দোহারে ডাকাতির সময় গ্রামবাসীর প্রতিরোধ, গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত ৭
Published: 27th, February 2025 GMT
ঢাকার দোহারে ডাকাত দলের হামলায় ৭ জন গুলিবিদ্ধসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার গভীর রাতে উপজেলার বিলাশপুর ইউনিয়নের চর কুতুবপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ডাকাত দলের এক সদস্যকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ওই গ্রামের সোহেল ভান্ডারি (৪৫), মাসুদ (১৮), এমডি রবিন (৩২), নুর মোহাম্মদ (২০), রিয়াজুল ইসলাম (৩৭), সাহেব আলী ও বায়েজিদ হোসেন (২০)। তাঁদের মধ্যে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঁচজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যরা ডাকাত দলের ছোড়া ইটপাটকেলের আঘাতে আহত হয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল দিবাগত রাত ২টার দিকে চর কুতুবপুর গ্রামে নিলুয়ার হোসেন নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে হানা দেয় ২০-২৫ জনের একটি ডাকাত দল। তারা দরজা ভেঙে প্রথমে নিচতলায় একটি কক্ষ থেকে সাত-আট ভরি সোনা লুট করে। টের পেয়ে বাড়ির দ্বিতীয় তলা থেকে নিচতলায় ছুটে আসেন নিলুয়ার ও তাঁর ছোট ভাই জিন্নাত আলী। এ সময় তাঁরা ‘ডাকাত’ বলে চিৎকার দিলে এলাকাবাসীরা লাঠি নিয়ে এগিয়ে আসেন। ডাকাতেরা গ্রামবাসীকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়। এতে প্রায় ১৫ জন আহত হন। আহত ব্যক্তিদের প্রথমে দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থার অবনতি হলে তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নিলুয়ার হোসেন বলেন, ডাকাতেরা একটি ইঞ্জিনচালিত ট্রলারে করে তাঁদের বাড়িসংলগ্ন পদ্মা নদীর ঘাটে আসে। ডাকাতদের ট্রলারটি আটকে রাখা হয়েছে। গ্রামবাসী প্রতিরোধ করলে ডাকাতেরা গুলি করতে করতে পালিয়ে যায়।
গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন বায়েজিদ হোসেন। তিনি জানান, তাঁর শরীরে প্রায় ১০টি ছররা গুলি লেগেছে। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বিশ্রামে আছেন।
দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম বলেন, খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। ডাকাত সন্দেহে গ্রামবাসী এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন। ঘটনাস্থল থেকে আলামত হিসেবে ডাকাতদের ছোড়া গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে মামলা রুজু করা হবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনায় চট্টগ্রামে বাস-মাইক্রোবাস সংঘর্ষ
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১০ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে, ঘটনাস্থলে সাতজন এবং হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনজন মারা যান।
বুধবার (২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার চুনতি জাঙ্গালিয়া এলাকায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এখনো নিহতদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।
বাসে থাকা কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে এই প্রতিবেদকের। তারা জানিয়েছেন, চুনতি জাঙ্গালিয়া এলাকায় পৌঁছালে বাসটি আকস্মিকভাবে নিয়ন্ত্রণ হারায়। পরে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখী মাইক্রোবাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
আরো পড়ুন:
কুষ্টিয়ায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
চট্টগ্রামে বাস-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ১০
ইমন নামের এক যাত্রী বলেন, ‘‘রিল্যাক্স পরিবহনের বাসটি চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার যাচ্ছিল। চুনতি জাঙ্গালিয়া এলাকায় পৌঁছালে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এলোমেলোভাবে চলতে থাকে। সে সময় বাসের গতি ঘণ্টায় প্রায় ১০০ কিলোমিটারের কাছাকাছি ছিল। একই সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মাইক্রোবাসের সঙ্গে বাসের সংঘর্ষ হয়।’’
সাব্বির আহমেদ নামের আরেক যাত্রী বলেন, ‘‘চুনতি জাঙ্গালিয়া এলাকায় লবণবাহী ট্রাক থেকে পানি গলে সড়ক পিচ্ছিল হয়ে ছিল। বাসের অতিরিক্ত গতি ও সড়ক পিচ্ছিল থাকায় চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন।’’
আরো পড়ুন: চট্টগ্রামে বাস-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ১০
ঢাকা/রাজীব