নিজের পরিবারের জন্য দুনিয়া ও পরকালের কল্যাণ কামনা করে দোয়া করতে হয়। প্রিয়জন, সন্তান, স্বামী কিংবা স্ত্রী, যিনিই পরিবারের অভিভাবক, তিনি তাঁর অধীনদের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করবেন।

আল্লাহ ইচ্ছা করলেন মক্কা নগরীকে জনবসতি ও আবাদ করবেন। হজরত ইব্রাহিম (আ.)–কে তাঁর প্রাণপ্রিয় দুগ্ধপোষ্য শিশু সন্তান হজরত ইসমাইল (আ.

) এবং স্ত্রী হজরত হাজেরা (আ.)–কে জনমানবহীন মরুপ্রান্তর রেখে আসার জন্য আল্লাহ নির্দেশ দিলেন। স্ত্রী–সন্তানকে নির্জন মরুভূমিতে রেখে আসার সময় হজরত ইব্রাহিম (আ.) দোয়া করেছিলেন এভাবে, 

রাব্বানা লিয়ুক্বিমুস সালাতা ফাঝআল আফ-ইদাতাম মিনান নাসি তাহ্ওয়ি ইলাইহিম ওয়ারযুক্ব্হুম মিনাছ ছামারাতি লাআল্লাহুম ইয়াশকুরুন।

আরও পড়ুনচালকেরা ডাকেন জিয়ারা, জিয়ারা...১৯ জুলাই ২০২৩

এর অর্থ, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমি আমার কিছু বংশধরকে তোমার পবিত্র ঘরের কাছে এক অনুর্বর উপত্যকায় বসবাস করালাম। হে আমাদের প্রতিপালক, ওরা যেন নামাজ কায়েম করে। তুমি কিছু লোকের মন ওদের অনুরাগী করে দাও, আর ফলফলাদি দিয়ে ওদের জীবিকার ব্যবস্থা করো, যাতে ওরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে।’ (সুরা ইব্রাহিম: আয়াত ৩৭)

আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে দোয়া করতে হবে। মুসলিম উম্মাহর প্রতিটি অভিভাবকই নিজ নিজ পরিবারের জন্য দুনিয়া ও পরকালের কল্যাণ কামনা করতে পারেন। কোরআনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ দোয়া রয়েছে।

আরও পড়ুনকাবা শরিফের মাতাফে মার্বেল পাথরের কাহিনি০৫ আগস্ট ২০২৩

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর ব র র র জন য আল ল হ

এছাড়াও পড়ুন:

দক্ষিণ চট্টগ্রামসহ দেশের শতাধিক গ্রামে ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপিত

দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় আজ রোববার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপিত হচ্ছে। সাতকানিয়া উপজেলার মির্জাখীল দরবার শরিফের অনুসারীরা হানাফি মাজহাবের নিয়ম অনুসরণ করে ঈদ উদ্‌যাপন করেন। এ দরবার শরিফের অনুসারীরা হানাফি মাজহাব মতে, বিশ্বের যেকোনো দেশে চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে ২০০ বছর ধরে এভাবে ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা ও চান্দ্রমাসের সঙ্গে সম্পৃক্ত সব ধর্মীয় অনুশাসন পালন করে আসছেন।

দরবারের সূত্র জানায়, মির্জাখীল দরবার শরিফের খানকাহ মাঠে সকাল ৯টার সময় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। হজরত শাহ জাহাঁগীর শেখুল আরেফীন (ক.), হজরত শাহ জাহাঁগীর ফখরুল আরেফীন (ক.), হজরত শাহ জাহাঁগীর শমসুল আরেফীন (ক.)–এর পদাঙ্ক অনুসরণ করে বর্তমান সাজ্জাদানশীন হজরত শাহ জাহাঁগীর তাজুল আরেফীন (ক.)–এর তত্ত্বাবধানে তাঁর জানশিন (উত্তরাধিকারী) হজরত ইমামুল আরেফীন মাওলানা মুহাম্মদ মকছুদুর রহমান ঈদের নামাজে ইমামতি করেন।
এদিকে সকাল ৯টার সময় আনোয়ারা উপজেলার তৈলারদ্বীপ গ্রামে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। একই সময়ে বাঁশখালী উপজেলার কালীপুরে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

মির্জাখীল দরবার শরীফের অনুসারীরা হানাফী মাযহাবের নিয়ম অনুসরণ করে ঈদ পালন করেছেন। রোববার সকালে আনোয়ারা উপজেলার তৈলারদ্বীপে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • হাসবুনাল্লাহু ওয়া নিমাল ওয়াকিল কখন পড়বেন
  • দক্ষিণ চট্টগ্রামসহ দেশের শতাধিক গ্রামে ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপিত