জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হল সংলগ্ন মাঠে বিএনপির বর্ধিত সভা শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় এই বর্ধিত সভা শুরু হয়। এতে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে বক্তব্য রেখেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। 

তিনি বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখনও দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। সরকার যেখানে দেশের বাজার পরিস্থিতি কিংবা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে কাঙ্খিত সফলতা অর্জন করতে পারছে না সেখানে জাতীয় নির্বাচনের আগে ‘স্থানীয় নির্বাচন’ অনুষ্ঠানের নামে কেন দেশের পরিস্থিতি আরেও ঘোলাটে করতে চাইছে এটি জনগনের কাছে বোধগম্য নয়। 

তারেক রহমান বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী জনগণের আশা-আকাঙ্খার প্রতীক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির বর্ধিত সভা দীর্ঘ ৭ বছর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর আগে বিএনপির সর্বশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারী। সেই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মাদার অফ ডেমোক্রেসি বেগম খালেদা জিয়া। ফ্যাসিবাদী শাসনকালে এরপর আর বিএনপির বর্ধিত সভা কিংবা কাউন্সিল অনুষ্ঠান সম্ভব হয়নি।  

‘চিকিৎসাধীন থাকায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ সভায় উপস্থিত থাকতে পারেননি। তবে তিনি এই সভার  সাফল্য কামনা করেছেন। তিনি আপনাদের কাছে দোয়া চেয়েছেন। দেশনেত্রীর শারীরিক সুস্থতার জন্য আমরা আল্লাহর দরবারে দোয়া কামনা করছি। মাদার অব ডেমোক্রেসি বেগম খালেদা জিয়ার সম্মোহনী ব্যক্তিত্ব আর সুদক্ষ নেতৃত্ব  বিএনপিকে পৌঁছে দিয়েছিলো সারাদেশের প্রতিটি গ্রামে প্রতিটি ঘরে।’  
 বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আজকের এই বর্ধিত সভার শুরুতেই আমি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে স্মরণ করতে চাই। তিনি একদলীয় অভিশপ্ত বাকশালের অন্ধকারাচ্ছন্ন বাংলাদেশে গণতন্ত্রের আলো জ্বালিয়েছিলেন। জনগণের ভালোবাসায় ধন্য বিএনপির হাতে গণতন্ত্রের ঝান্ডা তুলে দিয়েছিলেন। 

বিএনপির জন্ম থেকে আজ পর্যন্ত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং স্বৈরাচার বিরোধী ধারাবাহিক আন্দোলনে, যারা শহীদ হয়েছেন আহত হয়েছেন
সন্তান স্বজন হারিয়ে যেসব পরিবার নিদারুন দুঃখ কষ্টের মুখোমুখি হয়েছেন,  যাদের শ্রম ঘাম মেধায় বিএনপি আজ  আপামর জনগণের কাছে দেশের সবচেয়ে বিশ্বস্ত রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে, আজকের বর্ধিত সভার শুরুতে আমি তাদের প্রত্যেকের অবদানকেও  কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করতে চাই।  

তিনি বলেন, সর্বোপরি ৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের লাখো শহীদ দেশে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ ধারাবাহিক সংগ্রামে যারা শহীদ হয়েছেন, ২০২৪ সালে জুলাই-আগস্টে তাবেদার অপশক্তির বিরুদ্ধে দলমত নির্বিশেষে স্বাধীনতা রক্ষার যুদ্ধের সাহসী বীর আবু সাইয়ীদ, মুগ্ধ, ওয়াসিম রিয়া গোপ, আব্দুল আহাদ এবং বিএনপির পাঁচ শতাধিকসহ হাজারও শহীদ এবং আহত যোদ্ধাদের গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি।  
    
‘হাজারো শহীদের আত্মত্যাগের মধ্যে দিয়ে স্বাধীনতাপ্রিয় বীর জনতার রক্তক্ষয়ী গণ অভুত্থানে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পর দেশে গণতন্ত্রকামী মানুষের সামনে বাংলাদেশ পুনর্গঠনের এক অপার সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত হয়েছে। এই সুযোগ এবং সম্ভাবনা নস্যাৎ করার জন্য এরইমধ্যে নানারকম ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। সুকৌশলে রক্তপিচ্ছিল রাজপথে গড়ে ওঠা 'জাতীয় ঐক্য' এবং জাতীয় নির্বাচনে'র পরিবেশ  বিনষ্টের অপচেষ্টা চলছে।’ 
 
তারেক রহমান বলেন, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের পর দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সংবিধানে পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্খার প্রতিফলন ১৯৯১ সালে দেশে সংসদীয় সরকার প্রতিষ্ঠা এসবই ছিল, রাষ্ট্র রাজনীতির ময়দানে যুগান্তকারী সংস্কার। এছাড়াও বিভিন্ন মেয়াদে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকাকালে বিএনপি সরকার স্কুল কলেজে বিনা বেতনে মেয়েদের শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি, রাষ্ট্র ও সমাজে মুক্তিযোদ্ধাদের যথাযথ মূল্যায়ন নিশ্চিত করতে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা, বিশ্বের তথ্য প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশকে প্রস্তুত রাখতে বিজ্ঞান এবং তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা প্রবাসী বাংলাদেশিদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা এগুলোও ছিল রাষ্ট্র ও সরকারে কয়েকটি গুরুত্বপুর্ণ সংস্কার।এ ধরণের আর অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে।  

তিনি বলেন, তবে ষড়যন্ত্রের পথ ধরে পলাতক স্বৈরাচার রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলের পর সংস্কারের সকল পথ বন্ধ করে দেয়া হয়। বাংলাদেশকে চিরতরে তাবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করে রাখতে গত দেড় দশকে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে প্রায় ধ্বংস করে দিয়েছিল। দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে নাজুক করে তুলেছিল।  

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, টাকাপাচার আর লুটপাট চালিয়ে দেশের অর্থনীতি ভঙ্গুর করে দিয়েছিল। অকার্যকর করে দেয়া হয়েছিল দেশের সকল সাংবিধানিক এবং বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান। জনগণের ভোটের অধিকার হরণ করে জনগণকে রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতাহীন করে দিয়ে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করে তুলেছিল।
  
তিনি বলেন, এমন পরিস্থিতিতে রাষ্ট্র সরকার এবং রাজনীতির গুণগত পরিবর্তনের লক্ষ্যে মাদার অফ ডেমোক্রেসি বেগম খালেদা জিয়া ২০১৭ সালে ভিশন ২০৩০ দিয়েছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২২ সালে বিএনপি ২৭ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করে। পরবর্তীতে গণতন্ত্রের পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময়ের পর ঘোষণা করা হয় ৩১ দফা কর্মসূচি। এই ৩১ দফা নিয়ে বর্তমানে বিএনপির উদ্যোগে সারাদেশে জনগণের সঙ্গে সংলাপ চলছে।  
 
রাতেক রহমান বলেন, রাষ্ট্র -সরকার-রাজনীতি এবং রাজনৈতিক দল মেরামতের জন্য দফা ৩১টি হলেও এর চূড়ান্ত লক্ষ্য একটি। সেটি হলো 'একটি নিরাপদ গণতান্ত্রিক মানবিক বাংলাদেশ বিনির্মাণ। ঠিক তেমনি উদ্দেশ্যও একটি। সেটি হলো 'রাষ্ট্র ও সমাজে  জনগণের রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা'। এটি নিশ্চিত করা না গেলে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব-গণতন্ত্র-নিরাপত্তা-সমৃদ্ধি কোনটিই টেকসই হবে না। 
 
রাষ্ট্রের স্বাধীনতা এবং নিরাপত্তার জন্য জনগণের রাজনৈতিক 

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, রাষ্ট্র এবং সমাজে জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার পূর্ব শর্ত হলো প্রতিটি নাগরিকের ভোট প্রয়োগের অধিকার বাস্তবায়ন। এবং এ লক্ষ্যেই একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি বারবার জনগণের ভোটে জনগণের কাছে দায়বদ্ধ সরকার প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যেই জাতীয় নির্বাচনের দাবি জানায়। 
 
