তরুণ বাংলাদেশি সংগীতশিল্পী অ্যাঞ্জেল নূরের প্রশংসায় ভারতের জনপ্রিয় গায়ক অরিজিৎ সিং। অ্যাঞ্জেলের নতুন গান ‘যদি আবার’ নিজের ব্যক্তিগত এক্স হ্যান্ডলে শেয়ার করে অরিজিৎ লিখেছেন, ‘কী দারুণ গান!’

গতকাল রাতে নিজের ফেসবুকে অ্যাঞ্জেল লিখেছেন, ‘অরিজিৎ সিং আমার গান শেয়ার করেছেন নিজের এক্স হ্যান্ডলে। আমি এখন হয়তো কেঁদে ফেলব।’ তাঁর এই পোস্টের নিচে মন্তব্য করেছেন অনেক-ভক্ত অনুসারী। অনেকে অ্যাঞ্জেলকে শুভকামনা জানিয়েছেন। অ্যাঞ্জেলের গানটি নিয়ে অরিজিতের ফ্যান গ্রুপেও চলছে নানা আলোচনা। কলকাতার অনেক শ্রোতাও অ্যাঞ্জেলের প্রশংসা করেছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কাভার গান আলোচনায় আসেন অ্যাঞ্জেল। পরে প্রকাশ করেন তাঁর নিজের গান। ‘যদি আবার’ গানটি অ্যাঞ্জেলেরই লেখা ও সুর করা।

আরও পড়ুন‘ভালো গায় বলে সংগীত ভবনেও ওর আলাদা পরিচিতি ছিল’১২ ডিসেম্বর ২০২৪

২০২৪ সালের ১৪ জানুয়ারি অ্যাঞ্জেলের নিজের চ্যানেল থেকে ইউটিউবে মুক্তি পায়। গানের নিচে মন্তব্যের ঘরে অনেকে ভক্ত অ্যাঞ্জেলের গানের কথা, সুর ও গায়কির প্রশংসা করেছেন।

গানের পাশাপাশি অভিনয়ও নিয়মিত অ্যাঞ্জেল। সবশেষ তাঁকে দেখা গেছে ইকবাল হোসাইন চৌধুরীর ‘বলী’ সিনেমায়। এখন তিনি ব্যস্ত ওয়েব সিরিজ ‘মোবারকনামা’র নতুন মৌসুমের শুটিংয়ে। এ ছাড়া ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গর নতুন আরেকটি ওয়েব সিরিজেও দেখা যাবে তরুণ এই গায়ক-অভিনেতাকে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

সস্ত্রীক অস্কারজয়ী অভিনেতার মরদেহ উদ্ধার

অস্কারজয়ী মার্কিন অভিনেতা জিন হ্যাকম্যান ও তার স্ত্রী বেটনি আরাকাওয়ার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকোর সান্তা ফের বাড়ি থেকে হ্যাকম্যান-বেটনির মৃতদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় পুলিশ। যথাক্রমে তাদের বয়স হয়েছিল ৯৫ ও ৬৩ বছর। দ্য নিউ ইর্য়ক পোস্ট এ খবর প্রকাশ করেছে।  

সান্তা ফে কান্ট্রি শেরিফের বরাত দিয়ে এ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, হ্যাকম্যান-বেটনির কুকুরও মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে অপরাধের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।

১৯৩০ সালের ৩০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সান বার্নার্দিনো শহরে জন্মগ্রহণ করেন হ্যাকম্যান। নানা শহর ঘুরে তাদের পরিবার ইলিনয়ের ড্যানভিলে স্থায়ী হয়। ছোটবেলায়ই হ্যাকম্যান অভিনেতা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ১৯৫৬ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার প্যাসাডেনা প্লেহাউসে যোগ দেন, সেখানেই তার সঙ্গে দেখা হয় ডাস্টিন হফম্যানের। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে মঞ্চ আর টিভিতে প্রচুর কাজ করেন হ্যাকম্যান। যদিও তখন তারকা হয়ে ওঠেননি।

আরো পড়ুন:

বিরল প্রজাতির সাপ-ব্যাঙের নাম কেন ‘লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও’?

বাফটায় বাজিমাত করলেন কারা?

‘লিলিথ’ সিনেমার মাধ্যমে রুপালি পর্দায় অভিষেক ঘরে হ্যাকম্যানের। ১৯৬৭ সালে আর্থার পেনের ‘বনি অ্যান ক্লাইড’ সিনেমায় পার্শ্ব-চরিত্রে অভিনয়ের জন্য অস্কার মনোনয়ন পান। ১৯৭০ সালে ‘আই নেভার স্যাং ফর মাই ফাদার’ চলচ্চিত্রের জন্য পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে দ্বিতীয়বার অস্কার মনোনয়ন পান। এরপরই আসে সেই বিখ্যাত সিনেমা ‘দ্য ফ্রেঞ্চ কানেকশন’। ১৯৭১ সালে মুক্তি পাওয়া জিমি পপাই ডয়েল চরিত্রে অভিনয় করে দুনিয়াজুড়ে খ্যাতি লাভ করেন। উইলিয়াম ফ্রিডকিনের সিনেমাটির জন্য সেরা অভিনেতা হিসেবে অস্কার পুরস্কার পান হ্যাকম্যান।

দু্বার অস্কারজয়ী হ্যাকম্যানকে গত শতকের সেরা অভিনেতাদের একজন মনে করা হয়। রবার্ট ডি নিরো, আল পাচিনো, ডাস্টিন হফম্যানের সঙ্গে হলিউডের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া তারকার একজন ছিলেন তিনি।

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