মেহেরপুরের গাংনীর চরগোয়ালগ্রামে কবরস্থানের প্রধান ফটক ভাঙা নিয়ে সংঘর্ষে হৃদয় হোসেন নামে একজন গ্রাম্য চিকিৎসক  নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গাংনী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) নিহত হৃদয়ের বাবা শাহাদত হোসেন বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২০/২৫ জনের নামে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় মিলন হোসেন নামে একজন সাবেক ইউপি সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বানী ইসরাইল জানিয়েছেন, আর কোন ঘটনা না ঘটে এজন্য পুলিশ সর্তক অবস্থায় রয়েছে। এছাড়া রামনগর ও চরগোয়াল গ্রামে পুলিশ টহল জোরদার করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। ইতোমধ্যে নিহতের বাবা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন (নং ২৫ তাং ২৭/০২/২৫ ইং)। মামলায় মিলন নামের একজন এজাহার নামীয় আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলাটির তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রামনগর গ্রামের মিরাজুল ইসলাম ছেলে এসএসসি পরীক্ষার্থী সামিউল্লাহ ট্রাক্টর চালিয়ে চরগোয়ালগ্রামে যায়। অদক্ষ হওয়ার কারণে ট্রাক্টর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কবরস্থানের প্রধান ফটকের আংশিক ভেঙে ফেলে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষ রামনগর বাজারে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে এবং হতাহতের ঘটনা ঘটে। 

ঢাকা/ফারুক/টিপু 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সব কাজ সামলে নিজেদের স্বাস্থ্যের জন্য সময় বের করা কঠিন, মুটিয়ে যাওয়ার সমস্যায় অনেক নারী

প্রথম সন্তান জন্মের পর ওজন বেড়ে যায় ৩২ বছর বয়সী গৃহিণী শাহানার (ছদ্মনাম)। ভেবেছিলেন, বাড়তি ওজন আবার কমিয়ে ফেলবেন। চেষ্টাও করেছেন অনেক। নানাজনের পরামর্শে ডায়েটসহ নানা পদক্ষেপ নেন, কিন্তু ওজন কমেনি।

শেষে শাহানা একজন পুষ্টিবিদের শরণাপন্ন হন। পুষ্টিবিদ বলেন, নারীদের মুটিয়ে যাওয়ার পেছনে অনেকগুলো বিষয় একসঙ্গে কাজ করে। মূল কারণ কী খাচ্ছেন ও কতটুকু খাচ্ছেন, সেটার ভারসাম্য না থাকা। আরেকটি বড় কারণ হচ্ছে, যতটুকু খাওয়া হচ্ছে, তা বার্ন (কায়িকশ্রম বা শরীরচর্চার মাধ্যমে ঝরানো) না করা।

ওজন কমানোর জন্য শাহানাকে একটি সুষম খাদ্যতালিকা (ডায়েট চার্ট) মেনে চলার পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম এবং দৈনিক অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদ।

তবে কিছুদিন নিয়ম মেনে চলার পর হাল ছেড়ে দেন শাহানা। এর কারণ হিসেবে তিনি বললেন, পরিবারের সবার খাবারের ব্যবস্থা করাসহ অন্যান্য কাজ শেষে নিজের জন্য কিছু করার সময় তাঁর হয় না। তা ছাড়া খাদ্যতালিকা অনুযায়ী বেলায় বেলায় নানা রকম দামি বাদাম, ফলমূল কেনাও সব সময় সম্ভব হয় না।

ব্যায়াম ও হাঁটার কথা তুলতেই শাহানা বললেন, ‘সব সামলে সময় হয় না। আবার বাইরে একা যেতেও ভয় লাগে। জিম যে করব, তাতেও তো অনেক খরচ।’

নানা কারণে মুটিয়ে যাওয়ার পর শাহানার মতো ওজন কমাতে পারছেন না অনেক নারী। গৃহিণী থেকে কর্মজীবী—কোনো শ্রেণি–পেশার নারীই এই সমস্যার বাইরে নন। ওজন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেও তাঁরা নানা প্রতিবন্ধকতায় রণে ভঙ্গ দিচ্ছেন। এর পেছনে মূলত তাঁদের দৈনন্দিন জীবনযাপনের ব্যবস্থাপনা দায়ী। এর বাইরে আছে আরও কিছু কারণ।

রাজধানীর রায়েরবাজার এলাকায় গৃহপরিচারিকার কাজ করেন ফিরোজা। আগে তিনি দিনে দুটি বাসায় কাজ করতেন। মুটিয়ে যাওয়ায় এখন কাজ করেন একটি বাসায়। ফিরোজার কাছে খাবার মানে অন্তত দুবেলা ভাত। তিন বেলা হলেও ক্ষতি নেই। তিনি বলেন, ‘ভাত ছাড়া আর কী দিয়া পেট ভরামু?’

