শ্রীনগরে এক রাতে ৭ কবরের কঙ্কাল চুরি
Published: 27th, February 2025 GMT
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার পশ্চিম সিংপাড়া কবরস্থান থেকে এক রাতেই ৭টি কঙ্কাল চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতের কোনো এক সময়ে কঙ্কালগুলো চুরি হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘‘ভোরে ফজর নামাজ শেষে কবর জিয়ারত করতে এসে মাটি খোঁড়া দেখতে পাই। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে কবর খুঁড়ে কোনো মরদেহ বা কঙ্কাল খুঁজে পায়নি।’’
এর আগে, গত দুই সপ্তাহে উপজেলার বেজগাঁও কবরস্থান থেকে ১১টি খুলি এবং চারীগাঁও জান্নাতুল ফেরদৌস কবরস্থান থেকে চারটি কঙ্কাল চুরি হয়।
শ্রীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুর রহমান বলেন, যেসব কবরস্থান থেকে খুলি-কঙ্কাল চুরি হয়েছে, কোনটির সীমানা প্রাচীর নেই। তাই চোর চক্র অনায়াসে চুরি করতে পারছে। শিগগিরই চোর চক্র ধরা পড়বে।’’
ঢাকা/রতন/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কবরস থ ন থ ক
এছাড়াও পড়ুন:
পৃথিবী আসলে কি সুপারনোভা কবরস্থান
বিজ্ঞানীরা সমুদ্রের তলদেশে একটি বিশাল কিলোনোভার খোঁজ পেয়েছেন। এই কিলোনোভার বয়স প্রায় ১০ লাখ বছরের পুরোনো বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। কিলোনোভা ঘটে যখন, বাইনারি নিউট্রন নক্ষত্র একে অপরের কাছাকাছি এসে সর্পিল আকারে সংঘর্ষের মুখে পতিত হয়। এসব নক্ষত্র থেকে মহাকাশে প্রচুর ভারী উপাদানমুক্ত হয়। আমাদের চন্দ্রপৃষ্ঠে কিলোনোভার অনেক নমুনা দেখা যায়।
সুপারম্যাসিভ নক্ষত্রের শেষ সময়কার অবস্থায় সুপারনোভা তৈরি হয়। তখন মহাকাশে প্রচুর ভারী উপাদানমুক্ত হওয়ার কারণে তার কিছু অংশ পৃথিবীতে চলে আসে। যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ইলিনয় আরবানা-চ্যাম্পেইনের জ্যোতির্বিজ্ঞানী ব্রায়ান ফিল্ডস ও তার দল গভীর সমুদ্র থেকে তেজস্ক্রিয় প্লুটোনিয়াম আইসোটোপের চিহ্ন আবিষ্কার করেছেন। এই চিহ্ন আসলে একটি কিলোনোভার অংশ বিশেষ বলে জানা গেছে। দুটি নিউট্রন তারার সংঘর্ষ থেকে আসা এই উপাদানের বয়স অনেক। প্রায় ১০ লাখ বছর পুরোনো বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। তখন এমন কোনো বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল বলে মনে করা হচ্ছে।
বিজ্ঞানী ব্রায়ান ফিল্ডস এ বছরের আমেরিকান ফিজিক্যাল সোসাইটি গ্লোবাল ফিজিকস সামিটের এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেন। আমরা একটি সুপারনোভা কবরস্থানে বাস করি বলে তিনি জানিয়েছেন। তিনি কয়েক দশক ধরে পৃথিবী ও চাঁদ উভয়ের মহাজাগতিক ধ্বংসাবশেষ বিশ্লেষণ করার কাজ করছেন। বিজ্ঞানীরা এর আগে ৩০ লাখ ও ৪ লাখ বছর আগের সুপারনোভার বর্জ্য খুঁজে পেয়েছিলেন। সেখান থেকে প্লুটোনিয়াম আবিষ্কৃত হয়।
যেসব তারার জীবন সুপারনোভা বিস্ফোরণে শেষ হয়, সেখান থেকে সব হাইড্রোজেন নিঃশেষ হয় হিলিয়ামের সঙ্গে। যখন তাদের হিলিয়াম ফুরিয়ে যায়, তখন লোহায় পরিণত না পৌঁছানো পর্যন্ত ভারী উপাদানে মিশ্রিত হতে থাকে। সেই সময় নিউট্রন নক্ষত্র কোনো একটি বাইনারি সিস্টেমে একে অপরকে প্রদক্ষিণ করলে পরস্পর ঘূর্ণমান অবস্থায় থাকে। এরপর তা আরও ভারী পদার্থ আকারে ছড়িয়ে পড়ে। এভাবে পৃথিবী সোনা, প্লাটিনাম, থোরিয়াম ও অন্যান্য ভারী উপাদান এসেছিল। সেই একই প্রক্রিয়ায় প্লুটোনিয়াম সাগরের তলদেশে জমা পড়েছে।
সূত্র: পপুলার মেকানিকস