জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ‘সি’ ইউনিট বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি)। এবারের পরীক্ষায় ৫২০টি আসনের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ২০ হাজার ১১২ জন শিক্ষার্থী। প্রতি আসনের জন্য লড়বেন ৩৯ জন ভর্তিচ্ছু। ‘সি’ ইউনিটের এ পরীক্ষা দুই শিফটে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম শিফটে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১০টা এবং দ্বিতীয় শিফটে দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

আরও পড়ুনইউনিভার্সিটি অব ব্রুনেই দারুসসালামে বৃত্তি, মাসে ২ লাখের সঙ্গে নানা সুযোগ৩ ঘণ্টা আগে

এদিন তিন শিফটে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে । প্রথম শিফট সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১০টা এবং দ্বিতীয় শিফট দুপুর ১২টা থেকে বেলা ১টা এবং বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত এ পরীক্ষা হবে।

চার বছর পর নিজস্ব পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষায় ফিরেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। পরীক্ষার মোট নম্বর ১০০। এর মধ্যে ৭২ নম্বরের পরীক্ষা হবে বহুনির্বাচনি ও লিখিত প্রশ্নের। বহুনির্বাচনি পরীক্ষায় থাকবে ২৪ নম্বর আর লিখিত অংশের জন্য থাকবে ৪৮ নম্বর। এ ছাড়া এসএসসি ও এইচএসসি জিপিএ-এর ভিত্তিতে যথাক্রমে ১২ ও ১৬ নম্বর গণনা করা হবে।

আরও পড়ুনমাধ্যমিকের সংশোধিত ছুটির তালিকা, এসএসসির প্রাক-নির্বাচনি ও নির্বাচনি পরীক্ষার নতুন তারিখ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর ক ষ

এছাড়াও পড়ুন:

৭ বছর ধরে শিকলবন্দি জীবন কাটছে মাসুদের

লোহার শিকলে বন্দি হয়ে দুঃসহ জীবন কাটছে মাসুদ রানার (৩৫)। মানসিক ভারসাম্যহীন এই যুবকের দিন আর রাত কাটে একটি ঝুপড়ি ঘরের নড়বড়ে কাঠের বিছানায়। কেউ তার অসহায়ত্ব বোঝে না। অথচ একসময় মাসুদও ভালো স্বাভাবিক মানুষ হিসেবে জীবনযাপন করেছেন। ২০০৪ সালে তিনি এসএসসি পাস করেন। 

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার তারাবাড়িয়া গ্রামের মৃত শফিকুল ইসলামের ছেলে মাসুদ রানা। জন্মগতভাবে তিনি স্বাভাবিক ছিলেন। উপজেলার সোনতলা তফছীর মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করার পর উল্লাপাড়া আরএস ডিগ্রি কলেজে ভর্তি হন তিনি। হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পড়েন মাসুদ। পরিবার থেকে যথেষ্ট চিকিৎসা করানো হয়। কিন্তু কাজ হয়নি। আস্তে আস্তে মানসিক ভারসাম্য হারাতে থাকেন। এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়, যে বাড়ির বাইরে গেলেই যেকোন কাউকে পেলে তাকে ধরে পেটাতেন। ধাওয়া দিতেন। পরে গ্রামের লোকজনের অভিযোগ অনুযোগের প্রেক্ষিতে নিরুপায় হয়ে পরিবারের লোকজন তাকে শিকল দিয়ে বেঁধে ঘরে আটকে রাখছেন। আর এ অবস্থা চলছে প্রায় ৭ বছর ধরে। 

মাসুদ রানা’র মাও মারা গেছেন কয়েক বছর আগে। তার আছে শুধু এখন দুই ভাই দুই বোন। ভাইরা তার প্রতিপালন ও দেখাশোনা করে থাকেন। মাসুদের বড় ভাই সোহেল রানা জানান, প্রায় ১৫ বছর আগে ২০০৯ সালের দিকে মাসুদ অসুস্থ হয়ে পড়েন। চিকিৎসা করানোর পরও ধীরে ধীরে তার মানসিক ভারসাম্য হারাতে থাকে। অবশেষে এমন পাগলামি শুরু করেন যে তাকে আর শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা ছাড়া তাদের আর দ্বিতীয় কোনো পথ ছিল না। এটা অত্যন্ত অমানবিক কাজ নিঃসন্দেহে। কিন্তু তারা গরীব মানুষ। তাদের যা সহায় সম্পদ ছিল সবই বিক্রি করে মাসুদের চিকিৎসা করিয়েছেন। কাজ হয়নি কিছুই। মাঝে মাঝে মাসুদ তার স্মৃতি ফিরে পান। তখন স্বাভাবিক মানুষের মতো জীবনের ফেলে আসা অনেক ঘটনার কথা ঠিকঠাক মতো বলতে পারেন। কিন্তু এই স্বাভাবিকতা বেশিক্ষণ স্থায়ী থাকে না। বর্তমানে মাসুদকে অমানবিক ও দুঃসহ জীবন কাটাতে হচ্ছে। পরিবারের আর কিছুই করার নেই। তারা এজন্য নিজেরাও খুবই কষ্টের মধ্যে দিনযাপন করছেন। মাসুদকে ওই ঘরের মধ্যেই প্রসাব পায়খানা করানোর ব্যবস্থা করা হয়। মাসুদ রানার দুই ভাই কেউই এখন সচ্ছল নন। তাই এ অবস্থায় অন্তত মাসুদ রানার একটি প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড করে দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান সোহেল। সেই সঙ্গে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তারও অনুরোধ জানান তিনি। 

এ ব্যাপারে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলামের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, বিষয়টি তিনি আগে জানতেন না। তারপরেও কোনো মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষকে অমানবিকভাবে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখার কোনো নিয়ম নেই। তিনি দ্রুত তদন্ত করে মাসুদ রানাকে শিকল মুক্ত ও তার প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড করে দেওয়ার ব্যবস্থা নেবেন বলে উল্লেখ করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পুলিশ নেবে কনস্টেবল, আবেদন শুরু ৩ মার্চ
  • ঢাকা বোর্ডের এসএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্র বিতরণ শুরু ১১ মার্চ
  • নিটোরে ভর্তিতে আবেদন করেছেন কি, দ্বিতীয়বার পরীক্ষার সুযোগসহ জেনে নিন সব তথ্য
  • ৭ বছর ধরে শিকলবন্দি জীবন কাটছে মাসুদের
  • টানা ৪০ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান