বেক্সিমকোর ১৪ কারখানা স্থায়ীভাবে বন্ধ, ৯ মার্চ থেকে পাওনা পরিশোধ শুরু
Published: 27th, February 2025 GMT
গাজীপুর নগরের সারাব এলাকার বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের টেক্সটাইলস অ্যান্ড অ্যাপারেলস বিভাগের ১৪টি কারখানা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া আগামীকাল শুক্রবার থেকে এসব কারখানার সব শ্রমিককে ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
গতকাল বুধবার প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়েছে, গাজীপুরে অবস্থিত বেক্সিমকো লিমিটেড (ইয়ার্ন ইউনিট-১ ব্যতিত) ও এর সংশ্লিষ্ট অন্য ১৩টি প্রতিষ্ঠানসহ মোট ১৪টি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সব কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকদের বিশেষ অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে, কারখানায় কোনো কাজ না থাকার কারণে গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর এবং ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ (সর্বশেষ সংশোধিত ২০১৮) অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট ধারা মোতাবেক কারখানাগুলোতে লে-অফ ঘোষণা করা হয়। কোনোভাবেই কাজের সংস্থান না থাকায় কারখানাগুলো ১৬ (৭) ধারা এবং তদনুযায়ী ২০ (৩) ধারা মোতাবেক কারখানাগুলোর শ্রমিকদের ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ছাঁটাই করা হলো। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানগুলোর সব কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হলো। ছাঁটাই করা সব শ্রমিক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আইন ও বিধি অনুযায়ী সব পাওনা পরিশোধ করা হবে। এসব প্রাপ্য পাওনা আগামী ৯ মার্চ থেকে পর্যায়ক্রমে পরিশোধ করা হবে।
এদিকে নিয়মিত বেতন-ভাতা দিতে না পারায় বেক্সিমকো গ্রুপের একাধিক কারখানায় শ্রম অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে। ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকদের মাসিক বেতন ৬০ কোটি টাকা আর কর্মকর্তাদের বেতন ১৫ কোটি টাকা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ব্যাংক কোম্পানি আইনের দুটি ধারা শিথিল করে জনতা ব্যাংকের মাধ্যমে বেক্সিমকোর কারখানার বেতন-ভাতার জন্য ঋণের ব্যবস্থা করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
তবে এসব কারখানা এলাকায় আপাতত কোনো শ্রমিক অসন্তোষ নেই বলে জানিয়েছেন গাজীপুর শিল্পাঞ্চল পুলিশ সুপার এ কে এম জহিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, শ্রমিকেরা শান্তিপূর্ণ অবস্থানে আছেন। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশও মোতায়েন রয়েছে।
সম্প্রতি হাইকোর্টে এক রিটের শুনানিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ১৬টি ব্যাংক ও ৭টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বেক্সিমকোর ৭৮টি প্রতিষ্ঠানের দায় ৫০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে প্রায় ৩২ হাজার কোটি টাকা।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সালমান এফ রহমান গ্রেপ্তার হন। অনেক ব্যাংকের সঙ্গে বেক্সিমকোর লেনদেন থাকলেও শুধু জনতা ব্যাংকে ঋণপত্র খোলা হতো। ওই ব্যাংকে প্রতিষ্ঠানটির ২৩ হাজার ৫৫৭ কোটি টাকা ঋণের মধ্যে বড় অংশই এখন খেলাপি। গ্রুপটির ঋণ একক ঋণগ্রহীতার সীমাও অতিক্রম করায় বেক্সিমকোর নতুন করে ব্যাংকঋণ নেওয়ার পথও বন্ধ হয়ে যায়।
