দেশের প্রয়োজনে সেনাসদস্যদের সর্বোচ্চদায়িত্ব পালনে প্রস্তুত থাকতে হবে: সেনাপ্রধান
Published: 27th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, দেশের প্রয়োজনে সেনাবাহিনীর সকল সদস্যদের সর্বোচ্চ দায়িত্ব পালনে প্রস্তুত থাকতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টায় রাজশাহী সেনানিবাসের প্যারেড গ্রাউন্ডে বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টাল সেন্টারে ৭ম ‘কর্নেল অব দি রেজিমেন্ট’-এর অভিষেক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এর মধ্য দিয়ে সেনাপ্রধান বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টাল সেন্টারের অভিভাবকত্ব গ্রহণ করলেন।
ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্ট ১৯৭১-এর পর থেকেই দায়িত্বশীলতার সঙ্গে তাদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। আগামীতে এই রেজিমেন্টকে আরও আধুনিক ও সক্ষম করে গড়ে তোলা হবে বলে জানান তিনি।
সেনাপ্রধান আধুনিক যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সদা প্রস্তুত থাকতে রেজিমেন্টের সব সদস্যের প্রতি আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সেনাসদর, বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ আরও অনেকে।
এর আগে, রাজশাহী সেনানিবাসের প্যারেড গ্রাউন্ডে সেনাপ্রধান পৌঁছালে তাকে প্রচলিত সামরিক রীতি অনুযায়ী আনুষ্ঠানিকভাবে অভিবাদন জানানো হয়। এরপর সেনাবাহিনীর প্রধানকে ‘কর্নেল র্যাঙ্ক ব্যাজ’ পরিয়ে দেয়া হয়।
এম জি
.উৎস: SunBD 24
কীওয়ার্ড: ইনফ য ন ট র
এছাড়াও পড়ুন:
ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের ‘কর্নেল অব দি রেজিমেন্ট’ হলেন সেনাপ্রধান
বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের সপ্তম কর্নেল অব দি রেজিমেন্ট হিসেবে অভিষিক্ত হলেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজশাহী সেনানিবাসে বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টাল সেন্টারে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সপ্তম কর্নেল অব দি রেজিমেন্ট হিসেবে অভিষিক্ত হন তিনি। সেখানে তাকে প্রচলিত রীতি অনুযায়ী রেজিমেন্টের কর্নেল র্যাংক পরিয়ে দেওয়া হয়।
পরবর্তীতে সেনাপ্রধান সকলের উদ্দেশ্য বক্তব্য দেন। রেজিমেন্টের সপ্তম কর্নেল অব দি রেজিমেন্ট হিসেবে নির্বাচিত করার জন্য এসময় তিনি সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্ট ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠা লাভের পর অতি অল্প সময়ের মধ্যেই কঠোর পরিশ্রম, সময়োপযোগী পরিকল্পনা এবং দেশ প্রেমের দৃঢ় অঙ্গীকারের মাধ্যমে আজকের এই মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে আসীন হয়েছে। এই রেজিমেন্ট কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ২০১১ সালে জাতীয় পতাকা লাভের দুর্লভ সম্মানে অধিষ্ঠিত হয়েছে।”
সেনাপ্রধান বলেন, “বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের কর্নেল অব দ্য রেজিমেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিতে পেরে আমি অত্যন্ত গর্বিত। এই রেজিমেন্ট ইতোমধ্যেই আধুনিকায়ন হয়েছে। এর মধ্যে নতুন নতুন ইউনিট প্রতিষ্ঠা, আধুনিক অস্ত্র-সরঞ্জামাদি সংযোজনসহ উন্নয়ন ও কল্যাণমুখী কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। আমি কর্নেল অব দি রেজিমেন্ট হিসেবে আধুনিক যুদ্ধাস্ত্র সংগ্রহ এবং এর চলমান প্রক্রিয়াকে আরো বেগবান করব।”
তিনি আরও বলেন, “রেজিমেন্টের প্রত্যেকটি সদস্যকে পেশাদার ও প্রশিক্ষিত হিসেবে গড়ে তুলতে আমি সর্বদা বদ্ধপরিকর। পেশাগত দক্ষতার পাশাপাশি একটি সুন্দর জীবনমানও আমাদের কাম্য। যে কোন কল্যাণমুখী কার্যক্রমের জন্য আমি সর্বদা সচেষ্ট থাকবো। এ ব্যাপারে আমি রেজিমেন্টের সকল সদস্য সহযোগিতা কামনা করছি।”
তিনি আশা প্রকাশ করেন, রেজিমেন্টের সকল সদস্য তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পেশাদারীত্বের সাথে পালন করবেন।
সেনাপ্রধান বলেন, “আমি আশা করব এই রেজিমেন্টের সকল সদস্য দেশের প্রয়োজনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে দায়িত্ব পালন করবে এবং প্রয়োজনে নিজের জীবন উৎসর্গ করতে প্রস্তুত থাকবে।”
এর আগে সেনাপ্রধান ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের সদস্যদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত এক প্যারেড পরিদর্শন করেন। অনুষ্ঠানে ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/কেয়া/এস