সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

ইসরায়েল-হামাস গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম পর্যায়ে শেষ দফায় চার ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করেছে হামাস। গভীররাতে হওয়া এই হস্তান্তরের বদলে কয়েকশত ফিলিস্তিনির মুক্তি আশা করছে তারা। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, চার জিম্মির দেহাবশেষ বহনকারী কফিন তারা বুঝে পেয়েছে।

প্রাথমিকভাবে, টিসাচি ইদান, ইতঝাক এলগারাত, ওহাদ ইয়াহালোমি, শ্লোমো মানতজুর নামে ওই চার মৃত জিম্মিকে শনাক্ত করেছে ইসরায়েল। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার সময় তারা নিজ বাড়ি থেকে অপহৃত হয়েছিলেন।

এই বিনিময়ের মধ্যস্থতা করেছে মিশর। চার জিম্মির মরদেহের বিনিময়ে ৬২০ জন ফিলিস্তিনি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ইসরায়েলের। এর মধ্য দিয়ে যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ে চূড়ান্ত বিনিময় সম্পন্ন হতে যাচ্ছে।

গত ১৯ জানুয়ারি কার্যকর হওয়া ভঙ্গুর এই চুক্তির প্রথম পর্যায় চলতি সপ্তাহেই শেষ হওয়ার কথা। তবে এখনও দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে অগ্রসর হওয়ার বিষয়ে কোনও প্রস্তাব পায়নি বলে জানিয়েছে হামাস।

এর আগে, গত শনিবার হামাস এক মঞ্চায়িত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ছয় ইসরায়েলিকে মুক্তি দেয়, কিন্তু ইসরায়েল তখন বন্দি মুক্তি দিতে অস্বীকৃতি জানায়।

প্রথম থেকেই জীবিত ও মৃত জিম্মিদের হস্তান্তরের আগে জনসম্মুখে তাদের নিয়ে আসছে হামাস। কিছুদিন আগে মরদেহ হস্তান্তর করার সময়ও কফিনগুলো জনসম্মুখে প্রদর্শন করে। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন পক্ষ ওই ঘটনার কড়া সমালোচনা করেছিল।

চূড়ান্ত বিনিময়ের সময় আর কোনও রকম জনসম্মুখে হস্তান্তর বা আয়োজনের চেষ্টা করেনি হামাস।

নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, ইসরায়েলি সীমান্তে যথাযথ কর্তৃপক্ষ মরদেহগুলো শনাক্তের চেষ্টা করছে। এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেই কফিনগুলো স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

ইসরায়েলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চার জিম্মির মরদেহের ওপর ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পরে প্রকাশ করা হবে।

ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের মতে, প্রায় ৩০ জন বন্দি গাজায় নিহত হয়েছেন, যাদের কেউ হামাসের হাতে নিহত হয়েছেন, আবার কেউ ইসরায়েলের হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন।

এনজে

.

উৎস: SunBD 24

কীওয়ার্ড: জ ম ম র মরদ হ ইসর য় ল প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

‘গবেষণা যেন কেবল একাডেমিক চর্চায় সীমাবদ্ধ না থাকে’

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, “জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা ও পরিবেশের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে গবেষণার ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। আমাদের গবেষণা যেন কেবল একাডেমিক চর্চায় সীমাবদ্ধ না থাকে, বরং তা বাস্তবসম্মত ও জনসম্পৃক্ত হতে হবে। গবেষণা ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে যদি পরিবেশবান্ধব নীতি গ্রহণ করা যায়, তবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য পৃথিবী নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।”

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে আয়োজিত ‘গবেষণা উদ্ভাবনা ও প্রকাশনা মেলা ২০২৫’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশ সংরক্ষণ ও প্রাকৃতিক সম্পদের সুষম ব্যবহারের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সমূহে গবেষণা আরও জোরদার করতে হবে।” 

গবেষণার মাধ্যমে মানবাধিকার, পরিবেশ ও জনসম্পৃক্ততার উন্নয়ন ঘটানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “গবেষণা হবে বিজ্ঞানভিত্তিক, বস্তুনিষ্ঠ এবং মানুষের কল্যাণে নিবেদিত। টেকসই ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে আমাদের পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ও গবেষণার প্রতি অধিক মনোযোগী হতে হবে।” 

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে ‘সিঙ্গেল-ইউজ প্লাস্টিক এবং শব্দ দূষণমুক্ত ক্যাম্পাস’ ঘোষণা দেওয়ার আহ্বান জানান। বিজ্ঞানী ও গবেষক জামাল নজরুল ইসলামের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে উপদেষ্টা ‘গবেষণা, উদ্ভাবন ও প্রকাশনা মেলা ২০২৫’-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন। পরে উপদেষ্টা মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন। 

গবেষণা মেলায় এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার; উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আল-আমিন, এ এফ মুজিবুর রহমান ফাউন্ডেশন এর ট্রাস্টি জনাব এম নুরুল আলম এবং জামাল নজরুল গবেষণাকেন্দ্র পরিচালনা পরিষদের সদস্য সাদাফ সাজ সিদ্দিকী।

উল্লেখ্য, ‘গবেষণা মেলায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ চট্টগ্রাম বিভাগের ভেতরে ও বাইরে প্রায় শতাধিক স্টলে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগ, গবেষণাগার এবং গবেষণা ইনস্টিটিউট তাদের গবেষণাকর্ম ও বিগত বছরের গবেষণায় অবদান সমূহ তুলে ধরেন।

ঢাকা/রেজাউল/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘গবেষণা যেন কেবল একাডেমিক চর্চায় সীমাবদ্ধ না থাকে’