গত ১৫ ডিসেম্বর শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বেক্সিমকোর শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রম ও ব্যবসায় পরিস্থিতি পর্যালোচনা-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের কমিটির সভার সিদ্ধান্তের পর বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ১৬টি কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। বন্ধের কারণ হিসেবে সরকার জানায়, কারখানাগুলোতে অর্ডার না থাকা ও ব্যাংকে ঋণখেলাপি থাকায় প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা সম্ভব হচ্ছে না।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
এআইয়ের চমক নিয়ে বাজারে এল নতুন ফোন
এখন স্মার্টফোনের ব্যবহার শুধু প্রয়োজন থেকে নয়, স্টাইল ও সৃজনশীল কাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যমই বটে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই মুঠোফোনের ব্যবহারে অন্য রকম অভিজ্ঞতা দিচ্ছে। সেই বিষয়কে মাথায় রেখে ইনফিনিক্স নোট ৫০ সিরিজ ফোনটি বাজারে এনেছে।
ফোনটির বিভিন্ন সুবিধা নিয়ে গত রোববার ঢাকায় একটি এক্সপেরিয়েন্স অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে ফোনের বিভিন্ন সুবিধা সবার সামনে তুলে ধরা হয়। আয়োজনে নোট ৫০ সিরিজের চমক দেখাতে একটি ইন্টারঅ্যাকটিভ ইমারসিভ ওয়াকথ্রু জোন তৈরি করা হয়। নোট ৫০ সিরিজে ডিজাইন ও পারফরমেন্সকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। নোট ৫০ সিরিজের নান্দনিক নকশা, উজ্জ্বল ডিসপ্লে এবং আধুনিক এআই সুবিধাকে কেন্দ্র করে প্রযুক্তির ব্যবহার দেখানো হয় অনুষ্ঠানে। ফোনের এআই সুবিধা, স্লিম ডিজাইন, স্মুথ ডিসপ্লে, ফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তি ও উন্নত ক্যামেরার বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হয়।
ইনফিনিক্স নোট ৫০ সিরিজের স্মার্টফোন নিয়ে ট্রানশনের সিনিয়র ব্র্যান্ড ও মার্কেটিং কমিউনিকেশনস ম্যানেজার ইফতেখান সানি বলেন, প্রযুক্তির সর্বশেষ চমক ও ডিজাইনকে গুরুত্ব দিয়ে গ্রাহকের সামনে নতুন মোবাইল বাজারে এনেছি আমরা। গ্রাহককে মুঠোফোনের মাধ্যমে অনুপ্রেরণা দিতে প্রযুক্তিগত ডিজাইনের বহুমাত্রিকতা দেখা যাবে এই ফোনে। ব্যবহারকারীদের সামনে শক্তিশালী পারফরম্যান্স ও নজরকাড়া ডিজাইনের চমক দেখাবে ইনফিনিক্স নোট ৫০ সিরিজের ফোনে।
নোট ৫০ প্রো স্মার্টফোনে রয়েছে আলট্রা-রেসিলিয়েন্ট আর্মরঅ্যালয় মেটাল ফ্রেম। ফোনটি যেকোনো পরিস্থিতিতে ব্যবহারের জন্য বেশ টেকসই। স্মার্টফোনটিতে ৯০ ওয়াট অল-রাউন্ড ফাস্টচার্জ ৩.০ প্রযুক্তির মাধ্যমে দ্রুত চার্জ দেয়া যায়। ফোনটিতে ম্যাগনেটিক প্রযুক্তির ৩০ ওয়াট ওয়্যারলেস ম্যাগচার্জের সুবিধা রয়েছে। তারবিহীন চার্জিংয়ের অভিজ্ঞতা পাওয়া যাচ্ছে ফোনটিতে।
স্মার্টফোনটিতে ওয়ান-ট্যাপ ইনফিনিক্স এআই সুবিধার মাধ্যমে দৈনন্দিন সব কাজ আরও সহজে করা যাচ্ছে। এআই সুবিধা ব্যবহারকারীর কাজের ধরন বুঝে বিভিন্ন অ্যাপ ও সেটিংস অপটিমাইজ করে বিভিন্ন কাজের সুযোগ রয়েছে। ফোনটিতে ৫০ মেগাপিক্সেল ওআইএস (অপটিক্যাল ইমেজ স্টাবিলাইজেশন) নাইট মাস্টার ক্যামেরা রয়েছে। এই ক্যামেরা কম আলোতেও স্পষ্ট ছবি তুলতে সক্ষম। স্মার্টফোনে ৬.৭৮ ইঞ্চির এফএইচডি+ অ্যামোলেড ডিসপ্লের মাধ্যমে স্মুথ স্ক্রলিংয়ের অভিজ্ঞতা পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
ইনফিনিক্স নোট ৫০ প্রোর দাম ৩১ হাজার ৯৯৯ টাকা, নোট ৫০-এর দাম ২৭ হাজার ৯৯৯ টাকা। সিরিজের বিভিন্ন ফোন কেনা যাবে এই ওয়েবসাইট থেকে।