পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় আটক সাত বাংলাদেশি নাগরিককে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে ফেরত দিয়েছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।

গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ছয়টায় উপজেলার বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের কাশিমগঞ্জ সীমান্তের ৭৩০ নম্বর মেইন পিলার এলাকায় বিজিবি-বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ওই সাতজনকে হস্তান্তর করে বিএসএফ।

পরে রাতে পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের আওতাধীন কাশিমগঞ্জ বিওপির সদস্যরা তাঁদের তেঁতুলিয়া মডেল থানায় হস্তান্তর করেন। এ ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে ওই সাতজনের বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের অভিযোগে মামলা করা হয়। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ বৃহস্পতিবার তাঁদের আদালতে হাজির করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ওই সাত বাংলাদেশি গত মঙ্গলবার রাতে তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের কাশিমগঞ্জ সীমান্তের ৭৩০ নম্বর মেইন পিলারের ৬ নম্বর সাবপিলার এলাকা দিয়ে মহানন্দা নদী পার হয়ে ভারতে যাচ্ছিলেন। তখন বিএসএফ সদস্যরা তাঁদের আটক করেন।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া ইউনিয়নের উত্তর বোয়ালিয়া এলাকার বাসিন্দা হরেন বর্মণ (৪০), তাঁর স্ত্রী মমতা রানী (৩৫), বড় ছেলে অজয় কুমার বর্মণ (২১), ছোট ছেলে (১৭), দেবগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা  শুশান্ত রায় (২২), গড়েয়া এলাকার আশীষ রায় (১৮) এবং আখানগর এলাকার এক কিশোর (১৭)।

গতকাল বুধবার রাতে পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত মঙ্গলবার রাতে তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের কাশিমগঞ্জ সীমান্তের ৭৩০ নম্বর মেইন পিলারের ৬ নম্বর সাবপিলার এলাকা দিয়ে মহানন্দা নদী পার হয়ে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়াবিহীন এলাকা দিয়ে একজন নারীসহ সাত বাংলাদেশি ভারতে অনুপ্রবেশ করছিলেন। এ সময় ভারতের ১৮ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের বানেশ্বরজোত ক্যাম্পের টহলরত বিএসএফ সদস্যরা তাঁদের আটক করেন। পরে বিএসএফের মাধ্যমে বাংলাদেশি নাগরিকদের আটকের সংবাদ পাওয়ার পর বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিজিবি। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার সন্ধ্যা ছয়টায় বিজিবি ও বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ওই বাংলাদেশি নাগরিকদের বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে বিএসএফ।

আরও পড়ুনভারত থেকে পাসপোর্ট ছাড়াই আসার পথে তেঁতুলিয়া সীমান্তে বাংলাদেশি গ্রেপ্তার২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

আজ বৃহস্পতিবার সকালে তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত কবির মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, সাত বাংলাদেশিকে থানায় হস্তান্তর করেছে বিজিবি। সেই সঙ্গে তাঁদের বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের অভিযোগে (পাসপোর্ট আইনে) একটি মামলা করেছে বিজিবি। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁদের আদালতে হাজির করার প্রক্রিয়া চলছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ক শ মগঞ জ ব এসএফ র উপজ ল র এল ক র র এল ক

এছাড়াও পড়ুন:

আকস্মিক ঘন কুয়াশায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরি ও লঞ্চ চলাচল এক ঘণ্টা বিঘ্নিত

ঘন কুয়াশার কারণে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ও রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া নৌপথে চলাচল কিছুটা বিঘ্নিত হচ্ছে। আজ রোববার সকালে প্রায় এক ঘণ্টা ফেরি ও লঞ্চ বন্ধ ছিল। এতে ঈদযাত্রায় পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়ে যায়। তবে কুয়াশা কেটে যাওয়ার পর চলাচল শুরু হওয়ার পর পর্যাপ্তসংখ্যক ফেরি থাকায় অনেকটা ভোগান্তি ছাড়াই যাত্রীরা নৌপথ পারাপার হচ্ছেন।

এদিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কেও যানবাহনের কিছুটা চাপ থাকলেও স্বাভাবিক গতিতেই যানবাহনগুলোকে চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে বাস স্টপেজগুলোতে যাত্রী ওঠানামা করানোর কারণে সাময়িক জটের সৃষ্টি হলেও দীর্ঘ সময়ের যানজটের সৃষ্টি হয়নি।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের আরিচা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আজ ভোরে আকস্মিকভাবে কুয়াশা পড়তে থাকে। একপর্যায়ে কুয়াশার তীব্রতা বেড়ে গেলে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরি ও লঞ্চ চলাচলে বিঘ্নিত হয়। এতে সকাল সোয়া ছয়টার দিকে ফেরি ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকে। এ সময় পদ্মা নদীর মাঝে এ নৌপথে তিনটি ফেরি নোঙর করে থাকে। পারাপার বন্ধ থাকায় ঘাট এলাকায় যাত্রী ও যানবাহনের সংখ্যা বাড়তে থাকে। প্রায় এক ঘণ্টা পর সকাল সোয়া সাতটার দিকে কুয়াশা কেটে গেলে ফেরি ও লঞ্চ চলাচল শুরু হয়। পরে ধীরে ধীরে ঘাটের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে থাকে।

বিআইডব্লিউটিএ-এর আরিচা কার্যালয়ের বন্দর কর্মকর্তা মো. সেলিম শেখ বলেন, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ১৭টি ফেরি এবং আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ৬টি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। এ ছাড়া ৩২টি লঞ্চ দিয়ে ঈদে ঘরমুখী যাত্রীদের পারাপার করা হচ্ছে। এর মধ্যে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ২০টি এবং আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ১২টি লঞ্চ দিয়ে যাত্রীরা পারাপার হচ্ছেন।

আরও পড়ুনগাজীপুরে দুই মহাসড়কে রাতভর যানবাহনের ধীরগতি, সকাল থেকে অনেকটা ফাঁকা১ ঘণ্টা আগে

ঘাটসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় দূরপাল্লার যানবাহন ও যাত্রীর কিছুটা চাপ রয়েছে। ঢাকার গাবতলী, নবীনগরসহ আশপাশের এলাকা থেকে এসব যানবাহন যাত্রী নিয়ে পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় আসছে। অল্প সময়ের মধ্যেই এসব যাত্রীবাহী এসব যানবাহন ফেরিতে উঠে নদী পারাপার হচ্ছে।

এদিকে ঢাকা, গাজীপুরসহ আশপাশের লোকাল বাসে করে পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় আসছেন ঈদে ঘরমুখী যাত্রীরা। যাত্রীদের অধিকাংশই বিভিন্ন পোশাক কারখানার শ্রমিক। পাটুরিয়ার পুরোনো ট্রাক টার্মিনাল এলাকায় লোকাল বাস থেকে নেমে এসব যাত্রী হেঁটে, রিকশায়, ইজিবাইকে করে লঞ্চঘাটে আসছেন। এরপর টিকিট কেটে লঞ্চে উঠে পড়ছেন তাঁরা।

বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. সালাম হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, রোববার ভোর থেকে ঈদযাত্রায় ঘাট এলাকায় যাত্রী ও যানবাহন কিছুটা বেড়ে যায়। ঘন কুয়াশার কারণে ফেরি বন্ধ থাকায় যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়ে যায়। তবে ফেরি চালু হওয়ার পর এই চাপ স্বাভাবিক হয়ে আসে। ঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের কিছুটা চাপ থাকলেও পর্যাপ্তসংখ্যক ফেরি থাকায় ভোগান্তি ছাড়াই যাত্রীরা নৌপথ পারাপার হচ্ছেন।

আরও পড়ুনচিরচেনা রূপে ফিরেছে লঞ্চের ঈদযাত্রা, বরিশাল বন্দর যাত্রীদের পদচারণে মুখর১৯ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