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) খানা আয় ও ব্যয় জরিপ ২০২২ অনুযায়ী, দেশে প্রতিদিন মাথাপিছু খাদ্য গ্রহণের পরিমাণ ১ হাজার ১২৯ দশমিক ৮১ গ্রাম। ২০১৬ সালে তা ছিল দৈনিক ৯৭৫ দশমিক ৫ গ্রাম। খাদ্য গ্রহণের তালিকার ১০০ ভাগের ৩০ দশমিক ৫৪ শতাংশই ভাত।

বেলায় বেলায় মূলত নিম্নবিত্তের খিদে ভাতেই মেটে। তবে মধ্যবিত্তেরও ভাতের প্রতি টান কম নয়। রাজধানীর নাখালপাড়া এলাকার একজন গৃহিণী জানান, স্থূলতা কমানোর জন্য তিনি পুষ্টিবিদের কাছে গিয়েছিলেন। তাঁকে একটি ডায়েটচার্ট দেওয়া হয়। কয়েক দিন কষ্ট করে সেটা মেনেও চলেন। কিন্তু পরিবারের সবার প্রতিদিনের খাবার নিশ্চিত করে নিজের জন্য আলাদাভাবে সালাদ বা ডায়েট ফুড তৈরি করা তাঁর পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। তাই এখন আবার আগের মতোই ভাত খাচ্ছেন।

দেশের মানুষের দৈনিক প্রয়োজনীয় শর্করারন বেশির ভাগ মেলে ভাত থেকে। তাই ওজন বেড়ে গেলেও ভাত খাওয়া বন্ধ করতে বারণ করেন পুষ্টিবিদেরা। তবে পরিমাণ কমিয়ে আনার পরামর্ম দেন তাঁরা।

বিবিএসের তথ্যানুযায়ী, গত এক দশকে দেশের মানুষের ভাত খাওয়ার পরিমাণ কিছুটা কমলেও চিনি আগের চেয়ে তিন গুণ বেশি খাচ্ছেন। চিনি বা চিনিযুক্ত যেকোনো খাবারকে স্থূলতার অন্যতম কারণ হিসেবে দেখেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের ভাষ্য, প্রয়োজনের অতিরিক্ত চিনি খেলে যেকোনো বয়সেই স্থূলতা বেড়ে যেতে পারে। এ ছাড়া ডায়বেটিস, কিনডিতে পাথর, এমনকি ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে। তাই চিনি একেবারে বাদ দিতে পারলে ভালো। না হলে নারীদের দৈনিক ৬ চা–চামচের (২৫ গ্রাম বা ১০০ ক্যালোরি) বেশি চিনি খাওয়া উচিত নয়।

বাইরের খাবারে ঝোঁক

রেস্তোরাঁর খাবারের প্রতি আসক্তির কথা জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নারী। তিনি কাজ করেন গুলশানের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। তাঁর কর্মস্থলে খাবারের ব্যবস্থা নেই। তাই দুপুরের খাবার প্রায় প্রতিদিনই একটি অনলাইন ফুড ডেলিভারি অ্যাপের মাধ্যমে বাইরে থেকে আনিয়ে খান তিনি। প্রথম দিকে একটি ক্যাটারিং সার্ভিস থেকে ভাত–তরকারি খেলেও ধীরে ধীরে ফাস্টফুডের দিকে ঝুঁকতে শুরু করেন তিনি। এতে তিনি দ্রুতই মুটিয়ে যান। ওই নারী বললেন, আয়ের একটা বড় অংশই বাইরের খাবারের পেছনে চলে যাচ্ছে। কিন্তু এমন অভ্যাস হয়েছে যে ছাড়তেও পারছি না।

বিবিএসের ২০২২ সালের জরিপে দেখা যায়, গত এক দশকে মানুষের সামগ্রিকভাবে দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে বাইরের খাবার খাওয়ার প্রবণতা। সঙ্গে বেড়েছে ক্যালোরি গ্রহণের পরিমাণও। যেখানে ২৬ থেকে ৫০ বছর বয়সী মাঝারিভাবে সক্রিয় নারীদের দৈনিক ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার ক্যালোরি প্রয়োজন, সেখানে বর্তমানে দৈনিক মাথাপিছু (নারী–পুরুষ) ক্যালোরি গ্রহণের পরিমাণ ২ হাজার ৩৯৩, যা প্রয়োজনের তুলনায় বেশি।

ব্যায়ামের উপকরণ ও ব্যায়ামাগার ব্যয়বহুল

বেসরকারি চাকরিজীবী সুমাইয়া বিনতের (৩৬) ছোট সন্তানের জন্ম হয় ২০২২ সালের প্রথম দিকে। সে সময় তিনি অনেকটাই মুটিয়ে গিয়েছিলেন। অতিরিক্ত ওজন ছিল ১৮ থেকে ২০ কেজির মতো। ওজন কমাতে প্রসবের ৮ মাস পর তিনি ভর্তি হন ধানমন্ডি এলাকার নারীদের একটি জিমে।

ছয় মাসের প্যাকেজে সপ্তাহে চার দিন দেড় ঘণ্টা নিয়মমাফিক ব্যায়াম ছাড়াও জুম্বা নাচ, ইয়োগা করতে শুরু করেন সুমাইয়া। জিমের পুষ্টিবিদের কাছ থেকে একটি খাদ্যতালিকাও সংগ্রহ করেন তিনি। ছয় মাসেই লক্ষণীয় পরিবর্তন দেখতে পান সুমাইয়া। এখনো জিমের নিয়মিত সদস্য তিনি।

সুমাইয়া বলেন, শুরুতে ওজন কমানো উদ্দেশ্য হলেও এখন এটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। শরীর–স্বাস্থ্যও ভালো থাকছে। কিন্তু ছয় মাস পরপর খরচের একটা বড় ধাক্কা থাকছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

সুমাইয়ার মতো অনেক নারী নিয়মিত জিম করছেন, অথবা করার কথা ভাবছেন। অনেকে কিছুদিন জিম করে মাঝপথে ছেড়েও দিচ্ছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে রাজধানীর মিরপুর এলাকার একটি জিমের একজন কর্মী জানান, একটু ভালো মানের জিমগুলোয় খরচ তুলনামূলক বেশি। সে জন্য অনেকে জিমে এসেও কিছুদিন পর ছেড়ে দেন। এ ছাড়া যেগুলোয় খরচ কম, সেগুলো নারীদের জন্য ততটা সাচ্ছন্দদায়ক হয় না। সাধারণত ছেলে–মেয়ের একসঙ্গে জিমের ব্যবস্থা থাকে। নিরাপত্তার প্রশ্নও থেকে যায়।

রাজধানীর গুলশান, ধানমন্ডি, মিরপুর, মোহাম্মদপুর, শান্তিনগর, উত্তরা, বনশ্রী এলাকার কয়েকটি জিমে খোঁজ নিয়ে নানা রকম প্যাকেজের কথা জানা যায়। এক মাস থেকে শুরু করে তিন মাস, ছয় মাস, এমনকি পুরো বছরের জন্য জিমের সদস্যপদ নেওয়া যায়। জিমভেদে ন্যূনতম মাসিক ব্যয় ২ হাজার টাকা, সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত।

নাখালপাড়ার একজন নারী জানান, তাঁকে চিকিৎসক দৈনিক ৫ কিলোমিটার দৌড়াতে বলেছেন। তাই মাস তিনেক আগে একটি জিমে তিন মাসের প্যাকেজে সদস্য হন তিনি। সেখানকার ট্রেডমিলে দৌড়াতেন। প্যাকেজ শেষ হওয়ার পর জিমে যাওয়া বন্ধ করেছেন। এখন সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন রাতে স্বামীর সঙ্গে বিজয় সরণির রাস্তায় এক ঘণ্টা দৌড়ান তিনি।