তিনি বলেন, একজন রাজনৈতিক কর্মী আমি বিশ্বাস করি আজ এবং আগামী দিনের রাজনীতিতে বিএনপির এই ৩১ দফা হচ্ছে, একটি বৈষম্যহীন গণতান্ত্রিক মানবিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সনদ। তবে এই ৩১ দফাই শেষ কথা নয় সময়ের প্রয়োজনে রাষ্ট্র সরকার- রাজনীতি ও রাজনৈতিক দলের সংস্কারের জন্য এই ৩১ দফাতেও সংযোজন-বিযোজনের সুযোগ রয়েছে। এমনকি বিএনপির ৩১ দফার সঙ্গে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার প্রস্তাবনার খুব বেশি ইস্যুতে মৌলিক বিরোধ নেই।    
 
তারেক রহমান বলেন, বিভিন্ন সময়ে ‘জাতীয় নির্বাচন’ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য জনমনে ইতিবাচক ধারণা সৃষ্টি করলেও ‘জাতীয় নির্বাচন’ নিয়ে কোনো কোনো উপদেষ্টার বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য মন্তব্য স্বাধীনতাপ্রিয় গণতন্ত্রকামী জনগণের জন্য হতাশার কারণ হয়ে উঠছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি বিএনপিসহ গণতন্ত্রের পক্ষের সকল রাজনৈতিক দলের নিঃশর্ত সমর্থন থাকলেও সরকার এখনো তাদের কর্মপরিকল্পনায় অগ্রাধিকার নির্ধারণ করতে পারছেনা। 
 
তিনি বলেন, সারাদেশে খুন হত্যা ধর্ষণ চুরি ছিনতাই রাহাজানি বেড়েই চলেছে। বাজার সিন্ডিকেটের কবলে পড়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণহীন। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখনও দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। 
   
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, সরকার যেখানে দেশের বাজার পরিস্থিতি কিংবা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে কাঙ্খিত সফলতা অর্জন করতে পারছে না সেখানে জাতীয় নির্বাচনের আগে ‘স্থানীয় নির্বাচন’ অনুষ্ঠানের নামে কেন দেশের পরিস্থিতি আরেও ঘোলাটে করতে চাইছে এটি জনগনের কাছে বোধগম্য নয়। 

তিনি বলেন, গণতন্ত্রকামী জনগণ মনে করে, স্থানীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে সেটি হবে সারাদেশে পলাতক স্বৈরাচারের দোসরদের পুনর্বাসনের একটি প্রক্রিয়া যা সরাসরি গণ অভ্যুত্থানের আকাঙ্খা বিরোধী। গণ হত্যাকারী টাকাপাচারকারী দুর্নীতিবাজ মাফিয়া চক্রকে পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার এই ফাঁদে বিএনপি পা দেবেনা। 
 
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, বিএনপি জনগণের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি  জন রায়ে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে গণহত্যাকারী-মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি করবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান, সারাদেশে গণ হত্যাকারীদের দোসর মাফিয়া চক্রকে পুনর্বাসনের ‘স্থানীয় নির্বাচন’ অনুষ্ঠানের পরিকল্পনাথেকে সরে আসুন। অবিলম্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আগামী দিনের সুনির্দিষ্ট ‘কর্ম পরিকল্পনার রোডম্যাপ’ ঘোষণা করুন। 
 
তিনি বলেন, মাফিয়া প্রধান হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পর এ পর্যন্ত ১৬/১৭টি নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। বহুদলীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাসী বিএনপি সকল নতুন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনকে স্বাগত জানায়। তবে নির্বাচনের মাধ্যমে গ্রহণ কিংবা বর্জনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে জনগণ। সুতরাং, প্রতিটি দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু  'জাতীয় নির্বাচন' অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সবার আগে নির্বাচন কমিশনকে প্রস্তুত রাখতে হবে।  

