আমিজপুর মায়ের কবরে সমাহিত নির্মাতা অঞ্জন
Published: 27th, February 2025 GMT
ভারতের বেঙ্গালুরুতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী চলচ্চিত্র নির্মাতা জাহিদুর রহিম অঞ্জন। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। গতকাল ভারত থেকে অঞ্জনের মরদেহ দেশে আসে। আজ বাদ জোহর জানাজা শেষে আজিমপুর কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।
গতকাল বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে ভারতের বেঙ্গালুরু থেকে ঢাকায় আনা হয়েছে চলচ্চিত্রকার জাহিদুর রহিম অঞ্জনের মরদেহ। আজ আজিমপুর কবরস্থানে মায়ের কবরেই তাকে দাফন করা হয়। তার আগে সকালে জাহিদুর রহিম অঞ্জনের মরদেহ নেওয়া হয় তাঁর কর্মস্থল স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। সেখান থেকে বাংলাদেশ সিনেমা অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউটসহ আরো কয়েক জায়গায় তাঁর মরদেহ নেওয়া হয়।
জাহিদুর রহিম অঞ্জনের পরিবারের পক্ষ তার ছোট ভাই সাজ্জাদুর পান্থ জানান, বৃহস্পতিবার বাদ জোহর জানাজা শেষে আজিমপুর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। মায়ের কবরে সমাহিত করা হয়েছে তাকে।
বহুদিন ধরেই লিভারের সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। বিগত কয়েক মাস ধরে বেঙ্গালুরুর স্পর্শ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। অস্ত্রোপচারের পর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার দিবাগত রাতে মারা যান এই গুণী নির্মাতা।
জাহিদুর রহিম অঞ্জনের প্রথম ছবি ‘মেঘমল্লার’ মুক্তি পায় ২০১৪ সালে। তিনটি শাখায় জাতীয় পুরস্কার পায় ছবিটি। কথাসাহিত্যিক আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ‘রেইনকোট’ গল্প অবলম্বনে নির্মিত পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা ‘মেঘমল্লার’ ছিল তার প্রথম ফিচার ফিল্ম। ছবিটি ‘শ্রেষ্ঠ পরিচালক’ ও ‘শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা’ হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এনে দেয় তাঁকে। সরকারি অনুদানে সবশেষ তিনি নির্মাণ করেন ‘চাঁদের অমাবস্যা’। ইতিমধ্যে ছবির পোস্টারও প্রকাশ হয়েছে। গত বছর ছবিটি মুক্তির পরিকল্পনা থাকলেও দেশের সার্বিক অবস্থা এবং নিজের অসুস্থতার কারণে মুক্তি দিতে পারেননি। খুব শিগগির সিনেমাটি দর্শকদের সামনে নিয়ে আসতে আগ্রহী ছিলেন।
জাহিদুর রহিম অঞ্জন বাংলাদেশ শর্টফিল্ম ফোরামের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: চলচ চ ত র র মরদ হ অবস থ
এছাড়াও পড়ুন:
কবর থেকে ভেসে এল মোবাইলের রিংটোন
কবর থেকে ভেসে আসছিল মোবাইলের রিংটোন। পরে কবর খুঁড়ে হারানো মোবাইল উদ্ধার করেন সামিউল ইসলাম সামি নামের এক যুবক। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার দয়ারামপুর ইউনিয়নের জয়ন্তীপুর সামাজিক কবরস্থানে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে স্থানীয় এক ব্যক্তির দাফনে অংশ নেন সামি। সেখান থেকে বাড়ি ফিরে দেখেন, জ্যাকেটের পকেটে ফোনটি নেই। পরে মোবাইলে ব্যবহৃত নম্বরে একাধিকার কল করলেও কেউ রিসিভ করছিল না। বুধবার সকালে কবরস্থানে গিয়ে কল দিলে কবর থেকে রিংটোনের শব্দ ভেসে আসছিল। কবর খুঁড়তেই বেরিয়ে আসে মোবাইলটি।
সামিউল ইসলাম সামি বলেন, ‘‘ফোনটি পকেটে না পেয়ে একাধিকার কল করেছিলাম। রিং হচ্ছিল, কিন্তু কেউ রিসিভ করছিল না। কেউ যদি পেত, তাহলে ফোনটা অফ করে দিত বা সিম খুলে ফেলত। যেহেতু ফোনে রিং হচ্ছিল, তাই ধারণা করেছিলাম ফোনটা কবরস্থানেই আছে। বুধবার সকালে কবর খুঁড়ে ফোনটি পেয়েছি।’’
জয়ন্তীপুর বাজার জামে মসজিদের ইমাম আব্দুর রউফ বলেন, ‘‘ফোনটি কবরের ওপরের অংশে থাকায় সহজে উদ্ধার করা গেছে। সাধারণত দাফনের সময় কবরের ওপরে চাপটি দিয়ে মাটি দেওয়া হয়। মোবাইলটি সেই চাপটির ওপরের অংশে ছিল।’’
ঢাকা/আরিফুল/রাজীব