জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি বলেছেন, মিয়ানমারে সংঘাত চলার পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি খুবই জটিল আকার ধারণ করেছে। তা সত্ত্বেও রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে জোর দিতে হবে।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি।

জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার প্রধান ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি গতকাল বুধবার চার দিনের সফরে বাংলাদেশে এসেছেন।

তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে আলোচনার প্রসঙ্গ টেনে ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন তিনি। অত্যন্ত জটিল এ পরিস্থিতি কীভাবে সামাল দেওয়া যায়, তা নিয়ে তিনি আলাপ করেছেন। এখানকার (বাংলাদেশ) উত্তরণকালীন পরিস্থিতির (গণতান্ত্রিক) সঙ্গে সম্পর্কিত নিজস্ব চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তিনি।

ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি বলেন, ‘আমরা মিয়ানমারে সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করার জন্য সব সময় যে গুরুত্ব দিয়ে আসছি, সে বিষয়ে একমত হয়েছি। তা নিয়েও আলোচনা করেছি।’

সংকট উত্তরণে মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতির প্রসঙ্গ টানেন জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার প্রধান। তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের পরিস্থিতি খুবই জটিল। সেখানে সংঘাত চলছে। আসলে অনেকগুলো সংঘাত সেখানে চলছে। কিন্তু আমাদের অবশ্যই একটি সমাধানের জন্য জোর দিতে হবে।’

বাংলাদেশ সরকার আগামী কয়েক মাসের মধ্যে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে একটি সম্মেলন আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছে বলে উল্লেখ করেন ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি। তিনি বলেন, ‘আমরা সেই সম্মেলনকে সমর্থন করব।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর স থ ত শরণ র থ র পর স

এছাড়াও পড়ুন:

মারধরে কলেজশিক্ষকের মৃত্যু, হামলাকারী আটক

কক্সবাজারের উখিয়ায় মারধরে এক কলেজশিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। দোকান ভাড়া–সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এক ব্যক্তির মারধরে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাত দেড়টার দিকে উখিয়া সদরের ঘিলাতলী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে পুলিশ আটক করেছে।

নিহত শিক্ষকের নাম মোহাম্মদ ইকবাল (৫০)। তিনি উখিয়া ডিগ্রি কলেজের শরীরচর্চার শিক্ষক ছিলেন। আটক ব্যক্তির নাম মো. শরিফ প্রকাশ বট্টল (৪৫)। তিনি উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের পূর্ব সিকদারবিল গ্রামের বাসিন্দা।

পুলিশ ও নিহত ব্যক্তির পরিবার জানিয়েছে, এলাকায় কলেজশিক্ষক ইকবালের একটি দোকানে ভাড়াটে হিসেবে রয়েছেন শরিফ। রাতে দোকান ভাড়া–সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে শরিফের সঙ্গে ইকবালের কথা-কাটাকাটি হয়। এর এক পর্যায়ে মোহাম্মদ ইকবালের ওপর হামলা করেন শরিফ। ইকবালের চোখ-মুখ, মাথা, পেটে কিল-ঘুষি ও লাথি মারতে থাকেন তিনি। হইচই শুনে পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত ইকবালকে উদ্ধার করে উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

মোহাম্মদ ইকবালের বড় ছেলে ইফতিয়াজ নুর বলেন, ‘চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় শরিফকে দোকান ছেড়ে দিতে তাগাদা দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু তাতে গড়িমসি শুরু করেন শরিফ। গতকাল রাতে দোকান ছাড়ার কথা নিয়ে বাবার সঙ্গে তর্কে জড়ান তিনি। হাতাহাতির এক পর্যায়ে বাবা মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাঁর মাথা-মুখ ও পেটে লাথি মারতে থাকেন শরিফ। এতে বাবার মৃত্যু হয়।’

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আরিফ হোসাইন বলেন, হত্যায় অভিযুক্ত মো. শরিফকে আটক করা হয়েছে। কলেজশিক্ষকের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