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, দেশে একটি অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নিরপেক্ষতাই হচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সবচেয়ে বড় পুঁজি। কিন্তু সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে ইতোমধ্যেই জনমনে সন্দেহ সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে। নিজেদের নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে আমি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আরেও সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানাই।  

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ত র ক রহম ন ব এনপ ত র ক রহম ন গণতন ত র র ব গম খ ল দ র র জন ত ক ন শ চ ত কর র পর স থ ত অন ষ ঠ ন র জনগণ র ত র জন ন র জন র জন য ক ষমত

এছাড়াও পড়ুন:

দুধপত্রীর নারী উদ্যোক্তারা ও ক্ষীণাঙ্গী শালিগঙ্গা

শ্রীনগর থেকে রওনা হয়েছিলাম দুধপত্রী যাব বলে। মাঝপথে চোখে পড়ে রাস্তার পাশে উনুন বসিয়ে কিছুদূর পরপর ছোট ছোট অস্থায়ী খাবারের দোকান পেতে বসেছেন স্থানীয় নারীরা। চারপাশের মনোরম দৃশ্যের মধ্যে এই জায়গাটা যেন একটু বেশিই ঝকঝকে তকতকে। গাছের নিচের খোলা দোকানগুলোর আশপাশে কোথাও একটা পাতাও পড়ে নেই। যাঁর দোকানের সামনে থামলাম সেই নারীর নাম রাজা বেগম। বেঁকে যাওয়া রাস্তার পাশে এ রকম আর কয়েকটা দোকান। মাথার ওপর বড় রংচঙে বিচ ছাতা। পাশে পাতা বিশাল গালিচা দেখে মনে হয় সঙ্গে তাকিয়া থাকলে যেন ষোলোকলা পূর্ণ হতো। কেউ গালিচায় বসতে না চাইলে তাদের জন্য বসার বেঞ্চও আছে। মহিলার কাছে গিয়ে হিন্দিতে জানতে চাই এগুলো কী ধরনের রুটি। দুর্বোধ্য ভাষায় মহিলার জবাব শুনে বুঝতে পারি এক বর্ণ হিন্দিও জানেন না। অগত্যা আমাদের চলনদার আইউব দোভাষীর দায়িত্ব নেয়। এখানকার সব দোকানের অভিন্ন মেনু হচ্ছে পরোটার মতো দেখতে ঘি দিয়ে সেঁকে দেওয়া মকাই চট অর্থাৎ ভুট্টার রুটি। সাথে সরিষা শাক আর পেঁয়াজের আচার। তারপর চা থাকে তিন রকম– চিনি ছাড়া, চিনি দেওয়া মিষ্টি আর লবণ দেওয়া ‘নুন চাই’, যার যেমন ইচ্ছে। আগে থেকে বানিয়ে রাখা সেই রুটি সেঁকে দেওয়া হলো আমাদের সামনে।
কাশ্মীরের নতুন জমে ওঠা এই জায়গার ওপর এখনও বড় করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর চোখ পড়েনি। তাই রাজা বেগমরা তাদের ঘরে বানানো মকাই চট আর ‘নুন চাই’ খাইয়ে দু-চার পয়সা রোজগারের সুযোগ পাচ্ছেন। আর বেড়াতে আসা মানুষও স্বাদ নিতে পারছেন কাশ্মীরের অথেনটিক খাবারের। তা না হলে তাদের খেতে হতো পাউরুটি আর অমলেট কিংবা চাউমিন। ছোট নারী উদ্যোক্তাদের জন্য এটা বড় সুযোগ। মুসলমান অধ্যুষিত কাশ্মীরে নারীচালিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কম হলেও ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছেন এখানকার আনপড় নারীরা। তবে তাদের পেছনে রয়েছেন স্বামীরা। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়টা প্রথমেই চোখে পড়েছিল, পরে জানতে পারি, এতে পৌর কর্তৃপক্ষের কোনো কৃতিত্ব নেই। অস্থায়ী দোকান বসানো নারীরাই এই পরিচ্ছন্নতার প্রধান নায়িকা। উচ্ছিষ্ট কোনো কিছুই ফেলে জায়গাটা নোংরা করেন না কেউ। এমনকি ব্যবহৃত চা পাতাও তারা নিয়ে যান জমিতে সার হিসেবে ব্যবহার করার জন্য। পলিথিনের ব্যবহার একেবারেই নেই। আগে চিপস জাতীয় খাবার রেখেছিলেন কিছুদিন। কিন্তু ক্রেতারা পলিথিনের খালি প্যাকেট যেখানে-সেখানে ফেলে জায়গাটা নোংরা করে ফেলে বলে সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পরিবেশ নষ্ট করে এমন জিনিস বিক্রি করবেন না তারা। আগে বড় কোম্পানির প্যাকেট করা রুটিও বিক্রি করতেন কেউ কেউ। কিন্তু নিজেদের জমিতে ফলানো ভুট্টার আটা ব্যবহার করে রুটি বানিয়ে বিক্রি করলে উৎপাদন খরচ কম পড়বে, খদ্দেরের পাতে দেওয়া যাবে তাজা খাবার। সেই বিজনেস মডেলই সফল হয়েছে বলে মনে হলো। এরা কেউই অর্থনীতি বা স্ট্র্যাটেজিক ম্যানেজমেন্ট পড়েননি, কিন্তু মার্জিনাল কস্ট বা সাপ্লাই চেইনের ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজের উপকারিতা আবিষ্কার করে ফেলেছেন নিজেরাই। পরিবেশ সম্পর্কে এদের সচেতনতাকেও কুর্নিশ করতে হয়।
জায়গাটার নাম দুধপাথরী কিংবা দুধপত্রী– সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন নয়। সেখানে দুধ না থাকলেও পাথর আছে বেশুমার। কাশ্মীরের শ্রীনগর থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার দূরের এই জায়গা কয়েক বছর আগেও খুব পরিচিত ছিল না, এখনও কাশ্মীরের সরকারি পর্যটন ওয়েবসাইটে এই নামটার উল্লেখই নেই। কোনো প্রাতিষ্ঠানিক মাতবরি নেই বলেই হয়তো জায়গাটা এখনও রয়ে গেছে অনাঘ্রাতা, বিস্তৃত তৃণভূমি আর পাইন দেবদারু গাছে ঘেরা অঞ্চলে এখনও আসেনি আধুনিকতার কৃত্রিমতা। 
জায়গাটার নাম নিয়ে শুরুতেই যে প্রশ্ন জেগেছিল তার জবাব পাওয়া যায় স্থানীয় এক উপকথায়। অনেককাল আগে কাশ্মীর উপত্যকার কোনো এক অঞ্চলে বাস করতেন কবি, গীতিকার ও সুফি সাধক শেখ নূর-উদ্দিন নূরানী। একদিন এই পথ দিয়েই দূরে কোথাও যাচ্ছিলেন তিনি। চলতে চলতে নামাজের সময় হয়ে যায়, ফলে পথের ধারে ঘাসে ঢাকা এক অজানা মাঠে থামতে হয় তাঁকে। কিন্তু নামাজের জন্য অজুর পানি খুঁজে পেলেন না কোথাও। আশপাশে নদী বা ঝরনা কিছুই নেই। অগত্যা ঘাসে ঢাকা জমির কোথাও জল পাওয়া যায় কিনা খোঁজার জন্য মাঠের এখানে সেখানে হাতের লাঠি পুঁতে পুঁতে দেখছিলেন। আর তাতেই এক জায়গা থেকে বেরিয়ে আসে দুধের ধারা। কিন্তু দুধ দিয়ে তো আর অজু হয় না, তাই অনেকটা আপন মনেই যেন বলেন, দুধ খাওয়া যায় কিন্তু অজু তো করা যায় না। এ কথায় দুধের নহর হয়ে যায় পরিষ্কার পানির ধারা। তখন থেকেই জায়গাটার নাম মুখে মুখে হয়ে যায় দুধপাথরী, তারপর দুধপত্রী। এই পানির ধারা থেকে জন্ম হয় শালিগঙ্গা নদীর। এই উপকথায় যারা আস্থা রাখতে পারবেন না, তাদের জন্য আরেকটা বাস্তব ও গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা হতে পারে যে গবাদি পশুর অবারিত চারণভূমির কারণে এখানে প্রচুর দুধ উৎপাদন হয়, আর শালিগঙ্গা নদী খাতে পাওয়া যায় বেশুমার পাথর। এই দুটো মিলে দুধপাথরী নাম হওয়াটাও বিচিত্র নয়।
এগিয়ে যেতে যেতে মনে হয় যেন ইংল্যান্ডের গ্রামের মধ্যে ঢুকে পড়েছি। ঢেউ খেলানো প্রান্তরের ঘাস কোনো অদৃশ্য ঘাসকাটা যন্ত্র দিয়ে যেন ছেঁটে দিয়েছে কেউ। সেই নরম মসৃণ ঘাসের গালিচা পেরিয়ে পাইন অরণ্যের কালচে সবুজ প্রাচীর, যেদিকে তাকাই সেদিকই একেকটা ফ্রেমে বাঁধানো ছবি। বিরান প্রান্তরের এক জায়গায় বুক ভরে তাজা বাতাস নিয়ে অপার্থিব সুন্দর-শ্যামল পরিবেশের কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করছিলাম। গাড়ি থেকে নামতেই পায়ের কাছে সবুজ গালিচা, সামনে তাকালেই ঢেউ খেলানো সবুজ প্রান্তর, পাইন-দেবদারু গাছে ছাওয়া বিজন উপত্যকা। তার ওপর বিছিয়ে রয়েছে স্নিগ্ধ আদুরে রোদ। প্রান্তরের শেষ মাথায় আকাশ নামিয়ে দিয়েছে মসলিনের মতো ফিনফিনে সাদা আঁচল। এখানে প্রকৃতি এখনও অলস, নাগরিক ব্যস্ততাহীন হাঁপধরা নির্জনতার মাঝে দূরের সবুজ মাঠজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ঘোড়া আর আলখাল্লা পরা সহিসদেরও যেন বিশেষ তাড়া নেই। এটা হেমন্তের দৃশ্য, তবে শীত নামার পর এই শ্যামলিমা আর থাকবে না, পুরো এলাকা ঢেকে যাবে বরফে। 
চোখে পড়ে নিচের উপত্যকায় সার বেঁধে চলেছে আনাড়ি ঘোড়সওয়ার পর্যটকের দল। প্রতিটি ঘোড়ার সামনে কিংবা পাশে পায়ে হেঁটে চলছে ফিরান গায়ে ঘোড়ার মালিক। চারপাশের নিশ্চল অসহ্য সুন্দর দৃশ্যের মধ্যে সচল অশ্বারোহী বাহিনীর অভিযান একটা ভিন্ন মাত্রা যোগ করে দেয়। অসম্ভব সুন্দরকে বেশি সময় ধরে দেখলে সেটাও একসময় বেশি চিনি দেওয়া চায়ের মতো হয়ে যায়, তাই শালিগঙ্গা নদী দর্শনে যাওয়ার সিদ্ধান্তই ভালো, সেখানে নদীটি অন্তত নিশ্চল নয়। 

