মানুষ ‘রসিকতা’ করলেও এই দল নিয়েই আশা দেখছেন বাটলার
Published: 27th, February 2025 GMT
সিনিয়র ফুটবলারদের রেখে একেবারে তারুণ্যনির্ভর দল নিয়ে ২৪ ফেব্রুয়ারি সংযুক্ত আরব আমিরাতে যান বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের কোচ পিটার বাটলার। এদিকে নারী ফুটবলে বয়ে যাওয়া ঝড়ও পুরোপুরি থামেনি। এর মধ্যে গতকাল আমিরাতের বিপক্ষে প্রথম প্রীতি ম্যাচে ৩-১ গোলে হেরেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। বাংলাদেশের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার।
হার নিয়ে কে কী বলল, এসবে যেন একদমই কান দিতে চাইছেন না বাটলার। বরং এই দল নিয়েই আশা দেখছেন তিনি। ম্যাচের পর হারের ব্যাখ্যার পাশাপাশি এই ইংলিশ কোচ মানুষের সমালোচনার জবাবটা দিয়েছেন এভাবে, ‘আমার মনে হয়, নির্দিষ্ট কিছু মানুষ (এই হারে) হাসবে এবং রসিকতা করবে…কিন্তু আমি সব সময় বিশ্বাস করি, এই দল অনেক দিন টিকবে। আমি মনে করি এই সফরে জয়টা মুখ্য নয়, উন্নতি করাটা গুরুত্বপূর্ণ। পরবর্তী সাফের জন্য দল গড়ে তোলা এবং এএফসির প্রতিযোগিতার দিকে এগিয়ে যাওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ।’
গত ৩০ জানুয়ারি সিনিয়র ১৮ ফুটবলার কোচের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণার পর নতুনদের নিয়ে অনুশীলন চালিয়ে যান বাটলার। যদিও ১৬ ফেব্রুয়ারি বাফুফের নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার জানান, মেয়েরা অনুশীলনে ফিরতে রাজি। তবে লম্বা সময় অনুশীলনের বাইরে থাকায় বিদ্রোহীদের ছাড়াই ২০ ফেব্রুয়ারি আমিরাত সফরের জন্য ২৩ সদস্যের দল ঘোষণা করে বাফুফে, যেখানে বেশির ভাগই নবাগত ফুটবলার।
প্রীতি ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে ৩–১ গোলে হেরেছে বাংলাদেশের মেয়েরা.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
শিল্পকলায় অনুষ্ঠিত হলো ‘সাধুমেলা’
মানবিকতা ও ঐক্যের শাশ্বত বার্তা সমাজের প্রতিটি হৃদয়ে পৌঁছে দিতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের আয়োজনে গত ১৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় একাডেমির নন্দনমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয়েছে সাধুমেলা “মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি”।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের পরিচালক মেহজাবীন রহমান। সাধুমেলায় শুরুতে সমবেত কণ্ঠে লালনের ‘ভক্তিমূলক গান’ পরিবেশিত হয়। লালনসংগীত পরিবেশন করেন ফকির শামসুল সাঁই, ‘তিন পাগলে হলো মেলা’ পরিবেশন করেন মেহেরুন নেসা পূর্ণিমা। উপস্থাপনা করেন শেখ জামাল উদ্দিন টুনটুন। শ্রীকৃষ্ণ গোপাল পরিবেশন করেন ‘লীলার যার নাইরে সীমা’ এবং ‘দেখো দেখো মনো রায় হয়েছে’। গান পরিবেশন করেন দিপা মণ্ডল। ওমর আলী পরিবেশন করেন ‘আচলা ঝোলা তিলক মালা’। লালনসংগীত পরিবেশন করেন মোঃ মিরাজ সিকদার ‘আমি ওই চরণে দাসের যোগ্য নই’, আকলিমা ফকিরানী এবং লাভলী শেখ ‘রসো প্রেমে ঘাট ভাড়িয়ে তরী বেওনা’।
পরিবেশনা নিয়ে মঞ্চে আসেন মোঃ সমির হোসেন, ফারজানা আফরিন ইভা পরিবেশন করেন ‘আমায় রাখিলেন সেই কূপজল করে’ এবং লালনের গান ‘মন তোর এমন জনম আর কী হবে রে’ পরিবেশন করেন মোঃ মুক্তার হোসেন। এরপর লালনসংগীত পরিবেশন করেন মোসাঃ লিনা খাতুন ‘কোথায় সে অটল রূপে বারাম দেয়’, মনিরুল ইসলাম এবং আবু শাহীন খান ‘চিরদিন পুষলাম এক অচিন পাখি’। সবশেষে সমবেত কণ্ঠে পরিবেশিত হয় লালনের গান।