে মেটার অভ্যন্তরেই প্রস্তাবটি নিয়ে আপত্তি ওঠে। ফেসবুক বিভাগের প্রধান টম অ্যালিসন ই–মেইলের জবাবে লেখেন, আপনার প্রস্তাবিত প্রথম বিকল্পটি (বন্ধু সংযোগে জোর) আমার কাছে বাস্তবসম্মত বলে মনে হচ্ছে না। ইনস্টাগ্রামে বন্ধু সুবিধাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সেটি অকার্যকর হলে ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতায় বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

জাকারবার্গ আরও একটি বিকল্প প্রস্তাব করেছিলেন। ফেসবুককে বন্ধুভিত্তিক মাধ্যমের বদলে অনুসরণভিত্তিক (ফলোয়ার) মাধ্যমে রূপান্তর করার চিন্তা ছিল তাঁর। যদিও এসব প্রস্তাব বাস্তবায়ন হয়নি, তবে অভ্যন্তরীণ যোগাযোগে উঠে আসা এসব ভাবনা থেকে প্রযুক্তি মাধ্যমটি ভবিষ্যতে কোন পথে হাঁটতে চায়, তার একটা ইঙ্গিত স্পষ্ট হয়।

মার্কিন ফেডারেল ট্রেড কমিশন (এফটিসি) ২০২০ সালে মেটার বিরুদ্ধে এই প্রতিযোগিতা-বিরোধী মামলা করে। মামলার অভিযোগে বলা হয়, ফেসবুক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বাজারে একচেটিয়া আধিপত্য বজায় রাখার জন্য পরিকল্পিতভাবে প্রতিযোগীদের ঠেকিয়ে দিয়েছে। এফটিসির ভাষ্য, সম্ভাবনাময় প্রতিযোগীরা যখন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল, তখন মেটা তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতার বদলে কিনে নিয়ে সেই ‘হুমকি’ দূর করেছে। এভাবে প্রতিষ্ঠানটি উদ্ভাবনশীল মাধ্যমগুলোকে হুমকিস্বরূপ মনে করে অধিগ্রহণের মাধ্যমে প্রতিযোগিতাবিরোধী একক আধিপত্য গড়ে তুলেছে।

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

সম্পর্কিত নিবন্ধ