এ কী! এখানে নদী কোথায়? বাঁধানো সিঁড়ি বেয়ে বেশ কিছুদূর নেমে যে ঝিরিটির কাছে পৌঁছাই, সেটিকে নদী তো দূরে থাক, খালও বলা যায় না। ছোট-বড় পাথরের ভেতর দিয়ে বড়জোর আট থেকে দশ ফুট চওড়া নালা দিয়ে বয়ে যাচ্ছে স্বচ্ছ জলের ধারা। তোড়ে নেমে আসা সেই জল পাথরের গায়ে আছড়ে পড়ে খিলখিল করে হাসছে, উচ্ছ্বাসে হয়ে উঠছে ফেনিল। বড়সড় একটা পাথর বেছে নিয়ে জলের ধারার কাছে বসে থেকে সেই মিষ্টি হাসি শুনে কাটিয়ে দেওয়া যায় দীর্ঘ সময়। শীত মৌসুম এগিয়ে আসার সঙ্গে ক্ষীণতর হয়েছে স্রোতধারা, তবে চওড়া খাত দেখে আন্দাজ করা যায় গ্রীষ্মে বা বর্ষায় এই নদীর চেহারা কেমন হয়। নালাসদৃশ নদীটার ওপর একটা কাঠের সেতু, সেটা পেরিয়ে পাইন বনে যাওয়া যায়, অনেকেই যাচ্ছে, ঘোড়ায় চড়েও যাচ্ছে কেউ কেউ। সেখানে দেখার বিশেষ কিছু নেই, তাই অযথা মেহনত না করে জলের নিক্কন শোনা ঢের ভালো। এপাড়ে খুব ছোট অস্থায়ী দোকান দিয়ে বসেছেন দু-চারজন স্থানীয় মানুষ। তরমুজ, আনারস, আপেল, ফুটি এসব মিলিয়ে ফ্রুট সালাদ তৈরি করছেন সফেদ শ্মশ্রুমণ্ডিত একজন। নিবিষ্টমনে ভুট্টা পোড়াচ্ছিলেন আলীম আহমেদ। জানালেন ভুট্টা পুড়িয়ে চলছেন বিশ বছর। আরেকটা এরকম দোকান আছে তাঁর, সেটা চালাচ্ছেন তাঁর ছেলে। বিশ বছর ধরে এই ব্যবসা করলেও যে ভাগ্য বিশেষ ফেরেনি তাঁর, সেটা বুঝতে কষ্ট হয় না। 
ফেরার পথে রাস্তার পাশের ঢালু মাঠে অদ্ভুত দেখতে কয়েকটা মাটির চালাঘর দেখে আবার নেমে পড়ি। এগুলো স্থানীয় বাসিন্দাদের তৈরি করা মাটির ট্রাডিশনাল ঘর, কাশ্মীরি ভাষায় ‘দোখ’। একপাশের চাল নামিয়ে দেওয়া হয়েছে ঢালের উঁচু অংশের খুব কাছাকাছি। ছাদ তৈরি করতে বিছানো হয় কাঠের কাঠামোর ওপর খড়, তার ওপর পুরু প্লাস্টিকের পর্দা বিছিয়ে ঢেকে দেওয়া হয় ছয় ইঞ্চি পুরু কাদা দিয়ে। ঘরের দেয়ালও কাঠের গুঁড়ি দিয়ে তৈরি, তার ওপর কাদার পুরু আস্তর। এখানে শীতে ছয়-সাত ফুট বরফ পড়ে, সে সময় এরকম ঘর না থাকলে প্রচণ্ড ঠান্ডায় মানুষের বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে পড়ত। পরিত্যক্ত বাড়ির মতো পড়ে থাকা ঘরগুলোতে কোনো মানুষজনের সাড়া পাওয়া যায় না। আশপাশেও জনমনিষ্যির চিহ্ন পাওয়া গেল না। দুপুরের রোদের মধ্যে ঘাসের ওপর একজন মানুষকে নামাজ পড়তে দেখা যায়। লোকটা যে এখানকার বাসিন্দাদের কেউ নয়, সেটা তাঁর পোশাক দেখেই বোঝা যায়। হয়তো আমাদের মতোই কোনো পর্যটক। 
ফিরতে ফিরতে একসময় উধাও হয় দুধপত্রীর শ্যামল প্রান্তর, এখানে রাস্তার দু’পাশে ফসলকাটা রিক্ত মাঠ, তার মাঝে কাটা শস্যের গাদা, সেগুলো পাহারা দিচ্ছে সান্ত্রীর মতো দাঁড়িয়ে থাকা দীর্ঘদেহ পপলার। মাঠের দূর প্রান্তে একাকী আধা পাকা চাষিবাড়ি। পপলার গাছগুলো না থাকলে এই ছবি বাংলাদেশের কোনো ফসলকাটা মাঠ বলে চালিয়ে দেওয়া যেত। ফেরার রাস্তার ধারেই একের পর এক আপেল বাগান। একটিতে আপেল পাড়া হচ্ছে দেখে থেমে যাই। কোনো কথাবার্তা জানাশোনা ছাড়া আচমকা ভেতরে ঢুকে পড়লে কেমন হবে, ওরাই বা কীভাবে নেবে ব্যাপারটা– ভাবতে ভাবতে সামান্য ইতস্তত করে ভেতরে যাই। কী আর হতে পারে, বড়জোর বের করে দিতে পারে, মারধর তো করবে না। ভেতরে ঢুকতেই চোখে পড়ে ঘাসের ওপর আধশোয়া হয়ে মোবাইল ফোনে কথা বলছেন একজন। মুখভর্তি কালো দাড়ি, পরনে ফিরান। তাঁর কাছে গিয়ে সালাম দিয়ে নিজের নাম জানিয়ে হিন্দিতে বলি, আমরা বাংলাদেশ থেকে এসেছি। আপেল পাড়া হচ্ছে দেখে ঢুকে পড়লাম। তিনি ইংরেজিতে বলেন, নো প্রবলেম, ইউ আর মোস্ট ওয়েলকাম। ইনিই বাগানের মালিক মোহাম্মদ বিলাল। তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়ে এগিয়ে যাই। গাছে গাছে লালাভ আপেল ধরে আছে বেশুমার, দুই অল্পবয়সী কর্মচারী পাকাগুলো পেড়ে জড়ো করছে এক জায়গায়। ওদের কাজ দেখভাল করছেন বিলাল-পত্নী কাওসার। খুবই সাদামাটা পোশাক তাঁর পরনে। একটু সলজ্জ হেসে গাছ থেকে সদ্য পাড়া লাল আপেল খেতে দেন সবাইকে। একেবারে তাজা সেই আপেল খেয়ে বুঝতে পারলাম বাংলাদেশে বাজার থেকে কেনা আপেলের স্বাদ কেন কখনোই টানে না আমাকে। কখনও মায়ের সঙ্গে কখনও বাবার কাছে ঘুরঘুর করছে আপার কেজিতে পড়া খুব মিষ্টি চেহারার বছর আটেকের মোস্তফা। বাগানের মাঝখানে আপেলের স্তূপের সামনে দাঁড়িয়ে আমার স্ত্রী কাওসারের সঙ্গে কথা বলছিলেন। আমি ওদের দিকে ক্যামেরা তাক করতেই ভদ্রমহিলা দ্রুত সরে যান। আমার স্ত্রী বেশ সাধাসাধি করেও তাঁকে রাজি করাতে পারে না। তাঁর স্বামীটি তখনও ঘাসের ওপর আধশোয়া হয়ে সব লক্ষ্য করছিলেন। ছবি তোলার ব্যাপারটাও বুঝতে পেরে কাশ্মীরি ভাষায় স্ত্রীকে কিছু একটা বলেন। নিশ্চয়ই বলেছিলেন, তোমার সমস্যা কী, বেচারি তোমার সঙ্গে একটা ছবি তুলতে চাইছেন, দাঁড়ালেই পারো। তা না হলে বেঁকে বসা কাওসার সলজ্জ হেসে ছবি তুলতে রাজি হয়ে যেতেন না। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলের বিরুদ্ধে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা পেলে কঠোর ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • আওয়ামী লীগ যেন মিছিল করতে না পারে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে 
  • আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে  
  • আ.লীগের মিছিল ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
  • দুধপত্রীর নারী উদ্যোক্তারা ও ক্ষীণাঙ্গী শালিগঙ্গা
  • ভোলাগঞ্জে বিজিবির সদস্যদের ওপর চড়াও অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনকারীরা
  • অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে ২ মাসে আড়াই হাজার গ্রেপ্তার
  • শেখ হাসিনার মতো এখনও নির্বাচন নিয়ে তালবাহানা শুরু হয়েছে: আব্দুস সালাম
  • উদ্ধারপ্রক্রিয়ায় এলাকাবাসীকে যুক্ত করুন
  • আইনের হাত বনাম নিজের হাত