ওই নারী বলেন, মেয়েরা ব্যায়াম করতে বা হাঁটতে বের হলে কিছু মানুষ অদ্ভুদ দৃষ্টিতে তাকায়। তা ছাড়া দৌড়ানোর উপযোগী পোশাক পরে বের হওয়া যায় না। তাই ট্রেডমিল কেনার কথা ভাবছেন তিনি।

ঘরে রেখে নিজে নিজে ব্যবহার করা যায়—এমন কয়েক ধরনের ব্যায়ামের যন্ত্র রয়েছে। হালকা গড়নের একটি ম্যানুয়াল ট্রেডমিলের দাম ১৩ হাজার ৫০০ টাকা থেকে শুরু। ভালো মানের একটির দাম পড়ে ৩০ হাজার থেকে শুরু করে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত। সঙ্গে একটি সাইকেলিং যন্ত্র চাইলে গুনতে হবে আরও ১০ হাজার টাকা। মান অনুযায়ী দাম বাড়বে। হাতের ব্যায়ামের জন্য ছোট ডামবেলগুলোর দাম ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকার মধ্যে।

নিজেকেই উদ্যোগী হতে হবে

রাজধানীর বারডেম হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ ও বিভাগীয় প্রধান শামসুন্নাহার নাহিদ প্রথম আলোকে বলেন, প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খেলে স্বাভাবিকভাবেই মুটিয়ে যায়। সেটা নারী হোক কিংবা পুরুষ। তবে মজার বিষয় হচ্ছে, তেল–মসলা বেশি দিয়ে পরিবারের সবার জন্য অতিরিক্ত ক্যালোরিযুক্ত যে খাদ্য নারীরা প্রস্তুত করেন, সেগুলো খেয়ে পরিবারের অন্যদের ওজন না বাড়লেও নারীদের ওজন বেড়ে যায়। কেননা, অন্যরা যা খাচ্ছে, তা বাইরে যাওয়া ও হাঁটাচলার কারণে চর্বিতে রূপ নেয় না। কিন্তু কর্মজীবী নারীরা দীর্ঘ সময় এক জায়গায় বসে কাজ করার কারণে মুটিয়ে যান।

শামসুন্নাহার নাহিদ আরও বলেন, খাওয়ার পরিমাণ শুধু কমালেই হবে না, কী খাচ্ছেন তা বুঝে খেতে হবে। ভাত ও চিনি খেতে হবে পরিমাণমতো। বাইরের খাবার যত এড়িয়ে চলা যায়, ততই মঙ্গল। আর নিয়মিত খুব সামান্য হলেও শরীরচর্চা করতেই হবে।

বাড়ির বাইরে গিয়ে হাঁটার সুযোগ না থাকলে ছাদে বা ঘরের ভেতর হাঁটাহাটি করার পরামর্শ দিয়ে এই পুষ্টিবিদ বলেন, নিয়ম করে জিমে গেলে সেটা স্বাস্থ্যের জন্য দীর্ঘমেয়াদি সুফল বয়ে আনে। সেটি সম্ভব না হলে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে হাত–পা ছুড়ে আধা ঘণ্টা ব্যায়াম করে নিলেও তা মেদ জমতে বাধা দেয়। মোট কথা, মুটিয়ে যাওয়ার সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে নিজেকেই উদ্যোগী হয়ে নিজেকে সাহায্য করতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শাকিবের ‘বরবাদ’ দেখে কী বলছেন দর্শকরা?
  • গাজা পরিস্থিতিতে জড়িত ‘সব পক্ষ’কে যুদ্ধবিষয়ক আইন মানতে হবে: যুক্তরাষ্ট্র
  • কটিয়াদীতে ডাকাতি শেষে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ
  • সব কাজ সামলে নিজেদের স্বাস্থ্যের জন্য সময় বের করা কঠিন, মুটিয়ে যাওয়ার সমস্যায় অনেক নারী
  • আ.লীগ নিষিদ্ধ করা এই মুহূর্তে দেশের মানুষের গণদাবি: নাহিদ
  • ঈদের নামাজ শেষে অনেকেই ছুটছেন কবর জিয়ারতে 
  • এল খুশির ঈদ
  • ভাগ্য ফেরাতে বিদেশ গিয়ে ফিরছেন আরও নিঃস্ব হয়ে
  • গুলির মধ্যে ঈদের নামাজ আদায় গাজাবাসীর
  • পৃথিবী আসলে কি সুপারনোভা কবরস্থান